মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
মুয়াত্তা, বুক নং-২, হাদিস নং-২.২৩.৯০:
..নাফি’র বরাতে মালিক কর্তৃক বর্ণিতঃ আব্দুল্লাহ ইবনে উমরের যৌনদাসীগণ তার পা ধুইয়ে দিত এবং তার জন্যে তালপাতার চাটাই এনে দিত, যখন তাদের মাসিক হচ্ছিল।
মালিককে জিজ্ঞেস করা হয় যে, যদি কোন ব্যক্তির স্ত্রী এবং কয়েকজন যৌনদাসী থাকে, তবে সে গোসল না করেই সবার সাথে সহবাস করতে পারে কি না। তিনি বলেন, “গোসল না করেও দু’জন যৌনদাসীর সাথে সহবাস করায় দোষের কিছু নেই। তবে স্বাধীন নারীদের ক্ষেত্রে একজনের বরাদ্দের দিন অন্যের কাছে যাওয়ার অনুমতি নাই। প্রথমে একজন যৌনদাসীর সাথে প্রেম করে অতঃপর দ্বিতীয় জনের কাছে যাওয়ায় দোষের কিছু নাই, যদি সে জুনুব অবস্থায়ও থাকে।”
মালিককে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, একজন লোক জুনুব অবস্থায় আছে। তার গোসলের জন্যে পাত্রে পানি ঢেলে দেয়া হলো। পানি গরম না ঠান্ডা তা পরখ করতে লোকটি পানিতে আঙ্গুল ছোয়াল। মালিক বলেন, “যদি তার আঙ্গুলে কোন নাপাকি না লেগে থাকে, তাহলে আমি মনে করি না যে এজন্যে পানি অপবিত্র হয়ে গেছে।”
মুয়াত্তা, বুক নং-২৮, হাদিস নং-২৮.১৪.৩৩:
….আবদুল্লাহ ইবনে উতাবা ইবনে মাসুদ তার পিতার বরাত দিয়ে বলেন যে ওমরকে একজন ব্যক্তির কথা জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যার দক্ষিণ হস্তের অধিকারে ছিল একজন দাসী ও তার গর্ভজাত কন্যা, এই অবস্থায় লোকটি তাদের একজনের সাথে যৌনসঙ্গম করার পর অপর জনের সাথে করতে পারে কিনা? উমর বলেছিলেন- “উভয়ের সাথে একই সাথে (সহবাস) করা আমি অপছন্দ করি।” অতঃপর তিনি উহা নিষিদ্ধ করেন।
…ক্কাবিসা ইবনে জুওয়াইব এর সুত্রে বর্ণিত- এক ব্যক্তি ওসমান ইবনে আফফানকে জিজ্ঞেস করল যে কারও অধিকারে দুই সহোদর বোন যৌনদাসী থাকলে তাদের উভয়ের সাথে সহবাস করা বৈধ কিনা? ওসমান বলেলেন- “এক আয়াত অনুসারে এটি হালাল, আরেক আয়াত অনুসারে এটি হারাম। আমার ক্ষেত্রে হলে আমি এরূপ করতাম না।” লোকটি তার কাছে থেকে চলে গেল এবং রাসুলুল্লাহর (দঃ) আরেক সাহাবির কাছে যেয়ে প্রশ্নটি রাখল। তিনি বললেন- “যদি আমার কাছে ক্ষমতা থাকত এবং কাউকে এমন করতে দেখতাম, আমি তাকে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতাম।”
ইবনে শিহাব যোগ করেন, “আমার মনে হয় লোকটি আলী ইবনে আবি তালেব।”
Leave a Reply