লিখেছেন দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
নাগা সন্ন্যাসীরা ভোলেবাবার/মহাদেবের ভক্ত এবং বিভিন্ন আখড়া (group) তে বিভক্ত(সেনা রেজিমেন্ট এর মত) এবং প্রায়শই নিজেদের ভিতর ঝামেলা পাকায়। এরা হল যোদ্ধা সাধু, মানা হয় ভারতে মুসলিম শাসনের সময় এদের উৎপত্তি (just like shaolin monk i think so).
একটা ব্যাপার হল, নাগা সন্ন্যাসীদের লিঙ্গ সন্তান উৎপাদনের জন্য নয়। বত্রিশটি ছবির সিরিজ এখানে।
সন্ন্যাস গ্রহণের শেষ পর্যায় তাদের “যন্ত্র” টি কে বিকল করে দেওয়া হয়, যাতে তাদের ভিতর কাম ভাব না জাগে, আর শারীরিক শক্তি বেড়ে যায়। দাঙ্গা-হাঙ্গামাতে এদের জুড়ি মেলা ভার।
তোতাপুরী নামক জনৈক পরিব্রাজক বৈদান্তিক সন্ন্যাসীর নিকট শ্রীরামকৃষ্ণ সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। তাঁর বর্ণনা অনুযায়ী তোতাপুরী ছিলেন জটাজুটধারী এক বিশালবপু উলঙ্গ নাগা সন্ন্যাসী। গুরুর নাম গ্রহণ করা শাস্ত্রমতে বারণ; তাই শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁকে ‘ল্যাংটা’ বা ‘ন্যাংটা’ বলে উল্লেখ করতেন।
তোতাপুরী ‘নেতি নেতি’ দৃষ্টিকোণ থেকে জগৎ দর্শন করতেন। তাঁর মতে সকলই ছিল মায়া। দেব-দেবীর মূর্তিপূজাকেও তিনি উপহাস করতেন। বিশ্বাস করতেন এক ও অদ্বিতীয় ব্রহ্মে। (উইকি থেকে)
এখনো উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ইত্যাদি রাজ্যের গ্রামের সন্তানহিন মহিলারা বাবাদের লিঙ্গ পুজো করে সন্তান লাভের জন্য। (আমার নিজে চোখে সাগর মেলায় এ ঘটনা দেখেছি, আপসোস সেই সময় আমার কাছে ক্যামেরা, বা ক্যামেরা ফোন ছিল না)। আপসোস কুসংস্কার আছন্ন হিন্দু সমাজ আজও বাবাদের “ভেল্কী” দেখে হাততালি দেয় আর তাদের লিঙ্গ পুজো করে।
নাগা বাবাদের লিঙ্গলীলা দেখতে নিচের দুটো ভিডিও দেখুন।
Leave a Reply