ইছলামী দৃষ্টিতে নারী থাকবে ঘরে বন্দী হয়ে, তার পড়াশোনা ও জ্ঞান আহরণের প্রয়োজনীয়তা নেই, স্বামীর মনোরঞ্জন ও সংসার দেখাশোনা করাটাই তার জীবনের একমাত্র আরাধ্য বিষয় এবং এ কারণেই আল্লাহপাক তাকে সৃষ্টি করেছে। আর তাই নারীর মতামতের মূল্য ইছলামে নেই, সে কি জানে না! সে কি জানে না, নারীর অবাধ্যতা ইছলাম বরদাশত করে না?
প্রথম আলো:
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সোয়াত উপত্যকায় নারী শিক্ষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত ও তালেবানের বিরুদ্ধে সোচ্চার এক কিশোরী বন্দুকধারীদের গুলিতে আহত হয়েছে। ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীর নাম মালালাই ইউসুফজাই। গুলিবিদ্ধ হলেও ইউসুফজাই এখন আশঙ্কামুক্ত।
কর্মকর্তারা বলেছেন, বন্দুকধারীরা গতকাল মঙ্গলবার মিংগোরা এলাকার একটি বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফেরার পথে ইউসুফজাইকে গুলি করে। ২০০৯ সালে তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকার মানুষের জীবনযাপন নিয়ে বিবিসি উর্দুতে লেখালেখির সুবাদে সবার নজরে আসে ইউসুফজাই। বিবিসি।
পড়ে পাঠক ভাবতে পারেন, কিশোরীটির ওপরে আক্রমণ চালানো হয়েছে তার কর্মকাণ্ডের কারণেই, এমন তো না-ও হতে পারে। এই ঘটনার সঙ্গে ইছলামীদের সংপৃক্ততা আছে, সে কথা তো এই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে না।
তা যাচ্ছে না বটে। তবে প্রথম আলো অনেক প্রসঙ্গেই পাঠককে অন্ধকারে রাখতে ভালোবাসে। চলুন, যাচাই করি। তাদের রিপোর্টটির তথ্যসূত্র বিবিসি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন দেখা যাক বিবিসি’র মূল রিপোর্ট। সেখানে একেবারে প্রায় শুরু দিকেই বলা হয়েছে:
A Pakistani Taliban spokesman told the BBC they carried out the attack.
Ehsanullah Ehsan told BBC Urdu that they attacked her because she was anti-Taliban and secular, adding that she would not be spared.
অর্থাৎ হামলা চালিয়েছে ইছলামীরাই এবং তারা এ-ও বলেছে, এ যাত্রা সে বেঁচে গেলেও তাকে ছেড়ে দেয়া হবে না।
কোনও হামলায় হামলাকারী কে, সেই তথ্য নিশ্চয়ই গুরুত্বহীন নয়। তবু এই অংশটি কেন বেমালুম চেপে গেছে প্রথম আলো, অনুমান করে নিন।
প্রসঙ্গত, বিবিসি’র রিপোর্টে প্রায় এক বছর আগে দেয়া এই কিশোরীর সাক্ষাৎকারের ছোট্ট ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। অবশ্যই দেখে নিন।
Leave a Reply