১.
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ছিলো ব্ল্যাসফেমি অধিকার দিবস। ধর্মকারীতে এই দিনটি আলাদা করে পালন করা হয়নি, কারণ এখানে প্রতিদিনই ব্ল্যাসফেমি অধিকার দিবস। তবে এই অধিকার ধর্মবাজেরা কোনওদিনই আমাদেরকে দেবে না। তাই আমাদেরকেই তা প্রতিষ্ঠা করে নিতে হবে। নাস্তিক্যবাদ ও ব্ল্যাসফেমির বিরুদ্ধে ধর্মবাজদের চিরন্তন ক্রোধ। ১৬৯৭ সালের ব্ল্যাসফেমি আইন সংক্রান্ত একটি পৃষ্ঠা এবং বর্তমানে এই আইনের চর্চা চালানো দেশগুলোর একটি তালিকা দেখুন এখানে। তালিকায় বাংলাদেশের নামও আছে।
২.
একটি সচিত্র রিচার্ড ডকিন্স বাণী। অত্যন্ত চমৎকার।
৩.
মসজিদের মোয়াজ্জিন যখন ইয়া আল্লাহ ও ইয়া নবী জিকির করার বদলে ইয়াবা নিয়ে ব্যস্ত থাকে…
৪.
পারিবারিক কলহের কারণে প্রতিবেশীরা এক গৃহবধূকে নগ্ন করে গাছে বেঁধে রাখায় তিনি যৌন হয়রানির মামলা করেছিলেন, সেই ‘অপরাধে’ মসজিদিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত শরিয়তী বিচারে তাঁকে মাটিতে পুঁতে পাথর ছোঁড়ার ফতোয়া দেয়া হয়েছে। একেবারেই ছহীহ ইছলামী বিচার! মনে হচ্ছে, অচিরেই বালিবহুল ইছলামী দেশগুলো থেকে ছহীহ বালি আমদানী করে দেশজুড়ে তা ছড়িয়ে দিয়ে কিছু খর্জ্জুরবৃক্ষ রোপণ করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে।
৫.
আইনস্টাইনকে নিজেদের দলে ভেড়ানোর জন্য মরিয়া আস্তিকেরা বৃথা কাঠ-খড় পোড়ায়। মুক্তমনার এই পোস্ট এবং তাতে অভিজিৎ-এর মন্তব্য দ্রষ্টব্য।
৬.
বলাৎকার, নিপীড়ন ও ধর্ষণের মাধ্যমে ধর্মান্তর: পাকিস্তানে ইসলামের জয়জয়কার।
৭.
ধর্ম মানেই অত্যাচার, নিপীড়ন, যুদ্ধ, রক্তপাত, হত্যা… খ্রিষ্টধর্মের এই জাতীয় মহান কর্মকাণ্ডের একটি খতিয়ান।
৮.
আমেরিকার কোন প্রদেশে কোন ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা কতো? এবং তার প্রেক্ষাপটে নির্ধার্মিকদের সংখ্যা কি একেবারেই তুচ্ছ? মোটেই তা নয়। প্রতিটি প্রদেশের নামের ওপরে ক্লিক করে জেনে নিন। বেশ কৌতূহলোদ্দীপক।
৯.
যুগে যুগে নবীজির খোমামোবারক।
(লিংক: Nirmitobbyo Nirmi)
১০.
এক জঙ্গি ইছলামবাজকে বিচারের জন্য ইংল্যান্ড থেকে আমেরিকায় পাঠানোর বিরোধিতা করলো এক দল মুছলিম নারী-পুরুষ। দেখে ঘেন্না ধরে গেল!
(লিংক: ধ্রুবনীল)
১১.
অনুভূতিতে আঘাত পেতে উন্মুখ মুছলিমদের অনুভূতিমালার সুদীর্ঘ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন – আনারস। এক বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণ মেলায় এক দল নাস্তিক তাদের স্টলে একটি আনারসের গায়ে ‘মুহম্মদ’ লিখে রেখেছিল। এবং এতেই আহত হলো মুছলিমদের আনারসানুভূতি।
(লিংক: ধ্রুবনীল)
১২.
বিশ্বাসের প্রভাবে মানুষের সাধারণ বোধবুদ্ধি এতোটাই লোপ পায় যে, নিজের সন্তানদের জীবনও তুচ্ছ হয়ে পড়ে সেই বিশ্বাসের সামনে – এ কথা বহু বহুবার প্রমাণিত। আরও তিনটি ঘটনা:
১. ভারতে এক পিতা আধ্যাত্মিক শক্তি ও ধনসম্পদ লাভের আশায় তান্ত্রিক গুরুর পরামর্শে নিজের শিশুকে উৎসর্গ করেছে।
২. বিশ্বাসনির্ভর চিকিৎসক (faith healer) দম্পতি তাদের অসুস্থ পুত্রকে প্রার্থনার জোরে সুস্থ করতে চেয়েছিল বলে তাকে হাসপাতালে নিতে অস্বীকৃতি জানালে সে মারা যায়। হায়, দোয়া-মোনাজাত-প্রার্থনায় কোনও বালটাই হয় না, এই সত্যটি এই জাতীয় চুদির্ভাইদের মাথায় কখনওই ঢুকবে না।
৩. অনৈসলামিক আচরণের কারণে মা তার নিজের কন্যাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাংস কাটার ছুরি দিয়ে আঘাত করে আহত করতে সমর্থ হয় শুধু। ছুরিখানা যথেষ্ট ধারালো ছিলো না বলে পরে আক্ষেপ করেছে মা।
Leave a Reply