১.
ইছলামী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রধান প্রতিবন্ধক শিক্ষা। তাই নাইজেরিয়ার ইছলামী যোদ্ধারা বোর্ডিং-স্কুলে আগুন জ্বালিয়ে ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী আনুমানিক চল্লিশজন ঘুমন্ত ছাত্রকে হত্যা করে অশেষ ছওয়াব হাছিল করেছে। কয়েকজন ছাত্র জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে তাদের গলা কেটে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা দেয়ার পথ বন্ধ করা হয়।
২.
আল্যার ঘর মসজিদে ১০ বছরের শিশুরে চারজন মিলা ধর্ষণ করলো, সেইটা আল্যা নীরবে দেইখা গেল? হালায় তো পুরাই voyeur!
৩.
আরেক হালায় নিজের বউ আর চার সন্তানরে খুন কইরা নামাজ আদায় করতে গেল মসজিদে। নিশ্চয়ই আল্যা ক্ষমাশীল।
৪.
– সুদানে এক ইথিওপিয়ান মেয়েকে সাত জন মিলে গণধর্ষণ করে।
– গণধর্ষণের শিকার হওয়ার সময় মেয়েটি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
– গণধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করা হয়, এবং পরে সোশাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে দেয়া হয়।
– ভিডিও দেখে মেয়েটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
– আদালত মেয়েটিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিতে পারে।
– ইহাই ছহিহ ইছলাম!
(ভূমিকা: দাঁড়িপাল্লা)
৫.
কোরানে (৫:৪৫) বলা আছে: “আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহের বিনিময়ে সমান যখম।” অতএব ঘুষি মাইরা নিজের মায়ের দাঁত ভাইঙ্গা ফেলার চৌদি স্টাইল শাস্তি পাইসে পুত্র – মায়ের যে-দাঁত যেমনে ভাঙসে, তার ঠিক সেই দাঁত ঠিক সেইভাবেই ভাঙ্গা হবে।
৬.
পৃথিবীর এক নম্বর দুই নম্বরী দেশ ফাকিস্তান সন্ত্রাসী ঘটনার সংখ্যার বিচারে আছে দুই নম্বর স্থানে। প্রথম স্থান দখলে রাখসে অপর মুছলিম দেশ ইরাক। তবে সন্ত্রাসের ভয়াবহতা ও ক্ষয়ক্ষতির বিচারে ইরাকরে পিছে ফালায়া দিসে ফাকিস্তান। খোদ ফাকিস্তানী পত্রিকাতেই এই কথা বলা হইতেসে।
৭.
ঊনিশখান খাছ ইছলামী শব্দ ব্যবহারের ব্যাপারে ব্রুনেইয়ের অমুছলিমগোর উপ্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হইসে। মালয়েশিয়ার এক মুফতি অবশ্য এইরম চল্লিশখান ইছলামী শব্দ ব্যবহার করতে নিষেধ করছে অমুছলিমগোরে।
৮.
চৌদি জেলখানার ইমাম এক কয়েদীর গণধর্ষণ মোবারকে অংশ নিছে। আরও তিন কয়েদীর লগে জামায়াত কইরা ধর্ষণ করলে অধিক ছওয়াব পাওয়া যাবে ভাবছিল মনে হয়।
৯.
আরেক টার্কিশ ইমাম নিজের বোনরে ধর্ষণ করসে। ইহারে ছহীহ ইনছেস্ট মোবারক বলা যাইতে পারে। গুগল-অনুবাদ।
১০.
‘ইছলামী শিক্ষা’-র শিক্ষক ধর্ষণ করসে সতেরো বছরের মেয়েরে। নিশ্চয়ই ইহা ছহীহ ইছলামী শিক্ষা!
১১.
ইছলামে জোরাজুরির কুনো স্থান নাই। হয় ভালোয় ভালোয় ইছলাম গ্রহণ করবা, নাইলে স্রেফ মাইরালামু। এর ভিত্রে জোরাজুরির কিছু নাই।
১২.
ভুদাই আল্যা কুরানে মঙ্গলগ্রহের কথা উল্লেখই করে নাই! জানলে তো! তাইলে ইছলামবাজেরা সেখানে যাইতে মানা কইরা ফতোয়া দেয় কোন মুখে?
১৩.
পোলিও রোগের এক নম্বর ঘাঁটি ফাকিস্তান। তয় এইটা ব্যাপার না। আল্যায় রোগ দিসে, দরকার হইলে সে-ই সারাবে। আর তাই পোলিওর টিকা ইছলামবিরোধী, এইটা না বুইঝাও ক্যান যে কিছু পাবলিক তড়পায়! বারোজন জান দিলো বেহুদা!
১৪.
চুরির শাস্তি হাত কাইটা ফেলা – এই কথা কুরানে পষ্ট লেখা আছে। আর তাই সিরিয়ার জিহাদীরা এক লোকের হাত কাটসে। পুরাই ছহীহ ইছলামী শাস্তি। কিন্তু এই ঘটনার দৃশ্য টুইটারে সরাসরি লাইভ দেখানোটাও শরিয়াসম্মত কি না, কে জানে! তবে এইটা যে রিয়াল ইছলামী রিয়ালিটি শো, তাতে সন্দেহ নাই। সাহস থাকলে খবরে এমবেড করা ভিডিওটা দেইখেন। আমি ক্লিকও করতারি নাই।
১৫.
এদিকে হাতকাটা ও পাথর ছুঁড়ে হত্যার বিধান বাতিল করা এক বিচারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিশ্চয়ই তার রায় ইছলামবিরোধী! ঘটনা ঘটেছে মালিতে।
১৬.
অমুছলিমদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করা মুছলিম বীরদের পিঠ চাপড়াইয়া দেওয়া দরকার, বলসে লন্ডনবাসী ইছলামবাজ।
১৭.
ইতালিতে মুছলিমদের সংখ্যা শতকরা দুই ভাগ হলেও সেখানকার জেলখানায় কয়েদীদের ৩৫ শতাংশই মুছলিম।
১৮.
ইরানে জেলখানার কয়েদীদের শাস্তি মওকুফ হইয়া যাবে, যদি তারা পুরা কুরান মুখস্থ কইতারে। নবীজি যেমন কইসিল, যে যতো গুনাহই করুন না ক্যান, সে যদি মৃত্যুর আগেও দ্বীনের পথে আসে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। তো ইরানের এই বিচার ব্যবস্থায় খুব সুবিধা হবে কুরানের হাফেজগো। যে কুনো অপরাধ কইরা জেলের বাসিন্দা হওয়ার কয়দিন পরে কুরান মুখস্থের প্রমাণ দিয়া বাইর হইয়া আসতে পারবে।
Leave a Reply