লিখেছেন POKEN
৪.
বর্তমান যুগে কেউ মুহম্মদ (চোদানাল্লাহুচাল্লাম) -এর জীবনাদর্শ পুরোপুরি ফলো করলে সে সমাজে সহিহ্ লুচ্চা বলে পরিগণিত হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
৫.
আমার দার্শনিক বন্ধু অদ্ভুত মানুষ। কাজকামের কোন ঠিকঠিকানা নাই। এক শুক্রবারে হুট করে বলল, ‘চল, জুম্মার নামাজ আদায় করে আসি। পরপর তিন শুক্রবার কেউ জুম্মার নামাজ না পড়লে মুসলমানের খাতা থেকে তার নাম উঠে যায়।’
গেলাম নামাজে। কিন্তু নামাজে দাঁড়িয়ে ও হাঁসফাঁস করতে লাগল। কোনরকমে ফরজ আদায় করে বলল, ‘চল, বেরোই।’
‘সুন্নত পড়লি না?’
‘নাহ্। সুন্নত পইড়া কী লাভ?’
‘আল্লার সান্নিধ্য পাইতে চাইলে ঠিকঠাক মতো নামাজ পড়া উচিত।’
‘আল্যা কই থাকে? মানুষের ভিতরে। মানে আমার ভিত্রেও আল্যা আছে। নামাজে দাঁড়াইলে আমার কষ্ট হয়। আমার কষ্ট হয় মানেই আল্যার কষ্ট হয়। আমি আল্যারে কষ্ট দিতে চাই না।’
নিতান্তই ফালতু যুক্তি। তারপরও কথা না বাড়িয়ে পা বাড়ালাম। বাঁধ সাধল এক চিকা মাতব্বর। ছাগুশাবকের মতো থুতনিতে সুন্নতি দাঁড়িওয়ালা, পাঞ্জাবি-পায়জামা পড়া বৃদ্ধ। তাবলিগ জামাতের লোক, বোধহয়।
‘সুন্নত পড়লেন না?’
‘নাহ্! সুন্নত অত জরুরি না,’ দার্শনিকের নিঃসঙ্কোচ জবাব।
বৃদ্ধ একটু কেশে লম্বা বক্তৃতার প্রস্তুতি নিলেন। দার্শনিক বন্ধুর ঠোঁটে মুচকি হাসি। অনেকদিন পর একজনকে পাওয়া গেছে তর্ক করার। খেলা জমবে বুঝতে পেরে আমি মনোযোগী দর্শকের ভূমিকা নিলাম।
বুড়ামিয়া সুন্নত সম্বন্ধে অনেক কথাই বললেন। সুন্নত ত্যাগ করা মানে নবীকে ত্যাগ করা। নবীর আদর্শকে ত্যাগ করা। কবিরাহ্ গুণাহ্! নবী পৃথিবীর শুদ্ধতম মানুষ। তার জীবন আদর্শ আমাদের মেনে চলা উচিত ইত্যাদি ইত্যাদি।
এতক্ষণ চুপচাপ শুনে এবার দার্শনিক মুখ খুললো:
‘বিয়ে করছেন?’
‘হ্যাঁ।’
‘কয়টা?’
‘একটা।’
‘বলেন কী? ইসলামে নাকি চার বিয়ে সুন্নাত? নবীজি বিয়ে করছে তেরোটা।প্রত্যেক মুসলিমের তেরোটা করে বিয়ে করা উচিত। নবীর আদর্শ মেনে চলা উচিত। যাই হোক, ছেলে আছে?
‘আছে।’
‘তাইলে তো ভালোই। ছেলের বউরে বিয়ে কইরা ফালান। নবীকে অনুসরণ করার সহজ পথ। চেহারা সুরত দেখে তো মালদার পার্টি মনে হইতাছে। বাড়িতে কাজের মেয়ে আছে না? কাজের মেয়ের সাথে সহবত করেন না?’
‘কী বলেন এইসব? নাউজুবিল্লাহ!’
‘কেন? নাউজুবিল্লাহ কেন? নবীরে না এত মানেন? নবীজি তো এইসবই করছে। কৃষ্ণ করলে লীলাখেলা, আমরা করলে পাপ!’
‘নবীজির এইসব কাজের পিছনে কারণ আছে। না জেনে কথা বলবেন না। অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করি।’
‘কী কারণ? বলেন দেখি শুনি।’
‘আপনি পরে একসময় দেখা কইরেন, তখন বলব।’
পরে অবশ্য সেই ব্যক্তিরে আর খুঁইজা পাই নাই।
Leave a Reply