৫১টি শক্তিপীঠের একটি হলো কামাখ্যা। মহাদেব সতীর লাশ নিয়ে প্রলয় নৃত্য শুরু করলে বিষ্ণু চক্র দিয়ে সতীর লাশ কেটে ফেলে। ফলে লাশ ৫১টি খণ্ড হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছিটকে পড়ে। সতীর যোনী এসে পড়ে কামাখ্যা। উইকিতে যে বর্ণনা পাওয়া যায়– …ভূগর্ভস্থ একটি গুহা। এখানে কোনো মূর্তি নেই। শুধু একটি পাথরের সরু গর্ত দেখা যায়।। গর্ভগৃহটি ছোটো ও অন্ধকারাচ্ছন্ন। সরু খাড়াই সিঁড়ি পেরিয়ে এখানে পৌঁছাতে হয়। ভিতরে ঢালু পাথরের একটি খণ্ড আছে যেটি যোনির আকৃতিবিশিষ্ট। এটিততে প্রায় দশ ইঞ্চি গভীর একটি গর্ত দেখা যায়। একটি ভূগর্ভস্থ প্রস্রবনের জল বেরিয়ে এই গর্তটি সবসময় ভর্তি রাখে। এই গর্তটিই দেবী কামাখ্যা নামে পূজিত এবং দেবীর পীঠ হিসেবে প্রসিদ্ধ।
আরেকটি মজার তথ্য হলো–প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে অম্বুবাচী মেলার সময় কামাখ্যা দেবীর ঋতুমতী হওয়ার ঘটনাকে উদযাপন করা হয়। এই সময় মূল গর্ভগৃহের প্রস্রবনের জল আয়রন অক্সাইডের প্রভাবে লাল হয়ে থাকে। ফলে এটিকে ঋতুস্রাবের মতো দেখতে হয়।
শিবমহাপুরাণ থেকে শিবলিঙ্গের কাহিনী তুলে ধরার পরেও হিন্দুধর্মাবালম্বীরা কোনো প্রকার তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই নিজেদের মনগড়া কাহিনী লিখে শিবমহাপুরাণের কাহিনীকে অস্বীকার করে–শিবলিঙ্গ নাকি শিবের লিঙ্গ নয়, এবং এটা নাকি কোনোভাবেই লিঙ্গ পূজা নয়!
এবার নতুন প্রশ্ন–শিবলিঙ্গরে শিবের লিঙ্গ কইতে লজ্জা পান, তো এই যে স্পষ্ট শিবের বউ সতীর যোনিপূজা–এটারে কী বলবেন?
Leave a Reply