লিখেছেন অজাতশত্রু
জৈন দিগম্বর
দিগম্বর শব্দকে দিগম্বরাও বলা হয়, যা জৈন ধর্মের প্রধান দুই শাখার একটি। প্রবীণ দিগম্বর ভিক্ষুরা কোনো কাপড় পরতো না প্রভু মহাবীরকে অনুসরন করে। অনেকে জৈন ধর্ম আর মহাবীরকে নাস্তিকতার এবং চার্বাক দর্শনের প্রথম অধ্যায় মনে করলেও তিনি এমন ছিলেন, এ কথা অনেকেই এড়িয়ে যান। নগ্ন হয়ে কেমন ধর্ম চর্চা অথবা নাস্তিকতা? এই হল জৈন সভ্যতা।
তারা কখনই মনে করে না যে তারা নগ্ন। তাদের বিশ্বাস, তারা প্রকৃতিকে পরিধান করে রেখেছে। কে না জানে, মনে করা এবং বিশ্বাস করাই ধার্মিকের পাগলামির মূল কারণ।
দিগম্বরেরা বিশ্বাস করে, এই অনুশীলন শরীরের একান্ত সম্পদ আর চাহিদাগুলোকে প্রত্যাখান করে। শুধু দিগম্বর অনুশীলনে কাপড় পরিত্যাগ করা হয়। দিগম্বর সন্ন্যাসীদের দু’টি মাত্র সম্পদ আছে: একটি ময়ুর পাখার ঝাড়ু আরেকটি জল কদু। বিকারগ্রস্ত আর কাকে বলে!
জৈন সম্প্রদায়গুলো মহারাষ্ট্র, বুন্দেলখন্ড, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু অঞ্চলের স্থানীয় সম্প্রদায়গুলো সবই দিগম্বর। উত্তর ভারতের সারায়াগিস এবং আগারওয়ালরাও দিগম্বর। গুজরাট এবং দক্ষিন রাজস্থানের বেশিরভাগ জৈনরা সিতাম্বরা সংস্কৃতি পালন করে, যদিও এই অঞ্চলে হুমাদ এবং দিগম্বরের মতো কিছু সম্প্রদায় রয়েছে।
ইউটিউবে এদের পাগলামির অসংখ্য নমুনা আছে, দেখে নিতে পারেন। আর গুগল সার্চ দিয়ে অসংখ্য সাইটে আর্টিকেল পড়ে হাসির খোরাক মিটিয়ে নিন। কেননা ধর্মই সকল বিনোদনের উৎস।
Leave a Reply