দেশে নাস্তিকদের যে লিস্ট পাওয়া গেছে তার মধ্যে নাস্তিকদের আইডির সংখ্যা ৮৪। তার মধ্যে ২০ জনকে সনাক্ত করা গেছে। বাকিগুলো ফেক নিক। অর্থাত ২০ জন নাস্তিক ধরলে দেখা যাচ্ছে আসল নিক সহ ব্লগ+ফেসবুকে প্রত্যেকের গড়ে ৪টে করে আইডি। এই আসল নামের বাইরে আলাদা নিক নেমের প্রচলন খুব সম্ভবত বাংলা ব্লগের শুরুতে। তখন মোটামুটি অনেকেই নিজের ব্লগীয় চরিত্রের ধরন অনুসারে নিজস্ব একটা নিক নেম নিতেন। তারও আগে বিভিন্ন চ্যাটিং সাইটে অনেকের ফেকনিক নেয়ার অভিজ্ঞতা আছে হয়তো। সেই রীতিটা ফেসবুকেও পরের দিকে দেখা গেছে এবং এখনো চলছে।
এরপর ব্লগ-ফেবুতে নাস্তিকদের এ ধরনের নিক দেখে আস্তিকদের পুটকি জ্বলতে দেখা গেছে–নাস্তিকদের সাহস নাই, তাই ফেক নিকে ফেসবুকে আসে, পারলে আসল নামে আয়, পারলে ঠিকানা দে, কল্লা ফেলাই দিমু–ইত্যাদি কথাগুলো আস্তিকরা প্রায়ই বলে থাকে। আস্তিকদের কথাটেই বোঝা যাচ্ছে এ দেশে আসল নামে নাস্তিকতার চর্চা করা নিরাপদ নয়। তাই নাস্তিকরা ফেক নিক নিতে বাধ্য হচ্ছে। আসল নিকে আসা সম্ভব হলে অর্থাৎ ধর্ম এবং ধার্মিকরা যদি ভালো হত তাহলে অনলাইনে নাস্তিকদের এসব লেখালেখি করার দরকারই হতো না।
এবার আস্তিকদের ব্যাপার আসি–এরা কেন ফেক নিক ব্যবহার করে? ফেক নিকে এসে কেন গালাগালি করে বা এসব হুমকি দেয়? তারা যদি বলে, নবির সুন্নাত পালন করছে, অর্থাৎ নবি যেমন আল্যা নামক একটা ফেকনিকের আশ্রয় নিয়ে ইহুদি-নাসারাদের গালাগালি করত, হুমকিধামকি দিত, তারাও নবির দেখাদেখি একই কাজ করছে–তাহলে কোনো কথা নেই। আর যদি তা না হয়, তাহলে প্রশ্নটা আবারো করি–আস্তিকরা ফেকনিকে আসে কেন, এবং সেসব নিক থেকে কেন গালাগালি এবং হুমকিধামকি দেয়?
Leave a Reply