লিখেছেন আইসিস
আজকের লেখার মূল বিষয় হলো নব্য মুসলিমস। বিষয় অবতারণার পেছনে দায়ী তিনটি ঘটনা।
প্রথমটি হলো, আমার পরিচিত এক ছোটো ভাই – অত্যন্ত মেধাবী। যুক্তরাষ্ট্রের এক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সে বৃত্তি নিয়ে পড়েছে। প্রেমে পড়েছিলো এক মেয়ের। সম্পর্ক টেকেনি। তাই দেশে গিয়ে এক হিজাবধারীকে বিবাহ করেছে। হানিমুনের ছবি দেখে হাসবো না কাঁদবো, বুঝে উঠতে পারছিলাম না। সমুদ্র প্রান্তরে নেংটুপুটুদের মাঝে টাইটস পড়া হিজাবী বউ।
দ্বিতীয়টি হলো, আমার আরেক মামাতো বোন। মা, বড়ো বোন বেশ ফ্যাশনেবল। পারিবারিক ছবিতে দেখলাম নাসারা পোষাক পরিহিত মা-বোনের মাঝে হিজাব পরিহিত তার শালীন চেহারা। অনাবৃত মুখ যদিও পুরোটাই মেকাপ চর্চিত (ইসলামে পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, এমন কিছু করা বারণ বলেই জানতাম); ওর মাকে জিজ্ঞেস করায় বললো, স্কুল থেকে জ্ঞান আহরণ করে এসেছে।
তৃতীয়টি হলো, আমার স্কুলের পুরনো একটি ভিডিও। আমার ব্যাচের ছবিতে কাউকে মাথায় ‘টোপর’ দিতে দেখিনি। অথচ বসুন্ধরা সিটি মলের ২০১৩ সালের এক ভিডিওতে ১০ টা মেয়ের মাঝে দেখলাম ৪ টা মেয়ের মাথায় কাপড়।
ধর্মকারীতে নতুন নতুন লেখকদের আগমন আমাকে যেমন আশান্বিত করে, তেমন এই ঘটনাগুলো আমাকে ব্যথিত করে।
আমার নিজস্ব ব্যাখ্যা হলো – ইন্টারনেটের যুগে তথ্যপ্রযুক্তি খুব সহজলভ্য। সারা বিশ্ব এখন একই তালে ছুটছে। সেই সময় সবাই চায় একটা দলভুক্ত হতে। মুসলিম দলভুক্ত হতে তেমন কোনো স্কিল লাগে না। ভালো অংক জানতে হয় না, বিতর্ক করতে জানতে হয় না। খালি মানুষজনকে ঘৃণার চোখে দেখতে পারলেই চলে।
আর মুসলিম এক্সট্রিমিস্টদের ডোনেশনে প্রত্যেক স্কুলে আছে তাদের বেশ ভালো নেট ওয়ার্ক। এই সুযোগে আমার মামাতো বোনের মতো পরিবারের অজান্তেই অনেকেই এদের ফাঁদে পা দিচ্ছে। ব্যাংক বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনাকারী নাফিসের হাতেখড়ি স্কুল থেকেই হয়েছে।
Leave a Reply