‘হে আল্যা, হযরত মহাউন্মাদ (হাঃপোঃ)-কে দান কর বেহেশতের সর্ব্বশ্রেষ্ঠ প্রসংশিত স্থান এবং সুমহান মর্যাদা যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছ। নিশ্চয়ই তুমি ভঙ্গ কর না অঙ্গীকার।’– কিছুদিন আগে এই দোয়াটা নিয়ে পোস্ট দেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, আল্যায় এই কথা প্রতিশ্রুতি হিসাবে দিয়েছে অথচ মমিনদের আল্যার উপর বিশ্বাস নাই, তাই নামাজের পর ডেইলি পাঁচ বার কইরা এই কথা আল্যারে মনে করাইয়া দেয়। ওদিকে মহাউন্মাদ নিজেও নিশ্চিত ছিল না যে তারে বেহেস্তে ঢুকাইবে নাকি জাহান্নামে পোড়াইবে!
মমিনরা তেড়ে আসছিল। কইছিল–এইডা নাকি শুধু বিটিভিতে আজানের পরে পাঠ করা হয়। এর কোনো ভিত্তি নাই। আসেন একটা হাদিস দেখা যাক–
সহীহ বুখারি (ইফা) হাদিস নাম্বার ৪৩৬০–//আলি ইবনু আইয়াশ (রহঃ) জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি আজান শোনার পর এ দোয়া পড়বে , “হে আল্লাহ! এ পরিপূর্ণ আহবানের এবং প্রতিষ্ঠিত সালাত (নামায/নামাজ)-এর প্রতিপালক, মুহাম্মাদ কে ওসিলা য় শ্রেষ্ঠত্ব দান কর। প্রতিষ্ঠিত কর তাকে মাকামে মাহমুদে, যার ওয়াদা তুমি করেছ”। কিয়ামতের দিন তার জন্য আমার শাফায়াত অনিবার্য হয়ে যাবে। এ হাদিসটি হামযা ইবনু আবদুল্লাহ তার পিতার থেকে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।//
অর্থাৎ মহাউন্মাদের নিজেরও ভয় লাগছিল যে সে জাহান্নামে যাইতে পারে। আর সেই ভয় থিকাই এই দোয়ার উৎপত্তি। সে নিজেও দোয়া-দরুদের উপর নির্ভরশীল ছিল। আল্যায় যার সহায়, যে কিনা আল্যার মনোনীত রাসুল, সে কেন সাধারণ মানুষের দোয়া-দরুদের উপর নির্ভরশীল ছিল? রোগ-শোক হলেও নিজেই এইরাম দোয়া-দরুদ পাঠ করত। সর্বশেষ যখন ইহুদি মহিলার হাতে বিষ খাইয়া মৃত্যুশয্যায় শায়িত, তখনও জ্বরে কাঁপতে কাঁপতে দোয়া-দরুদ আউড়াইছে। ফলাফল আমরা জানি–দোয়া-দরুদে কুনো কাম হয় নাই…আল্যায়ও তারে বিষের হাত থিকা বাঁচাইতে আসে নাই। আহা তখন যদি ইহুদি-নাসারাদের বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতি আর ওষুধপত্র থাকত! এর পরেও তুমরা দোয়া-দরুদ আল্যাবিল্যার আর কুন কুন অবদানকে অস্বীকার করিবে!
Leave a Reply