মূসা দ্দিদ (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্নিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন ইহুদীকে একজন বালিকার বদলে হত্যা করেছেন। সে রৌপ্যালংকারের লোভে ওকে হত্যা করেছিল।
-সহীহ বুখারি (ইফা) # ৬৪১৯
এরকম আরো উদাহরণ দেয়া যায় যেখানে ইসলামে হত্যার বদলে হত্যার কথা বলা আছে। আর ইহুদি-নাসারাগো কিতাবে কী আছে দেখা যাক–
আদিপুস্তক-এ দেখা যায়, কয়িন তার ভাই হেবলকে হত্যা করলে তার শাস্তি ছিল নির্বাসন। তখন কয়িন প্রভুকে বলে যে কেউ যদি তাকে (কয়িনকে) হত্যা করে তাহলে কী হবে।
প্রভু বলেন, তার শাস্তি হবে কয়েকগুণ বেশি। (আদিপুস্তক ৪:১৫)
কতগুণ বেশি? আদিপুস্তক ৪:২৪-এ বলা হয়েছে সাত গুণ। এখানে আরো উল্লেখ করা হয়েছে লেমককে হত্যার শাস্তি সাতাত্তর গুণ বেশি।
লেমক কে? কয়িনের অধঃস্তন ষষ্ঠ প্রজন্ম।
কয়িন->হনোক->ইরদ->মহূয়ায়েল->মথুশায়েল->লেমক
দেখা যাচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের কাউরে হত্যা করলে তার শাস্তি কয়েকগুণ করে বাড়ছে। এবার তাদের কিতাব অনুসারে বর্তমানের ইহুদি-খ্রিষ্টানরা কততম প্রজন্ম, সেটা হিসাব করেন। শাস্তির মাত্রাও কতগুণ হবে, সেটা হিসাব করেন। তারা যদি মুসলমানদের মত খুনের বদলে খুন করা শুরু করে, তাহলে একটা ইহুদি-খ্রিষ্টান হত্যার বদলে কতগুণ শাস্তি দিতে পারে, হিসাব করেন।
শুধু কথায় নয়, কাজেও তারা সেই শাস্তি কড়ায়-গণ্ডায় মিটিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে এখন। ভাগ্যিস তারা মুসলমানদের মত এভাবে ধর্মগ্রন্থ মাইনা চলে না। নইলে দুনিয়ায় এতদিনে ইহুদি-খ্রিষ্টান ছাড়া আর কেউ থাকত কিনা সন্দেহ।
সবাই যার যার ধর্মগ্রন্থ মাইনা চললে আপনার সুবিধা নাকি সবাই মানবিক আচরণ করলে আপনার সুবিধা–নিজেই বিচার করেন। আশা করি এবার বুঝতে পারছেন নাস্তিকরা কেন “সবার উপরে মানুষ সত্য”, “মানুষ মানুষের জন্য” ইত্যাদি কথাগুলো বার বার বলে থাকে।
Leave a Reply