নরওয়ের বাকস্বাধীনতার সাংবিধানিক স্বীকৃতির দুইশ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে শুরু হয়েছে কার্টুন প্রদর্শনী । প্রদর্শনী প্রসঙ্গে আলোকপাত করার আগে বলে নেয়া দরকার যে এই আরিফুর রহমান, আমরা যদি ভুলে গিয়ে না থাকি, ২০০৭-২০০৮ সালে সামরিক নিয়ন্ত্রিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি পত্রিকার সাপ্তাহিক রম্য সাময়িকীতে একটা কার্টুন প্রকাশকে কেন্দ্র করে পত্রিকাটি মৌলবাদীদের রোষানলে পড়ে। পত্রিকার সমপাদক বায়তুল মোকাররমের তৎকালীন খতীব মৌলানা ওবায়দুল হকের কাছে তওবা পড়ে সেই রোষানল থেকে রেহাই পান। আর খোদ কার্টুনিস্ট অল্প বয়সী তরুণ আরিফুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আরিফ দীর্ঘ কয়েক মাস কারাবন্দি জীবন কাটান। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আরিফুর আন্তর্জাতিক কোন কর্মসূচির আওতায় একটি বৃত্তি নিয়ে নরওয়ে পাড়ি জমান। এবার প্রদর্শনী প্রসঙ্গে আসা যাক।
সুইডেনের নরশপিং শহরে ইউবার্ট কার্লসন জাদুঘরে প্রদর্শনীটির উপজীব্য বিষয় হচ্ছে “মত প্রকাশের স্বাধীনতা”। আরিফুরের সাথে সিরিয়া এবং মেক্সিকোর দুইজন চিত্রশিল্পীও অংশ নিয়েছেন। প্রদর্শনীটি সামনের বছর এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। আর নরওয়ের দুটি প্রদর্শনীর একটি হচ্ছে রাজধানী অসলোতে এবং অন্যটি দ্রোবাক শহরে। আরিফুরের সাথে নরওয়ের আটজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পীও অংশ নিচ্ছেন। তারা হলেন- ফিন গ্রাফ, মারভিন হলেরকের, এজিল নিহুস, ফিরুজ কুটলি, সিরি ভকেন, কার্থ গুনদারসেন, হারবিয়র্ন স্কোগস্টাদ, হলবার্ড স্কাউগে, এবং রাগনা হানদ্রুম। প্রদর্শনী দুটি ডিসেম্বরব্যাপী চলবে।
ইতোমধ্যে নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আরিফুরের কয়েকটি চিত্রকর্ম কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পেশাদারী শিল্পচর্চার পাশাপাশি আরিফুর অ্যানিমেশন ও ডিজিটাল গ্রাফিকের উপর উচ্চতর পড়াশোনা করছেন।
(বিডিআর্টস-এর সৌজন্যে)
Leave a Reply