ভাই, আপনি কি ‘নারী’ বইটা পড়েছেন? কিংবা ‘পাক সার জামিন সাদ বাদ’-এর সাথে ইসলামের কোনো মিল খুঁজে পেয়েছেন ?
– শালা কাফেরের বাচ্চা, আজাদের বই মাইনষে পড়ে নাকি ? ব্যাটা একটা মুরতাদ !
কিন্তু ভাই, আপনি না পড়েই যে সমালোচনা করলেন! হুমায়ুন আজাদ স্যারকে গালাগালি করলেন! কীভাবে বুঝলেন বইটি খারাপ?
– মসজিদের ইমাম সাহেব বলেছে, এই বইতে অনেক খারাপ বিষয় আছে।
ভাই, আপনি কি তসলিমা নাসরিনের কোনো বই পড়েছেন ?
– আমি কোনো নারীর যৌনকাহিনী পড়ি না, তসলিমা একটা ***, শেইম শেইম !
ভাই, আপনি বই না পড়ে কীভাবে জানলেন?
– মসজিদের ইমাম সাহেব বলেছে, তসলিমার সব বই চটি কাহিনী। [যদিও মুহাম্মদের জীবনী শুদ্ধভাবে রচনা করলে তিনি রসময় গুপ্তের চটির নায়ক হবেন]
আচ্ছা, ইমাম সাহেব কি আজাদ স্যারের বই পড়েছে?
– [কোনো উত্তর নেই]
থাক, ইমাম সাহেব কি তসলিমা নাসরিনের বই পড়েছে?
– [কোনো উত্তর নেই]
কিছুদিন আগে হুমায়ুন আজাদ স্যারের কবর ভেঙে ফেলার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল মৌলবাদীরা। দাবী করছিল ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে সালাম আজাদ নামের কে একজন বই বের করেছে। তিনি নাকি সম্পর্কে হুমায়ুন আজাদ স্যারের ভাই হন। কিন্তু এই বইয়ের সত্যতা ছিল না কারো কাছে! কেউ দেখাতে পারেনি কী বই বের করা হয়েছে! কিন্তু মসজিদের ইমামের শোনা কথার ওপর ভিত্তি করে মৃত মানুষকে কবর থেকে টেনে তুলে আনতে চায় তারা।
আজ জুম্মার নামাজের পর বাসার পাশ দিয়ে যাচ্ছে বিশাল মারমুখী মিছিল! কোথায়, কে, মুহাম্মদকে নিয়ে কী ছবি বানালো, তার প্রভাবে এখানে উম্মাত ভক্তদের সুড়সুড়ি হচ্ছে। কিন্তু এখন যদি জিজ্ঞেস করি, কয় জন এই ছবি দেখেছেন? গাধারা বাচ্চারা ছবিটির নামও বলতে পারবে না। কিন্তু মসজিদের ইমামের জ্বিহাদী ইন্ধনে ফাটিয়ে দিচ্ছে রাস্তা।
ধর্মান্ধরা খুবই আজব মাল, পাছায় ব্যাটারি থাকলেও চিল্লায়, ব্যাটারি না থাকলেও চিল্লায়।
* ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
Leave a Reply