লিখেছেন গোলাপ
“এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথপ্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য, যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে। তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম (২:২-৫)”
১) শয়তানের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের পেছনের মদদদাতা “স্বয়ং আল্লাহ”!২) আল্লাহর অনুমতি ছাড়া শয়তানের “কিচ্ছু” করার ক্ষমতা নেই!
৩) “স্বয়ং আল্লাহই” অবিশ্বাসীদেরকে বিপথগামী ও পথভ্রষ্ট করেন!
৪) নিশ্চয়ই আল্লাহ অবিশ্বাসীদের সৎপথ প্রদর্শন করেন না!৫) আল্লাহ “যাকে ইচ্ছা” সরল পথে চালান।
৬) আল্লাহ “যাকে ইচ্ছা” পথভ্রষ্ট করেন!৭) আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন, যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন!৮) বিপথগামী করেন “যিনি”, শাস্তিও দেবেন “তিনিই”!৯) আল্লাহর “ইচ্ছা নয়” যে, সবাই সুপথ প্রাপ্ত হোক! কারণ?
১০) কারণ, “তিনি” জিন ও মানবকে দিয়ে অবশ্যই জাহান্নাম পূর্ণ করবেন।
এখন প্রতিটি পয়েন্ট বিশ্লেষণ করা যাক।
১৯:৮৩ – আপনি কি লক্ষ্য করেননি যে, আমি কাফেরদের উপর শয়তানদেরকে ছেড়ে দিয়েছি। তারা তাদেরকে বিশেষভাবে (মন্দকর্মে) উৎসাহিত করে।
৪১:২৫ – আমি তাদের পেছনে সঙ্গী লাগিয়ে দিয়েছিলাম, অতঃপর সঙ্গীরা তাদের অগ্র-পশ্চাতের আমল তাদের দৃষ্টিতে শোভনীয় করে দিয়েছিল। তাদের ব্যাপারেও শাস্তির আদেশ বাস্তবায়িত হল, যা বাস্তবায়িত হয়েছিল তাদের পূর্ববতী জিন ও মানুষের ব্যাপারে। নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত।
৪৩:৩৬ – যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী।
৫৮:১০ – এই কানাঘুষা তো শয়তানের কাজ; মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার জন্যে। তবে আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত সে তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপর ভরসা করা
৪:৮৮ – অত:পর তোমাদের কি হল যে, মুনাফিকদের সম্পর্কে তোমরা দু’দল হয়ে গেলে? অথচ আল্লাহ্ তা’আলা তাদেরকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন তাদের মন্দ কাজের কারনে! তোমরা কি তাদেরকে পথ প্রদর্শন করতে চাও, যাদেরকে আল্লাহ্ পথভ্রষ্ট করেছেন? আল্লাহ্ যাকে পথভ্রান্ত করেন, তুমি তার জন্য কোন পথ পাবে না|
৭:১৮৬ – আল্লাহ্ যাকে পথভ্রষ্ট করেন| তার কোন পথপ্রদর্শক নেই| আর আল্লাহ্ তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে মত্ত অবস্তায় ছেড়ে দিয়ে রাখেন|
১৬:৩৭ – আপনি তাদেরকে সুপথে আনতে আগ্রহী হলেও আল্লাহ যাকে বিপথগামী করেন তিনি তাকে পথ দেখান না এবং তাদের কোন সাহায্যকারী ও নেই।
৩০:২৯ – বরং যারা যে-ইনসাফ, তারা অজ্ঞানতাবশতঃ তাদের খেয়াল-খূশীর অনুসরণ করে থাকে। অতএব, আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তাকে কে বোঝাবে? তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
৫:৬৭ – হে রসূল, পৌছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে| আর যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তাঁর পয়গাম কিছুই পৌছালেন না| আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন| নিশ্চয় আল্লাহ্ কাফেরদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না|
৬:১৪৪— অতএব সে ব্যক্তি অপেক্ষা বেশী অত্যচারী কে, যে আল্লাহ্ সম্পর্কে মিথ্যা ধারণা পোষন করে যাতে করে মানুষকে বিনা প্রমাণে পথভ্রষ্ট করতে পারে? নিশ্চয় আল্লাহ্ অত্যাচারী সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না|
৬১:৭ – যে ব্যক্তি ইসলামের দিকে আহুত হয়েও আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বলে; তার চাইতে অধিক যালেম আর কে? আল্লাহ যালেম সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না।
২:১৪২-এখন নির্বোধেরা বলবে, কিসে মুসলমানদের ফিরিয়ে দিল তাদের ঐ কেবলা থেকে, যার উপর তারা ছিল? আপনি বলুন: পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহ্রই| তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান|৪:৪৯ –তুমি কি তাদেকে দেখনি, যারা নিজেদেরকে পূত–পবিত্র বলে থাকে অথচ পবিত্র করেন আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা তাকেই? বস্তুত: তাদের উপর সুতা পরিমাণ অন্যায়ও হবে না|২২:১৬ – এমনিভাবে আমি সুস্পষ্ট আয়াত রূপে কোরআন নাযিল করেছি এবং আল্লাহ–ই যাকে ইচ্ছা হেদায়েত করেন।
৬:৩৯-যারা আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা বলে, তারা অন্ধকারের মধ্যে মূক ও বধির| আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন|
১৪:৪ – আমি সব পয়গম্বরকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে। অতঃপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা, পথঃভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথ প্রদর্শন করেন।৩৫:৮ – যাকে মন্দকর্ম শোভনীয় করে দেখানো হয়, সে তাকে উত্তম মনে করে, সে কি সমান যে মন্দকে মন্দ মনে করে। নিশ্চয় আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচছা সৎপথ প্রদর্শন করেন। সুতরাং আপনি তাদের জন্যে অনুতাপ করে নিজেকে ধ্বংস করবেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ জানেন তারা যা করে।
৫:৪০-তুমি কি জান না যে আল্লাহর নিমিত্তেই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আধিপত্য| তিনি যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন| আল্লাহ্ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান|
১৭:৫৪ – তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের সম্পর্কে ভালভাবে জ্ঞাত আছেন। তিনি যদি চান, তোমাদের প্রতি রহমত করবেন কিংবা যদি চান, তোমাদের আযাব দিবেন। আমি আপনাকে ওদের সবার তত্ত্বাবধায়ক রূপে প্রেরণ করিনি।
২৯:২১ – তিনি যাকে ইচ্ছাশাস্তি দেন এবং যার প্রতি ইচ্ছা রহমত করেন। তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
৬:১০৭ – যদি আল্লাহ্ চাইতেন তবে তারা শেরক করত না| আমি আপনাকে তাদের সংরক্ষক করিনি এবং আপনি তাদের কার্যনির্বাহী নন| ৬:১১২ -এমনিভাবে আমি প্রত্যেক নবীর জন্যে শত্রু করেছি শয়তান, মানব ও জিনকে| তারা ধোঁকা দেয়ার জন্যে একে অপরকে কারুকার্যখচিত কথাবার্তা শিক্ষা দেয়| যদি আপনার পালনকর্তা চাইতেন,তবে তারা এ কাজ করত না|
১০:৯৯ – আর তোমার পরওয়ারদেগার যদি চাইতেন, তবে পৃথিবীর বুকে যারা রয়েছে, তাদের সবাই ঈমান নিয়ে আসতে সমবেতভাবে। তুমি কি মানুষের উপর জবরদস্তী করবে ঈমান আনার জন্য?
৭৪:৫৫-৫৬ – অতএব, যার ইচ্ছা, সে একে স্মরণ করুক। তারা স্মরণ করবে না, কিন্তু যদি আল্লাহ চান।তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং ক্ষমার অধিকারী।
৫:৪৯-আর আমি আদেশ করছি যে, আপনি তাদের পারýপরিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ্ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী ফয়সালা করুন; তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না এবং তাদের থেকে সতর্ক থাকুন–যেন তারা আপনাকে এমন কোন নির্দেশ থেকে বিচ্যুত না করে, যা আল্লাহ্ আপনার প্রতি নাযিল করেছেন| অনন্তর যদি তার মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে নিন, আল্লাহ তাদেরকে তাদের গোনাহের কিছু শাস্তি দিতেই চেয়েছেন| মানুষের মধ্যে অনেকেই নাফরমান|
২২:১৮ – — আবার অনেকের উপর অবধারিত হয়েছে শাস্তি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন, তাকে কেউ সম্মান দিতে পারে না। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন।
৩২:১৩-১৪ – আমি ইচ্ছা করলে প্রত্যেককে সঠিক দিক নির্দেশ দিতাম; কিন্তু আমার এ উক্তি অবধারিত সত্য যে, আমি জিন ও মানব সকলকে দিয়ে অবশ্যই জাহান্নাম পূর্ণ করব। অতএব এ দিবসকে ভূলে যাওয়ার কারণে তোমরা মজা আস্বাদন কর। —
Leave a Reply