কলম সলবে। এই কথা বলার পরে যদি নিজেই আবার ঠিক করে দেন কলমের সীমা–কলম কতদূর পর্যন্ত যাবে, কী কী বলতে পারবে, কী কী বলতে পারবে না…তাহলে বিষয়টা বাচ্চামি বলে মনে হবে। আর এ ধরনের আচরণকে হয়তো হিপোক্রেসি বলা যেতে পারে।
২) গালাগালি করাটাও মানুষের অধিকার, হ্যাঁ বাকস্বাধীনতাই–যার যেমন রুচি; কিন্তু গায়ে হাত দেয়াটা বা হাত দেয়া বা ক্ষতি করার হুমকি দেয়াটা অপরাধ। বাকস্বাধীনতার পক্ষ নিয়ে কারো কথা বলার সীমা নির্ধারণ করে দিতে পারি না।
৩) একটা কমন গ্রাউণ্ডে এসে যুক্তি-তর্ক-আলোচনায় নিজের মতামত-যুক্তি তুলে ধরতে পারি। কেউ কিছু দাবী করলে প্রমাণ দেখাতে বলতে পারি। কিছু না বুঝলে প্রশ্ন করতে পারি। কে কী কোথায় কখন কিভাবে… (প্রশ্নতে প্যাচানি মনে করতে পারি, বিরক্ত বা বিব্রত হতে পারি, কিন্তু প্রশ্ন করা যাবে না–এমন কথা বলতে পারি না।)
৪) সব প্রশ্নের উত্তর আছে। “জানি না/বলতে পারছি না”–এটাও একটা উত্তর।
৫) সবার উপরে মানুষ সত্য, কিংবা গাহি সাম্যের গান–এই ধরনের গান যখন গাওয়া হত, মনে হয় না এখানে এই মানুষের কাতারে নারীদের গণ্য করা হয়েছিল; মনে হয় এই গান শুধু ধনী-গরীব পুরুষদের সাম্যাবস্থার কথা বলে, ধর্মীয় ভেদাভেদ মুছে দেয়ার কথা বলে। ফাঁকটা পূরণ করতেই নারীবাদের সৃষ্টি। নারীবাদ নারী-পুরুষের সাম্যাবস্থার দাবী করে শুধু…পুরুষদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে চলতে নারীদেরকেও ডাক দেয়; পুরুষদেরকেও বলে নারীর জন্য সমান জায়গা ছেড়ে দিতে…
৬) নারীবাদ নারীদেরকে মানুষ হতে দেয় না, নারী করেই রাখে।–আবালীয় স্টেটমেণ্ট। নারী-পুরুষ উভয়েই মানুষ। তাদেরকে আলাদা করে মানুষ হওয়ার দরকার পড়ে না। যারা নারীদেরকে মানুষ বলে মনে করে না, তারাই নারীদেরকে মানুষ হওয়ার উপদেশ দেয়। বাপকা বেটা–একটা পুরুষ যখন পুরুষ হতে চায়, তখন আরেকটা পুরুষ এসে সেই পুরুষকে উপদেশ দেয় না–মানুষ হন। নারীবাদ বিষয়টা পিছিয়ে পড়া নারীদের অধিকারের বিষয়, পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরকেও সমান দৃষ্টিতে দেখার বিষয়।
৭) নারীবাদ ভালো হইলে পুরুষবাদ খারাপ হবে কেন?–হাহাহা…
৮) নারীবাদী হইলে পুরুষের সাথে প্রেম/সেএণ্ডক্স করেন কেন?–নাস্তিক-মুক্তমনাদের এই প্রশ্নটা অবিকল আস্তিকদের এই প্রশ্নগুলার মত–
সমকামিতাকে সমর্থন করেন কেন, আপনি কি সমকামী?
হিন্দুদের পক্ষে লেখেন কেন, আপনি কি হিন্দু?
মুসলমানদের পক্ষে লেখেন কেন, আপনি কি মুসলমান?
অমুকের পক্ষে লিখেন কেন, আপনি কি অমুকের পা-চাটা মুরিদ?
৯) ব্লগের দিনগুলা মিস করি। কেউ একজন পোস্ট দিত। নেট স্লো, সাইট স্লো, তারপরও সেসব পোস্ট ডিফেণ্ড করে কমেণ্টের পর কমেণ্ট, তুমুল তর্ক-বিতর্ক…খেয়ে, না খেয়ে…ঘণ্টার পর ঘণ্টা… আস্তিকরা যদি তখন ট্যাগানো শিখত–জানিনা, তখন পর্যন্ত কতজনের মুরিদ হইতাম!
১০) বোবার কোনো শত্রু নাই। সবাই মৃতদের মত চুপ থাকেন।
Leave a Reply