মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক
(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)
পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬
নবীর সেই সব নিশানধারী বরকন্দাজ, ইংরেজীতে যাকে বলে ফুট সোলজার, তাদের অবস্থাই বা কীরূপ ছিল? ইসলামের এইসব প্রাথমিক সেনানীদেরকে যৌনশিকারি বলে অভিহিত করলেও অত্যুক্তি হয় না। কোনো কাফের রমণীকে বন্দী করতে পারলে আর রক্ষা নেই, তৎক্ষনাৎ তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে যৌনক্ষুধা মিটিয়ে নিতে একদণ্ড বিলম্ব হতো না এদের। এমনকি বন্দিনীটি গর্ভবতী হলেও তার উপর সওয়ার হতে সঙ্কোচ ছিল না তাদের।
বিষয়টি যখন খুবই গুরুতর পর্যায়ে চলে যায়, তখন স্বয়ং আল্লাহপাককে মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসতে হয়। বিধান করতে হয়: পিরিয়ড (ঋতুস্রাব) শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্দিনীদের সাথে সঙ্গম করা যাবে না। গর্ভবতীদের সাথে সঙ্গমও নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা খুব একটা কাজে লেগেছিল বলে মনে হয় না, নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে জিহাদিরা তখন বন্দিনীদের যোনিদেশের বাইরে বীর্যস্খলনের পদ্ধতি অনুসরণ করতে শুরু করে।
ইসলামের এই প্রাথমিক সেনানীরা হতভাগী বন্দিনীদের ওপর কীরূপ অশ্লীল এবং অমানবিক যৌননির্যাতন পরিচালনা করতো, সহিহ্ হাদিসগুলিতে তার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। আমি এখানে কয়েকটিমাত্র হাদিস উল্লেখ করছি, আশা করি পাঠক-পাঠিকারা এথেকেই ‘হোলি পর্ণোগ্রাফি লা-ইসলামিক ষ্টাইল’ উপভোগ করতে পারবেন।
সহি বুখারি, ভলিউম ৭, বুক নং-৬২, হাদিস নং-১৩৭:আবুসাইদ আল খুদরি থেকে বর্ণিতঃমালে গনীমৎ (War Booty) হিসেবে আমাদের হাতে বন্দিনী আসলে আমরা তাদের সাথে সঙ্গমের সময় যোনিদেশের বাইরে বীর্যপাত ঘটাতাম। অতঃপর এ সম্পর্কে আল্লাহর রাসুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- “তোমরা কি সত্যিই এরূপ কর”? এই প্রশ্নটি তিনি তিনবার করেন। তারপর তিনি বলেন – “যে সব আত্মা জন্ম নেয়ার জন্যে নির্ধারিত, সেগুলি আসবেই, পুনরুত্থানের দিন পর্য্যন্ত”।
সহি বুখারি, ভলিউম ৭, বুক নং-৬২, হাদিস নং-১৩৫জাবির হতে বর্ণিত:রাসুলুল্লাহর জীবৎকালে আমরা কয়টাস ইন্টারাপশন পালন করতাম।
সহি বুখারিঃ ভলিউম ৯, বুক নং-৯৩, হাদিস নং-৫০৬আবুসাইদ আল খুদরি থেকে বর্ণিত:বানুমুস্তালিক গোত্রের সাথে যুদ্ধকালে কিছু বন্দিনী তাদের (মুসলমানদের) দখলে আসে। তারা বন্দিনীদের সাথে এমনভাবে যৌনসম্পর্ক করতে চাইল যেন মেয়েগুলি গর্ভবতী না হয়ে পড়ে। সুতরাং বাইরে বীর্যপাতের বিষয়ে নবীর নিকট জানতে চাইল তারা। নবী বলেন- “এটা না করাই বরং তোমাদের জন্যে উত্তম। কারণ আল্লাহ যাকে সৃষ্টি করবেন তা লেখা হয়ে আছে, পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত”; ক্কাজা বলেন- “আমি আবু সাইদকে বলতে শুনেছি যে নবী বলেছেন -‘আল্লাহর আদেশে আত্মার সৃষ্টি, আল্লাহর আদেশ ছাড়া কোন আত্মার সৃষ্টি হয় না”।
সহি বুখারি, ভলিউম ৭, বুক নং-৬২, হাদিস নং-১৩৬জাবির হতে বর্ণিত:কোরান নাজেল হওয়ার সময় আমরা বাইরে বীর্যপাত পদ্ধতি প্রতিপালন করতাম।
উপরোক্ত হাদিসগুলি পাঠ করলে কী মনে হয়, পাঠক? এর পরেও কি বোঝার কিছু বাকি থাকে? একদিকে পবিত্র গ্রন্থ নাজেল হচ্ছে, আরেকদিকে ইসলামী জেহাদিরা আশে-পাশের কাফের গোত্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তাদের ধনসম্পদ ও যুবতী নারীদের লুট করে আনছে। মালে গনীমৎ। মালে গনীমতের ওপর ইচ্ছেমতো সওয়ার হওয়া কোন দোষের কাজ না, তবে মেয়েগুলির তলপেট ভারী হয়ে গেলে দায়দায়িত্ব এসে যায়। সে দায়িত্বকে পাশ কাটাতে তখন আল্লাহর সৈনিকেরা তাদের পবিত্র বীর্য শিকারের যোনিদেশের ভেতরে নিক্ষেপ না করে বাইরে নিক্ষেপ করা শুরু করে এবং এই প্রথার পক্ষে আল্লাহর রাসুলের সমর্থন নেয়ার চেষ্টা করে। কী দারুণ মজা, একবার ভাবুন তো। একদিকে মুখে ঐশ্বরিক আয়াতসমুহের বুলন্দ তেলাওয়াত, আরেকদিকে যোনিপ্রদেশের বাইরে বীর্যপাতের মহোৎসব। কী চমৎকার কম্বিনেশন! বাৎসায়নের কামসুত্রও হার মানবে এর কাছে।
(চলবে)
Leave a Reply