১৩৯.
এলোমেলো পোশাকে এক মদমত্ত লোক ট্রামে চড়ে যাচ্ছিলো। তার গালে লিপস্টিকের দাগ। একটা পত্রিকা খুলে পড়ার চেষ্টা করছে। পাশে বসে আছে এক পোপ। এক সময় লোকটি পোপের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো:
– আচ্ছা, ফাদার, আরথ্রাইটিস (গ্রন্থিবাত) কেন হয়, বলতে পারেন?
– আরথ্রাইটিস হয় সেসব লোকের, যারা সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হয়, মদ্যপান করে, ভ্রষ্টা নারীর সঙ্গে সময় অতিবাহন করে…
– খাইসে! – বলে লোকটি একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে মেঝের দিকে।
তাকে দেখে পোপের করুণা হলো। সে বললো:
– প্লিজ, মন খারাপ করবেন না। কবে থেকে ভুগছেন আরথ্রাইটিসে?
– আরে ধুর! আমার আরথ্রাইটিস নেই। পত্রিকায় লিখছে, ভ্যাটিকানের পোপের আরথ্রাইটিস হয়েছে…
১৪০.
এক ভিক্ষুক সারাটা দিন মসজিদের পাশে বসে ভিক্ষা করে ‘আল্লা দে, আল্লা দে’ বলে। দিনশেষে তার উপার্জন একেবারেই সামান্য। মন খারাপ করে একদিন সন্ধ্যার পরে সে হাঁটতে হাঁটতে হাজির হলো এক বারের পাশে। সেখানে বসে সে চালিয়ে যেতে থাকলো ‘আল্লা দে, আল্লা দে’ জিকির। এক সময় বার থেকে এক মাতাল বের হয়ে এসে ভিক্ষুককে এক তোড়া নোট দান করে চলে গেল। হতবিহ্বল ভিক্ষুক বিড়বিড় করে বললো:
– আল্লাহ, তুমি থাকো কই, আর তোমারে খুঁজি কই!
১৪১.
জাহাজ ডুবছে। যাত্রীদের মধ্যে তিনজন মাত্র প্রাপ্তবয়স্ক: এক শিক্ষক, এক আইনজীবী আর এক ধর্মযাজক। বাকি সকলেই শিশু। আইনজীবী সবার আগে গিয়ে উঠলো ছোট্ট লাইফবোটে। শিক্ষক বললেন:
– করছেন কী! জাহাজভর্তি শিশু! ওদের কী হবে?
আইনজীবী বললেন:
– Fuck them all!
ধর্মযাজক বললেন:
– সময়ে কুলিয়ে উঠতে পারবো?
Leave a Reply