অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে উনার স্ত্রী বন্যা আহমেদ স্টেটমেণ্ট দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ওখানে প্রচণ্ড ভিড় ও পুলিশ থাকার পরেও তারা কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি!
হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বলা হচ্ছে খুনীরা আশেপাশে পথচারীরূপেও অবস্থান নিয়েছিল। স্বাভাবিক ভেবেই তাদের বাধা দেয়ার কথা নয়। আর তারা যদি আশেপাশের লোকজনকে বোঝাতে পারে যে একজন নাস্তিককে হত্যা করা হচ্ছে, তাহলে বাকিদের এগিয়ে আসার কথাও না। আর কোনো রকমে যদি বলা হত–অভিজিৎ রায় নামধারী “মালাউনটা” একজন “মুসলমান” মেয়েকে বিয়ে করেছে, তাহলে নিশ্চিত করে বলা যায়–আশেপাশের সাধারণ পথচারী মুসলমান ও পুলিশেরাও এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিত–শালার কত বড় সাহস, একে তো নাস্তিক, তার উপর আবার মালাউন হয়ে মুসলমান মেয়েকে বিয়ে করছে!
মুসলমানদের দেশে যেমন মিশর-পাকিস্তানে বিধর্মীদের ঘরবাড়ি-উপাসনালয়ে আগুন দেয়া, বিধর্মী মেয়েদের ধর্ষণ করা, এমনকি হত্যা করার কাজগুলো হয় প্রকাশ্যে আল্লাহুআকবর-আল্লাহুআকবর জিকির করতে করতে। সেখানে বাংলাদেশে একটি ইসলামিক এবং ৯৭% মুসলমানের দেশ হওয়া সত্ত্বেও নাস্তিক-কাফের-বিধর্মীদের কোপানোর পরে মুসলমানদের পালিয়ে বেড়াতে হয়। এটা একটি ইসলামিক কান্ট্রি হওয়ার পরেও বাংলাদেশের জন্য এবং বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য চরম অপমানের।
আমরা বাংলাদেশে প্রকাশ্য আল্লাহুআকবর জিকির করতে করতে নাস্তিকদের হত্যা করতে চাই, বিধর্মী মেয়েদের রেপ করতে চাই, তাদের বাড়িঘর-মন্দিরে আগুন দিতে চাই, দোকানপাট লুট করতে চাই, ধর্মান্তরিত করতে চাই, দেশ থেকে বিতাড়িত করতে চাই…
নারায়ে তাকবীর…আল্লাহুআকবর…
Leave a Reply