লিখেছেন কবীর উদ্দীন
১৬৬.
হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করিম (ছঃ) বনি নুজাইর গোত্রের খেজুর বাগান আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। ছহী বুখারী, হাদিস নাম্বার ২৮০২
নবীজি শান্তিকামী জীব ছিলেন, এই তার প্রমাণ। নিরীহ বৃক্ষদেরকে আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রকল্পের সামান্যতম একটি উদাহরণ মাত্র।
১৬৭.
জ্বীন দিয়ে বাক্য রচনা করো।
১. উনুনে জ্বীন জ্বালাইয়া ডাল-ভাত রন্ধন করা হয়।
২. জ্বালাইয়া গেলা মনের জ্বীন নিভাইয়া গেলা না।
১৬৮.
মানুষ ক্লান্তিতে আলস্যে বা ঘুম আসলে হাই তোলে। প্রকৃতপক্ষে হাই তোলা কবীরা গুনাহ। হাই তুললে সাথে সাথে আল্লাপাকের দরবারে “আসতাগফেরুল্লাহ” বলে তওবা করতে হয়। এটা মনুষ্য শরীরের একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এর উপর মানুশের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ইচ্ছে করলেই মানুষ হাই তোলা বন্ধ রাখতে পারে না। হাই তোলা নাকি আল্লার ভীষণ অপছন্দের জিনিস! এই মহাগুনাহের প্রক্রিয়া আল্লাহ মানুষের মাঝে দিলেন কেন?
হাঁচিও মনুষ্য শরীরের একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এটা বান্দার ওপর আল্লাপাক-প্রদত্ত সবিশেষ রহমতের বস্তু। তিনি হাঁচি ভালবাসেন। তাই হাঁচি দেয়ার সাথে সাথে হাঁচিদাতাকে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করতে হয় “আলহামদুলিল্লাহ” বলে। হাঁচি এমনই বরকতময় দ্রব্য যে, এর শ্রোতারাও এর বরকত থেকে বঞ্চিত হয় না! স্রোতাদেরকেও তাই বিশেষ দোয়া পাঠ করে শুকরিয়া আদায় করতে হয়। এবং হাঁচিদাতাকে শ্রোতাদের দোয়া শুনে পুনরায় পুনঃশুকরিয়ার দোয়া পাঠ করতে হয়।
১৬৯.
নবী রাসুলেরা মোজেজা শক্তির অধিকারী ছিলেন। এই শক্তিবলে উনারা পশুপাখি কীটপতঙ্গের সাথে কথা বলতে পারতেন। বাচ্চাদের জন্য নির্মিত কার্টুনে আমরা দেখতে পাই পশুপাখিরা কথা বলছে। তার মানে নবী-রাসুলেরা কি কার্টুন চরিত্র ছিলেন?
১৭০.
স্রষ্টার বিশেষ সৃষ্টি অবতার পয়গম্বরেরা কেউ ইঁদুরে চড়ে ভ্রমণ করতেন, কেউ প্যাঁচায় চড়ে ভ্রমণ করতেন কেউবা বোরাকে চড়ে। আরো কত মজার মজার কাহিনী এবং চরিত্র যে তাঁর সৃষ্টি আছে! স্রষ্টা একজন বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট। এসব মজার চরিত্র দিয়ে বর্তমানে কার্টুন বানালে দারুণ হত।
Leave a Reply