শিরোনাম দেখে অবাক হলেও ঘটনা সত্য। শরিয়া আইনের পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তসলিমা নাসরিন। গতকাল রাতের এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “দেশে অতি শীঘ্র শরিয়া আইন আনুন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। যে রাষ্ট্রের ধর্ম ইসলাম, যে রাষ্ট্রের মানুষ খাঁটি মুসলমান, সে রাষ্ট্রের আইন ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু হয় না, হতে পারে না।”
পুরো স্ট্যাটাসটি সবার সুবিধার্থে এখানে তুলে দেয়া হলো–
//আচ্ছা, বাংলাদেশের নব্বই বা নিরানব্বই ভাগ লোক তো মুসলমান। তারা তো কোরান-হাদিসে, আল্লাহ- মোহাম্মদে একশ ভাগ বিশ্বাস করে। তারা নামাজ পড়ে, রোজা করে, শবেবরাত করে, শবেকদর করে, মিলাদুন্নবি করে, ইদুল ফেতর করে, ইদুল আজহা করে। ঠিক কি না? আল্লাহ নিয়ে কেউ কোনওরকম সন্দেহ প্রকাশ করলে তাকে জবাই করতে প্রায় কারওরই আপত্তি নেই, মোহাম্মদের কার্টুনিস্টদের বেঁচে থাকার অধিকার আছে বলে প্রায় কেউই মনে করে না। বোরখা আর হিজাবের হিড়িক পড়েছে। টুপিদাড়ির সংখ্যা হাউমাউ করে বাড়ছে। এই সময়, আমার একটিই জরুরি প্রশ্ন, এত কিছু আনা হচ্ছে দেশে, গার্মেন্টসের সুতো, ইংলিশ এডুকেশন, মধ্যপ্রাচ্যের টাকা— শরিয়া আইন কেন আনা হচ্ছে না ! আল্লাহ-বিশ্বাসী লোকদের তো আল্লাহর আইন ছাড়া অন্য কোনও আইন মানা উচিত নয়। আল্লাহ বলেই দিয়েছেন কোরানে, আল্লাহর প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি অক্ষর কোনও রকম প্রশ্ন ছাড়া, দ্বিধা ছাড়া বিশ্বাস করতে হবে।
জারি হয়ে যাক না কোরান হাদিসের আইন আই মীন শরিয়া আইন! চুরি করলে হাত কাটা যাবে। ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করো তো জনসমক্ষে মুণ্ডু উড়িয়ে দেওয়া হবে! স্বামী শারীরিক নির্যাতন করবে। তালাক তালাক তালাক বললেই তালাক হয়ে যাবে। স্বামী চার বিয়ে করবে। ধর্ষিতারা চাবুকের মার খাবে। প্রেম করার অপরাধে মেয়েদের পাথর ছুড়ে মেরে ফেলা হবে। এই ভয়াবহ নিষ্ঠুরতা আর নির্যাতন কিন্তু শরিয়া আইনের চোখে বৈধ।
আল্লাহকে মানবো, আল্লাহর কোরান মানবো, কিন্তু আল্লাহর আইন মানবো না— এ আবার কেমন দাবি? এ ধরণের হিপোক্রেট-বান্দাদের আল্লাহ দোযখের আগুনে নিক্ষেপ করবেন।
দেশে অতি শীঘ্র শরিয়া আইন আনুন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। যে রাষ্ট্রের ধর্ম ইসলাম, যে রাষ্ট্রের মানুষ খাঁটি মুসলমান, সে রাষ্ট্রের আইন ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু হয় না, হতে পারে না।//
Leave a Reply