মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক
(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)
পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪
প্রশ্রাব/যৌনসঙ্গম করার পর ফরজ গোসল কি বাধ্যতামুলক?
পুর্ববর্তী অধ্যায়ে আমরা জেনেছি- যৌনসঙ্গম কিংবা প্রস্রাব করার পর গোসল করা ফরজ বা বাধ্যতামুলক। তবে পরবর্তী হাদিস দু’টি পড়লে পাঠক চরমভাবে বিভ্রান্তিতে পড়বেন, কারণ এমনকি নবী করিম নিজেও সঙ্গমের পর গোসল না করেই নির্বিবাদে নিদ্রা যেতেন।
সুনান আবু দাউদ, বুক নং-১, হাদিস নং-০০৪২:উম্মুল মোমেনীন আয়েশা হতে বর্ণিতঃনবী (দঃ) প্রশ্রাব করছিলেন এবং উমর তার পিছে জলপাত্র হাতে দাড়িয়েছিলেন। তিনি বললেন- এটা কী উমর? উত্তরে তিনি (উমর) বললেন- আপনার জন্যে পানি, এদিয়ে আপনি অজু করে নিবেন। তিনি বললেন- প্রতিবার পেশাব করার পর অজু করতে হবে এমন আদেশ আমি পাইনি। যদি আমি তা করি, তবে তা সুন্নত বলে পরিগনিত হবে।
সুনান আবু দাউদ, বুক নং-১, হাদিস নং-০২২৮:উম্মুল মোমেনীন আয়েশা হতে বর্ণিতঃ রাসুলুল্লাহ (দঃ) যৌনসঙ্গমের পর পানি স্পর্শ না করে নাপাক অবস্থায়ই নিদ্রা যেতেন।
(চলবে)
Leave a Reply