এটি কী?
– পবিত্র কোরান শরীফ।
কোরান শরীফ কী?
– আল্লাহর বাণী।
কীভাবে মানা হয় তা আল্লাহর বাণী?
– কারণ কোরানে লিখা আছে।
কে লিখেছে?
– আল্লাহ।
কে বলেছে?
– কোরানে লিখা আছে।
কোরান কি আল্লাহ এনেছে?
– না, মুহাম্মদ এনেছে।
মুহাম্মদ কে?
-আল্লাহর পাঠানো নবী বা রসূল।
তার প্রমাণ কী?
– কোরানে লিখা আছে।
কোরান কার বাণী?
-আল্লাহর।
তাহলে কীভাবে প্রমান হল মুহাম্মদ আল্লাহর নবী?
– ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা
আল্লাহ কে?
– সৃষ্টিকর্তা।
সৃষ্টিকর্তা কী?
– যিনি সাবাইকে সৃষ্টি করেন।
সবার কি সৃষ্টিকর্তা আছে?
-হ্যাঁ।
তাহলে আল্লাহর সৃষ্টিকর্তা কে?
– আল্লাহর কোন শরীক হয় না, উনার সৃষ্টিকর্তা নেই।
কে বলেছে?
– কোরান
কোরান কার বাণী?
– আল্লাহর।
আল্লাহর বাণী প্রমান কী?
– নবী মুহাম্মদ বলেছে।
মুহাম্মদ আল্লাহর নবী – প্রমাণ কী?
– কোরান।
কোরান এল কোত্থেকে?
– আল্লাহ থেকে।
আল্লাহ কোথায় থাকে?
-আসমানে।
তিনি দেখতে কী রকম?
– তাঁর আকার নেই।
– ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা
কোরানের বাণী সত্যি কেমনে বুঝলেন?
– আল্লাহ বলেছে।
আল্লহ কোথায় বলেছে?
– কোরানে।
মুহাম্মদ কি আল্লাহ থেকে কোরান এনেছেন?
– না, সময়ে সময়ে ওহী এসেছে?
কোন সময়ে?
– তিনি যে মুহূর্তে সমস্যার সম্মুখীন হতেন।
আল্লাহ কি সর্বজ্ঞ এবং ভবিষ্যৎ জানেন?
– হ্যাঁ।
তাহলে তিনি আগে থেকে ওহী দিয়ে দিতেন না কেন?
– ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা
কোরান কখন এসেছে?
– ১৪০০ বছর আগেভ
এ ধরণের কিতাব কি আরো এসেছে?
– হ্যাঁ, এসেছে।
কীভাবে জানলেন?
– কোরানে লিখা আছে?
তার সত্যতা কী?
– কোরান আল্লাহর বাণী।
প্রমাণ কী?
– নবী মুহাম্মদ।
তিনি কে?
– তাঁকে আল্লাহ পাঠিয়েছে।
কেন পাঠিয়েছে?
– কোরান নাজিলে, ইসলাম প্রচারে।
এখন আর কিতাব আসে না কেন?
– কারণ মুহাম্মদ শেষ নবী?
কে বলেছে?
– কোরানে লিখা আছে।
কোরানের বাণী যে সত্য, বুঝলেন কীভাবে?
– মুহাম্মদ বলেছে।
মুহাম্মদের কথা সত্যি, তার প্রমান কী?
– কোরানে লিখা আছে?
কোরান কি একটি সাধারণ বই?
– না।
কেন?
– কারণ কোরান আল্লাহর বাণী।
কী করে জানলেন?
– মুহাম্মদ বলেছেন।
মুহাম্মদের কথা সত্যি, তার প্রমান কী?
– কোরানে লিখা আছে ?
কোরান যে সত্যি, আপনি কি নিশ্চিত?
– হ্যাঁ, নবী মুহাম্মদ বলেছে।
মুহাম্মদ কী করতো?
– ধর্ম প্রচার।
কী ধর্ম?
– আল্লাহর শেষ ধর্ম ইসলাম।
ইসলাম আল্লাহর শেষ ধর্ম, কে বলেছে?
– কোরান।
কোরান কার মাধ্যমে এসেছে?
– মুহাম্মদ।
তাহলে এই বাণী সত্যি, তার প্রমান কী?
– কোরান আছে।
মুহাম্মদ কখন থেকে ধর্ম প্রচার করতে শুরু করল?
– ৪০ বছর বয়সে।
এত দেরীতে কেন?
– কারণ তখন কিতাব নাজিল হয়েছে।
কোরান নাজিলের প্রমান কী?
– মুহাম্মদ বলেছে।
মুহাম্মদের কথার প্রমান কী?
– কোরানে লিখা আছে।
কিতাব কি আকাশ থেকে পড়েছে?
– না, জিব্রাইল এসে ওহী দিত।
জিব্রাইল কে?
– ফেরেস্তা, আল্লাহর খাস বান্দা।
জিব্রাইল দেখতে কী রকম?
– ৬০০ ডানা যুক্ত।
কে দেখেছে?
– মুহাম্মদ।
আর কে দেখেছে?
– কেউ না।
কেন দেখেনি?
-ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা
উনি যে আসতো তার প্রমান কী?
– মুহাম্মদ বলেছে, কোরানে লিখা আছে।
কোরান কার মাধ্যমে এসেছে?
– মুহাম্মদ
মুহাম্মদ যে মিথ্যে বলেনি, তার প্রমান কী?
– কোরানে লিখা আছে
মুহাম্মদ কীভাবে ধর্ম প্রচার করেছে?
– তিনি হলেন শান্তির প্রতীক, তিনি সুশৃঙ্খলভাবে ধর্ম প্রচার করতেন।
তাহলে তিনি যুদ্ধ, সংঘর্ষ ইত্যাদি ঘৃণা করতেন?
-হ্যাঁ, তবে কাফেদের যুদ্ধ করে হত্যা করতেন।
কাফের কী?
– যে আল্লাহ অবিশ্বাস করে।
তাহলে তারা কিসে বিশ্বাস করে?
– অন্য ধর্মে।
তারা অন্য ধর্মে বিশ্বাস করে কেন?
– সে ধর্মেও কিতাব আছে এবং ঈশ্বর আছে, তারা ঐ ধর্ম সত্য মানে।
তাহলে সমস্যা কী?
– ইসলাম হল সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম, তাই তাদের ইসলাম গ্রহণ করতে হবে।
কে বলেছে?
– কোরানে লিখা আছে।
কোরান কার লিখা।
– আল্লাহ।
কোরান কে এনেছে?
– মুহাম্মদ।
কীভাবে এনেছে?
– ৪০ বছর বয়স থেকে ওহী এসেছে।
ওহী কে এনেছে?
– জিব্রাইল?
জিব্রাইল কে কে দেখছে?
– শুধুই মুহাম্মদ।
মুহাম্মদ কত বার যুদ্ধ করেছে?
– ২৩ বছর নবী থাকা কালে ৬০ বারের বেশী।
কত কাফের হত্যা করেছে?
-অনেক! এক যুদ্ধে হাজারের কাছকাছিও থাকত, আবার তার বেশী, তার কমও হতে পারে।
অন্য ধর্ম পালন করলে সমস্যা কী?
– কারণ সাবাই আল্লাহর সৃষ্টি।
তার প্রমাণ কি?
– কোরানে লেখা আছে।
কে লিখেছে?
– আল্লাহ।
আল্লাহ কে?
– মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা।
তিনি সৃষ্টি করতে হলেন কীভাবে ?
– নিজে নিজে।
কেন?
– কারণ তাঁর সৃষ্টি কর্তা নেই।
নেই কেন ?
-ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা
মুহাম্মদ কী ধরনের মানুষ ছিলেন?
– তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ।
কে বলেছে?
– কোরানে আছে।
কোরান কে এনেছে?
-মুহাম্মদ।
মুহাম্মদ কি সংসার করেছেন? নাকি কিতাব দিয়ে চলে গেছেন?
-হাঁ, সংসার করেছেন। উনার ১৩ টি বিবি ছিল।
এত বেশী কেন?
তিনি ছিলেন দরদী, তাই বিধবা বিয়ে করতেন, তাছাড়া আল্লাহ বলেছে।
আল্লাহ কোথায় বলেছে?
– ওহী দিয়ে, কোরানে।
ওহী কে আনত?
– জিব্রাইলভ
জিব্রাইল কে কে দেখেছে?
– শুধুই মুহাম্মদ।
উনি প্রথম বিয়ে কখন করেছেন ?
– ২৫ বছর বয়সে ৪৭ বছরের খাদিজাকে।
এরপর?
– খাদিজা মারা যাওয়ার পর বাকি ১২ টা বিয়ে করেন।
খাদিজা বেচে থাকতে একটাও করলেন না কেন?
-আল্লাহ বলেনি।
আল্লাহ কোথায় বলতেন?
– কোরানে।
কোরান কার মাধ্যমে এসেছে?
– মুহাম্মদ।
মুহাম্মদ যে নিজের স্বার্থে খাদিজাকে বিয়ে করেনি, তার প্রমান কী?
– মুহাম্মদ আল্লাহ প্রেরিত মহাপুরুষ, এমন করতে পারে না।
তাঁকে আল্লাহ পাঠিয়েছে, তার প্রমান কী?
– কোরানে লিখা আছে।
তিনি কি সব বিধবা বিয়ে করেছেন?
– না, ৬ বছরের আয়েশাকে করেছেন, আবার নিজের পুত্রের স্ত্রীকেও করেছেন।
এত ছোট মেয়েকে কেন বিয়ে করেছেন?
– আল্লাহর আদেশ ছিল।
আল্লাহ কোথায় আদেশ দিলেন?
– কোরানে।
কোরান কে এনেছিল?
– মুহাম্মদ।
মুহাম্মদ যে মিথ্যে বলেনি, তার প্রমান কী?
– কোরানে লেখা আছে।
তিনি এতগুলো বিয়ে করলেন কেন?
– কারণ দৃষ্টান্ত রেখেছেন, বিধবা বিয়ে করে।
তিন-চারজন বিয়ে করে তো দৃষ্টান্ত রাখা যেত, এত বেশী কেন? এতে কি তাঁর কাম প্রবণতা প্রকাশ পায় ন?,
– না, পায় না।
কেন?
– কারণ তাঁকে আল্লাহ বলেছে।
কোথায় বলেছে?
– কোরানে।
কোরান কে এনেছে?
– মুহাম্মদ।
কীভাবে?
– তাঁর ওপর ওহী আসত জিব্রাইলের মাধ্যমে।
জিব্রাইলকে তো কেঊ দেখত না, শুধু মুহাম্মদ দেখত। তাহলে তাঁর কথা সত্যি, তার প্রমান কী?
– কোরানে লেখা আছে।
এখন আর নবী আসে না কেন?
– কারণ মুহাম্মদ শেষ নবী।
তিনি যে শেষনবী কিংবা তাঁর আগে নবী এসেছে, প্রমাণ কী?
– কোরানে লেখা আছে।
কোরান কি বৈজ্ঞানিক?
– হ্যাঁ।
কী ধরনের?
– কোরানে সব বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আছে।
তাহলে সব ইসলামের অনুসারীরা সবাই বুঝি বিজ্ঞানী?
– না।
কয়েক জন ইসলামী বিজ্ঞানীর নাম বলুন?
– আরবের বিখ্যাত ইসলামী বিজ্ঞানী ইবন আল হাইথাম।
তিনি তো কাফের হিসাবে শত বছর পরিচিত ছিলেন। পৃথিবীকে কোরানের বিপরীতে বলেছিলেন অর্থাৎ সমতল নয় গোলাকার।
– না, আসলে তখন ভুল হয়েছিল। তিনি আসলে ইসলামী বিজ্ঞানী ছিলেন।
আর কয়েক জন?
– ইবনে সিনা।
তিনিও তো তখনকার দিনে কাফের নামে পরিচিত ছিলেন।
– না, আসলে তখনও ভুল হয়েছিল।
– কোরান কি জীব বিজ্ঞান, জিবাশ্মবিজ্ঞান, প্রজনণতত্ব কতৃক স্বীকৃত বিবর্তনতত্ত্ব গ্রহণ করে?
– না।
তাহলে কোরানে কোথায় সকল বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আছে?
– মুহাম্মদ বলেছে, কোরান সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান বই।
এতে কী প্রমাণিত হয় কীভাবে?
– কারণ মুহাম্মদ বলেছে।
মুহাম্মদের কথার ভিত্তি কী?
– তিনি আল্লাহর রসূল।
তার প্রমাণ কী?
– কোরান।
কোরান কে এনেছে?
– মুহাম্মদ।
…
ইহাকে সহি ত্যানা প্যাঁচানি বলা হয় !!!!!!!!
* ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
Leave a Reply