শহিদ মিয়া স্ট্যাটাস দিছেন, “একজন ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসে বললে মনে করে এই বুঝি ছেলেটা আমার সঙ্গে শুইতে চায়। তেমনি ছেলেটাকে মেয়েটা ভালোবাসি বললেও ছেলেটাও ভাবে।”
২) অনেক কাল আগে ভিনদেশী এক তারাকে সেরকম ভাবে না দেখেই অনেক দিনের ভালোলাগা থেকে ভালোবাসার কথা বলেছিলাম। ভালোলাগাতে খুশি হলেও ভালোবাসার কথা শুনে খুশি হয় নাই। তারপর যখন বলছিলাম যে, শরীর তো দেখি নাই, শরীর দেখে তো ভালোবাসি নাই; পাশে শুয়ে থাকলেও বিনা অনুমতিতে হাতটাও ধরব না। তখন খুশি হয়েছিল। তারপর একদিন অবাধ স্বাধীনতার ফলে যখন থেকে “চুলকানি” ওঠা শুরু করল, তখন নজর গেলো হাতের কাছে স্বদেশী রক্ত-মাংসের প্রেমিকদের দিকে। আশা করি তারাও তার রক্ত-মাংসের যথাযথ মর্যাদা দিতে কার্পণ্য করে নাই বা করবে না। তার জন্য শুভকামনা। ভালো থেকো ভিনদেশী তারা।
৩) লং-ডিস্টান্স রিলেশনশিপ একটা অভিশাপ। এতে ভুল করতে করতে ফেল করার সম্ভাবনাই বেশি। আর যদি বা কোনো ভাবে পাস করা যায়, তখন কালিদাসের ‘মেঘদূতের’ মত কাব্যের জন্ম হয়।
৪) আসলে সোডা খাইতে আর সোডা খাওয়াতে না পারলে সেইগুলা আজকাল কুনো ফ্রেম-বালুবাসাই না। (আর ইয়ে মানে সোডা হলো ‘সফট-ড্রিঙ্ক’। যেমন–কোক, পেপসি, সেভেনআপ, ‘দুদু’…)
৫) ভালোবেসে সেএণ্ডক্স আর এমনি সেএণ্ডক্সের মধ্যে পার্থক্য অনেক। এমনি শর্ট-টার্ম ফ্রেণ্ড-উইথ-বেনেফিট বা ওয়ান-নাইট-স্ট্যাণ্ডের মত গিল্ট-ফ্রি সেএণ্ডক্স হয়তো বেশ উপভোগ্য হতে পারে। তবে লং টার্মে, বিশেষ করে বৈবাহিক জীবনের সেএণ্ডক্সে ভালোবাসা না থাকলে কিছুদিন পরে সাধের সংসার আর দুনিয়াদারি প্লাস্টিক প্লাস্টিক মনে হতে বাধ্য।
৬) ”আজ হতে চির-উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির, সত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ্ আলমগীর।’’—‘শিক্ষকের মর্যাদা’ কবিতার এই দুই লাইনরে যদি আজ আবার নতুন করে লিখতে বলা, কে কিভাবে লিখবেন?
(দুনিয়ায় মা-বাবার পরেই শিক্ষকের স্থান। কারণ মা-বাবা প্রথমে জন্ম দেয়, আর শিক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় জন্ম দেয় শিক্ষক।–বলেন তো এই কথাগুলা কোন আয়াতে বা ইসলামের কোথায় বলা আছে?)
(দুনিয়ায় মা-বাবার পরেই শিক্ষকের স্থান। কারণ মা-বাবা প্রথমে জন্ম দেয়, আর শিক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় জন্ম দেয় শিক্ষক।–বলেন তো এই কথাগুলা কোন আয়াতে বা ইসলামের কোথায় বলা আছে?)
৭) আপনি নিজেকে নাস্তিক-প্রগতিশীল-মুক্তমনা ইত্যাদি বইলা পরিচয় দেন, কিন্তু যখন দেখেন নিজের ভগবানেশ্বরাল্যারে কেউ সুদে আসল তুইলা নিতাছে, তখন বুকের বুকের মধ্যে ছ্যাত কইরা ওঠে, তাই না?
৮) নাস্তিক মানে বেদে যাদের আস্থা নেই। এখন আরেকটু বিস্তৃত ভাবে—প্রথাগত ধর্মগুলোর তথাকথিত ভগবানেশ্বরাল্যাতে যাদের আস্থা নেই, তারাই নাস্তিক। এই নাস্তিকদের আবার নানা ধরনের রাজনৈতিক মতবাদ থাকতে পারে। থাকতেই পারে। এখানেও আপত্তির কিছু দেখি না। কিন্তু দিন দিন এই নাস্তিক শব্দের মানে আরো গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। তাই অন্তত এইটুকু আশা করা যায় যে, কেউ যখন নিজেকে নাস্তিক বলে, তখন এটা শুধু ভগবানেশ্বরাল্যাতেই সীমাবদ্ধ নয়, অন্যায়—সে যে-ই করুক, যেখানেই করুক—নাস্তিক হলে অন্তত তার প্রতিবাদ করবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, এদের রাজনৈতিক দলগুলো যখন অন্যায় করে, তখন এরা এতটাই দলান্ধ নাস্তিকাবাল হয়ে যায় যে, সে অন্যায়গুলো চোখে দেখে না, দেখলেও প্রতিবাদ তো দূরের কথা, যারা প্রতিবাদ করে, তাদের বিরুদ্ধে কলম ধরে!
৯) লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় একের পর এক ব্লগার-লেখক-প্রগতিশীল মানুষ কোতল হয়ে যাচ্ছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে কয়েকদিন আগে প্রতিবাদী ব্লগার ও ব্লগের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়েছিল। সঙ্গত কারণেই সবাইকে জনে জনে ডেকে তাদের মতামত জানতে চাওয়া সম্ভব হয় নাই, তবে বিবৃতিটা প্রকাশ করার পরেও নাম দেয়ার অপশন ছিল। বিবৃতিটা সঙ্গত কারণেই বর্তমান সরকার ও শেখ হাসিনার সমালোচনাযুক্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে যায় বিধায় অনেক লীগারাবাল ব্লগার তাদের নাম দেন নাই। এমনকি অনেকে সেই বিবৃতির বিরোধিতা করে সমালোচনা এবং তীর্যক মন্তব্যও করেছেন। তাহলে এরা কি এই ব্লগার হত্যার পক্ষে?
১০) বিবৃতিতে ‘সচলায়তন’ নামক ব্লগের নামটা আগে থাকলেও পরে নাকি তারা নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অবাক হয়েছিলাম, কারণ এরাই নাকি কিছুদিন আগে নাস্তিক হত্যার প্রতিবাদে তাদের ব্লগে ধর্মবিরোধী লেখালেখি প্রমোট করবে বলেছিল। তবে সবচেয়ে অবাক হয়েছি বিবৃতিতে ‘মুক্তমনা’ নামক ব্লগটির নাম না দেখে। হায় অভিজিৎ!
Leave a Reply