সত্যিকার অর্থে সৃষ্টিকর্তার সন্ধান (যদি থেকে থাকে) কিন্তু নাস্তিকরাই করছেন। ধর্মগ্রন্থের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না থেকে তারা বৈজ্ঞানিক উপায়ে সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন কিভাবে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হলো, কে এসব সৃষ্টি করলেন। এখানে উল্লেখ, ধর্মগ্রন্থের ব্যাখ্যা যে ভুল এবং মিথ্যা, সেটা একটু কমনসেন্স খাটালেই বোঝা সম্ভব। যা হোক, এখন পর্যন্ত সৃষ্টিকর্তার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায় নাই। তাই তারা নাস্তিক। আবার পাওয়া গেলে তারাই সবার আগে মেনে নিবে। আর তখন আস্তিকরা নাস্তিকদের সেই সৃষ্টিকর্তাকে মেনে নিবে নাকি নানা ধর্মের ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত যার যার ঈশ্বর বিশ্বাসেই চিন্তাভাবনা সীমাবদ্ধ রাখবে, সেটা জানার ইচ্ছে আছে।
অনেক আস্তিক তাদের ঈশ্বরের পক্ষে ধর্মগ্রন্থের বিশ্বাসের পাশাপাশি ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে আরেকটি যুক্তি দিয়ে থাকেন–এই সুন্দর সুসজ্জিত দুনিয়া এত সুশৃঙ্খল ভাবে চলছে যা যে দেখেই বোঝা যায় ঈশ্বর ছাড়া আর কারো পক্ষে এসব সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। এখানে নাস্তিকরা আরেকটি প্রশ্ন করেন–তাহলে এই ঈশ্বরকে সৃষ্টি করলেন কে?
আস্তিকরা এখানে যুক্তির বদলে ধর্মগ্রন্থের বিশ্বাস থেকে উত্তর দেন–তাকে কেউ সৃষ্টি করেন নাই। তিনি নিজে নিজে সৃষ্টি হয়েছেন।
এখানে আবার নাস্তিকদের পুরানো প্রশ্ন যেখানে আস্তিকরা যুক্তি দিতে না পারলেও চুপ না থেকে গালাগালি শুরু করেন–ঈশ্বরের মত এত বিশাল একটা সত্ত্বা যদি নিজে নিজে সৃষ্টি হতে পারেন তাহলে এই সামান্য দুনিয়াটা কেন নিজে নিজে সৃষ্টি হতে পারবে না?
যা হোক, এই নিয়ে আবার ক্যাচালে না যাই–যা বলতে চাইছিলাম,–নাস্তিকরা যেমন যুক্তিযুক্ত পথে সৃষ্টির শুরু কিভাবে হলো, সেই নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাহলে এই যুক্তিবাদী(?) আস্তিকরা শেষ পর্যন্ত যুক্তি দিতে না পেলে ধর্মগ্রন্থের আশ্রয় না নিয়ে কেন ঈশ্বর কিভাবে সৃষ্টি হলেন–ধর্মগ্রন্থের বিশাল জ্ঞান নিয়ে সেই গবেষণায় মন দিচ্ছেন না?
Leave a Reply