• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

কঠিন সত্যকে মেনে নেয়ার সৎ সাহস হোক

You are here: Home / চুতরাপাতা / কঠিন সত্যকে মেনে নেয়ার সৎ সাহস হোক
March 9, 2015

দুইদিন আগের পোস্টে আদম-হাওয়ার কাহিনী কেউ শুনাইল না। কোনো ঈমানদার মুসলমানের ঈমানে এতটুকু জোর নাই যে এই চ্যালেঞ্জটা নিতে পারত! “বিসমিল্ল্যায় গলদ” বলে একটা কথা আছে…এই কথাটার সৃষ্টিই হয়েছে ধর্মের একেবারে মূলে এই গলদ থাকার দরুন। পৃথিবীতে আব্রহাম্মক ধর্মগুলার সূত্রপাত এই আদম-হাওয়ার কাহিনী থেকে। আর এই কাহিনীর গোড়াতেই গলদ। মুসলমানরা এটা বুঝতে পেরেই ল্যাঞ্জা গুটিয়ে পালায়। তাই কাউকে যখন এই গল্প বলতে বলা হয়, সবাই চুপ। মনে মনে ঠিকই জানে এই গলদের কথা, কিন্তু তবুও চোখ বুজে এমন ভাব করে যেন কিছু দেখে নাই। এই জন্যই ধর্মান্ধ শব্দটার উৎপত্তি।

যা হোক, আদম-হাওয়ার মূল কাহিনীতে আসা যাক। তাদের দুই ছেলে–হাবিল আর কাবিল। দুজনের মধ্যে (কী নিয়ে?) মারামারি হলে কাবিল হাবিলরে হত্যা করে। হাবিলরে হত্যা করলে ঈশ্বর কাবিলরে অভিশাপ দেয় ওই ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত জায়গায় আর গাছপালা হবে না, ফলে কাবিল পুর্বদিকে নোদ নামক এক দেশে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হয়। সেখানে তার ছেলে হয়।

এবার আসল গলদ–নোদ নামক দেশে কারা বাস করত? সেখানে নির্বাসিত অবস্থায় কাবিল কার গর্ভে সেই সন্তানের জন্ম দিয়েছিল?

ধর্মের মূলে এত্তবড় গলদ থাকার পরেও কেউ যদি চোখ-কান-মুখ বুজে ধর্মান্ধ সেজে বসে থাকেন, আর সেগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পরে উলটা গালাগালি করেন, কিছু বলার নাই। শুধু আশা করব, আপনাদের পুনর্জন্ম হোক, আপনাদের চোখ-কান ফুটুক…কঠিন সত্যকে মেনে নেয়ার সৎ সাহস হোক।

=====================
আগের পোস্ট
=====================

মজার ব্যাপার হলো ধর্ম জিনিসটা ভূয়া বলেই তাতে প্রশ্ন-প্রমাণের বালাই নেই, শুধু চোখ-কান-মুখ বুজে বিশ্বাস করে যেতে বলা হয়েছে। আস্তিকরা আসলে কী বিশ্বাস করে, সেটা যদি তারা নিজেরাই একটু যাচাই করে দেখত, তাহলেই বুঝত তাদের বিশ্বাসের ভিত্তিতে কত গরমিল।

আব্রাহাম্মক ধর্মগুলোর বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে দুনিয়া সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৬ হাজার বছর আগে এবং প্রথম মানব-মানবী আদম-হাওয়া। মুসলমানরা আরো বিশ্বাস করে নবী মুহাম্মদ সরাসরি আদমের বংশধর, যা সীরাত গ্রন্থে উল্লেখ আছে।

এবার কোনো বিশ্বাসী যদি আদম-হাওয়া এবং তার পরবর্তী বংশধরদের সম্পর্কে যা জানেন, সেটা যদি বলতেন তাহলে সেই গল্পের ভিতর থেকেই দেখিয়ে দেয়া যাবে যে আপনাদের বিশ্বাসের একেবারে গোড়াতেই গণ্ডগোল, এবং নবী মুহাম্মদের অস্তিত্বও প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে যেতে পারে।

আপনাদের ঈমান যদি মজবুত হয় এবং ধর্মকে সত্য বলে ধরে নেন, তাহলে চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করুন–আদম-হাওয়ার গল্পটি আমাদেরকে শোনান।

Category: চুতরাপাতা
Previous Post:হারাম-হালালের হাল-হকিকত
Next Post:মডারেট মুসলিম – সর্ষের ভূত

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top