লিখেছেন জোবাইর ইসলাম
পৃথিবীর সবচেয়ে ভণ্ড জাতি হচ্ছে মুসলমানরা।
তাদের সাথে তর্কে গেলে, তারা যদি যুক্তি খণ্ডন করতে না পারে, তাহলে গালাগালি শুরু করে (এখন হয়ত ছাগুরা এসে বলবে, “ইহা সহি ইসলাম নহে”)।
কোনো কিছুর রেফারেন্স দিলে তারা আবাল বলে গালি দেয়। আবার যদি না দিই, তাহলে একটা সাধারণ জিনিসেরও ওরা রেফারেন্স চায়। এখন যদি উইকিপিডিয়া থেকে রেফারেন্স দেই, তাহলে বলবে, “ওটা নাস্তিকদের। উইকিপিডিয়া মানি না।”
ভালো কথা উইকিপিডিয়া মানো না, উইকি ইসলাম তো মানো? না, তারা তাও মানে না। ওরা বলে, “উইকিইসলাম খ্রিস্টানদের। ঐটা মানি না।”
এরপর যদি অন্য কোনো সাইট থেকে রেফারেন্স দিই, তাহলে বলবে, “এইটা মানি না, এটা ইহুদি-নাসারাদের সাইট।”
আচ্ছা যাক, সাইট বাদ দিয়ে যদি হাদীস থেকেও উদ্ধৃতি দেই, তাহলে প্রথমে প্রমাণ করতে চেষ্টা করবে, সেটি ভুল না এবং কোরানের সাথে পরস্পরবিরোধী না। যদি যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করি যে, সেটি ভুল, কোরানের সাথে পরস্পরবিরোধী এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে হাদীসটি বর্তমানে মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়েছে, তাহলে বলবে, “ঐটি ভুয়া হাদীস, ঐটি জাল হাদীস। (সেটা বুখারী শরীফ থেকে দেওয়া হলেও)”।
ওরা একমাত্র বিশ্বাস করে কোরান থেকে রেফারেন্স দিলে। কেননা তখন সুরা ইমরানের এই আয়াতটি বলা যায়:
তিনি আপনার প্রতি কিতাব নাজিল করেছেন, তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট , সেগুলাই কিতাবের আসল অংশ আর অন্যগুলো রুপক। সুতরাং যাদের অন্তরে জটিলতা রয়েছে তারা অনুসরণ করে ফিতনা বিস্তার আর অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তার মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যাতিত আর কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলে আমরা এগুলোর প্রতি ঈমান এনেছি। এ সবই আমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নরা ছাড়া আর কেউ শিক্ষা গ্রহন করে না। (সুরাহ আল ইমরান ৩:৭)
মিলে গেলে ভাল, না মিললে >>
*//এটা কাব্যিক অর্থে বোঝানো হয়েছে//
*//এটা রূপকার্থে বোঝানো হয়েছে//
…
আসলেই মুসলামানদের তুলনা হয় না…………।
Leave a Reply