লিখেছেন কবীর উদ্দীন
১৫৬.
– প্রতিটি মানুষের দু’কাঁধেই বসে আছেন দুইজন করে নূরের তৈরি ফেরেশতা। কিন্তু কোনো মানুষের কাঁধে বাতি জ্বলতে দেখা যায় না কেন?
– রিজিকের মালিক ফেরেশতাদের জন্য কোনো রিজিক রাখেননি তো, খেতে না পেয়ে বেচারাগুলির তেল ফুরিয়ে মরার দশা। জ্বলবে কেমন করে?
১৫৭.
আমার কাঁধে বসিয়া যে দুইজন ফেরেশতা নিরলস আমলনামা লিখিয়া যাইতেছেন, তাহাদের কাগজ কলম ফুরাইয়া গিয়াছিল। আমার কাছে ব্যাপারখানা জানাইলে আমি তাহাদিগের প্রত্যেককে ৪৯ দিস্তা করিয়া কাগজ ও ৪৯ ডজন করিয়া কলম খরিদ করিয়া দিলাম। এগুলি কত দিবস কত রজনী চলিবে একমাত্র আল্লাহই জানেন! বেচারাদিগের কোনো বিশ্রাম নাই। আমার খুব মায়া লাগে। রিজিকের মালিক রাজ্জাকপাক তাহাদিগের তরে কোনো খানাপিনার বরাদ্দ রাখেন নাই। আমি তাহাদিগকে মাঝে মাঝে চা-কফি খাওয়াইয়া থাকি। তাহার বেজায় খুশি হন। আমার আমলনামায় ভাল ভাল কথা লিখিয়া দেন।
১৫৮.
আল্লাহর কোনো আ-কার নাই। অন্যান্য-কার দিয়ে দেখি তাকে কেমন মানায়!
অ-কার: অল্লহ। ই-কার: ইল্লিহ। ঈ-কার: ঈল্লীহ। উ-কার: উল্লুহ। ঊ-কার: ঊল্লূহ। ঋ-কার: ঋল্লৃহ। এ-কার: এল্লেহ। ঐ-কার: ঐল্লৈহ। ও-কার: ওল্লোহ। ঔ-কার: ঔল্লৌহ।
১৫৯.
ফেরেশতারা নাকি নূরের (মানে আলোর) তৈরি। আলো ত দৃশ্যমান। আলোর তৈরি জিব্রাইল ফেরেশতা এতবার নবীজীর কাছে ওহী নিয়ে আসল, কিন্তু কেউ কভুও তাকে দেখল না কেন?
১৬০.
সার্বজনীন শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নতির প্রধান অন্তরায় হচ্ছে অন্ধবিশ্বাস।
Leave a Reply