লিখেছেন নিলয় নীল
এখন আমরা আলোচনা করবো বৌদ্ধশাস্ত্রের ৬৪ নম্বর জাতক, যার নাম দুরাজান জাতক। এই জাতকে আচার্য রুপী শাস্তা জানালেন: “রমণীগণ যেদিন দুষ্কার্য করে সেদিন স্বামীর অনুবর্তন করে, দাসীর ন্যায় বিনীত হইয়া চলে, কিন্তু যেদিন দুষ্কার্য করে না সেদিন তাহারা মদোদ্ধতা হইয়া স্বামীকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। দুঃশীলা ও পাপপরায়ণা রমণীদের এইরূপই স্বভাব।” এরপর তিনি ছাত্রের উদ্দেশ্যে একটি গাথা উচ্চারণ করেন:
ভাল যদি বাসে নারী
হইও না হৃষ্ট তায়,
যদি ভালো নাহি বাসে,
তাতেই কি আসা যায়?
নারীর চরিত্র বুঝি
হেন সাধ্য আছে কার?
বারি মাঝে চরে মাছ
কে দেখিবে পথ তার?
এর ঠিক পরের জাতকটি অর্থাৎ ৬৫ নম্বর জাতক হল অনাভিরতি জাতক। এখানে বৌদ্ধরূপী শাস্তা বলেন, স্ত্রীজাতির চরিত্রহীন হইবে, এ আর এমন কি? এটা দেখে বুদ্ধিমানের রাগ করতে নেই। গাথাটি হল এরকম:
নদী, রাজপথ, পানের আগার
উৎসব, সভাস্থল আর,
এই পঞ্চস্থানে অবাধে সকলে
ভুঞ্জে সম অধিকার।
তেমতি রমণী ভোগ্যা সকলের,
কুপথে তাহার মন,
চরিত্রস্খলন দেখিলে তাহার
রোষে না পণ্ডিত জন।
আমাদের এখন আলোচনার বিষয় ১০২ নম্বর জাতক। পর্ণিক জাতক নামে এই জাতকের বর্তমানবস্তুতে আমরা দেখতে পাই নিজের মেয়ের যৌনশুদ্ধতা নিয়ে উদ্বিগ্ন পিতা। তাই গোত্রান্তরিত করার পূর্বে মেয়ে প্রকৃত কুমারী কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চায়। কন্যাকে নিয়ে বনপ্রান্তে গিয়ে হাত চেপে ধরে পিতা, এতে কন্যা আতঙ্কিত হয়। প্রশ্ন-উত্তরে পিতা জানতে পারে, কন্যা এখনো কুমারী ধর্ম রক্ষা করেছে। এরপর কন্যাকে নিশ্চিতভাবে গোত্রান্তরিত করার ভরসা পায় পিতা।
(চলবে)
Leave a Reply