বিয়ের পক্ষে-বিপক্ষে কিছু যুক্তি (কয়েকদিন আগে একটা নাটকে দেখা)-
বিয়ের পক্ষে যুক্তি:
==========
যুক্তি#১: মানুষ সামাজিক জীব। সে একা থাকতে পারে না। সেজন্য সে বিয়ে করে।
যুক্তি#২: মানুষ সামাজিক জীব। তার ঝগড়া করার জন্য একজন সঙ্গী দরকার। তাই সে বিয়ে করতে চায়।
যুক্তি#৩: মানুষ সামাজিক জীব। তাকে সুখে থাকতে ভূতে কিলায়। এজন্য সে বিয়ে করে।
বিয়ের বিপক্ষে যুক্তি:
===========
যুক্তি#১: মানুষ সামাজিক জীব। সে একা থাকতে পারে না। সেজন্য সে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ে করার পরেও সে অনুভব করে–সে আসলেই একা। অতএব, বিয়ে করার কোনও দরকার নেই।
যুক্তি#২: মানুষ সামাজিক জীব। তার ঝগড়া করার জন্য একজন সঙ্গী দরকার। তাই সে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু বিয়ে করার যখন সত্যি সত্যি ঝগড়া লেগে যায়, তখন তার আর ঝগড়া করতে ভালো লাগে না। তখন সে শুধু ভাবে–এ-আপদ কবে দূর হবে। সুতরাং, বিয়ে করার কোনও দরকার নেই।
যুক্তি#৩: মানুষ সামাজিক জীব। তাকে সুখে থাকতে ভূতে কিলায়। এজন্য সে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পর যখন সত্যি সত্যি ভূত এসে তার ঘাড়ে চেপে বসে এবং ঘাড় মটকে দিতে চায় তখন তার ছেঁড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা হয়। কাজেই বিয়ে করার কোনও দরকার নেই।
নিজস্ব পর্যবেক্ষণ:
==========
মানুষ অতিচালাক জীব। পস্তাতে যখন হবেই, তখন অতিচালাকেরা দিল্লীকা লাড্ডু খেয়েই পস্তায়। শেষ-মেষ অতিচালাকের গলায় দড়ি…
অফটপিক:
=======
নেলসন রোলিহ্লাহ্লা ম্যান্ডেলা! এইবার তিনি একেবারে চলিয়া গেলেন। অনেকেই Rest in peace, সংক্ষেপে RIP লিখিয়া তাঁহাকে বিদায় জানাচ্ছেন। কিন্তু তিনি জানিতেন–একেবারে চলিয়া গেলে শান্তি কিংবা হুরপরী তো দূরের কথা, বেহেস্তের ধারে কাছেও তাঁহার স্থান হইবে না। অনন্তকাল তাঁহাকে জাহান্নামের আগুনে জ্বলিয়া-পুড়িয়া বাঁচিয়া থাকিতে হইবে। তাই জাহান্নামে যাওয়ার আগেই তিনি তিন খানা বিবাহ করিয়াছিলেন এবং সারাজীবন মুক্তির জন্য সংগ্রাম করিয়া গিয়াছেন।
Leave a Reply