লিখেছেন সাদিয়া সুমি
২১.
এক লিখে সাতাশটা শুন্য বসালে যতো হয়, বিদ্যুত চৌম্বকীয় শক্তি-তরঙ্গের ততো কম্পাঙ্ক পর্যন্ত মানুষ নির্ণয় করতে পারে। এরপরে আর পারে না। এর পরেরগুলো সম্পর্কে মানুষ জানতে পারলে তার জ্ঞানের পরিধি মহাবিশ্বের গঠন বিষয়ে অধিক উপযোগী হতো নিঃসন্দেহে। মানুষের মস্তিষ্ক আরো উন্নত হলে এটা সম্ভব হবে। মানব মস্তিষ্কে দুই লক্ষাধিক কার্যকরণ কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র চুয়ান্নটি সক্রিয়। বিবর্তনের ধারায় বাকি সবগুলি কাজ শুরু করলে মানব দানবীয় মানবে পরিণত হয়ে উঠবে। মানবসভ্যতা বিলুপ্ত হবার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ মানুষের মত মেধাসম্পন্ন প্রতিযোগী প্রাণী আর নেই। কাজেই মেধার উন্নয়নে মানব মস্তিষ্কের বিবর্তনের আর কোনো বিকল্প নেই। সে কারণেই নিতান্ত দুর্ঘটনা ছাড়া মানবসভ্যতার বিলুপ্তি সম্ভব নয়।
প্রাচীন ধর্ম গ্রন্থগুলোতে যে কাল্পনিক ঈশ্বর এবং সৃষ্টিতত্ত্ব উপস্থাপন করা হয়েছে, তা একেবারেই শিশুতোষ এবং নিতান্তই হাস্যকর।
২২.
যারা কুরানের মধ্যে বিজ্ঞান খোঁজেন, তাদের মত বড় পাগল আর দুনিয়াতে নেই।
২৩.
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন: মোহাম্মদের সাথে জয়নবের সম্পর্ক কী ছিল?
ক) জয়নব মোহাম্মদের চাচাতো বোন
খ) জয়নব মোহাম্মদের পুত্রবধূ
গ) জয়নব মোহাম্মদের বৌ
ঘ) ওপরের সবকয়টি সঠিক
২৪.
আল্লা কুরানে বলেছেন, তিনি নাকি সকল প্রাণীকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। কেঁচো একটি উভলিঙ্গ প্রাণী। হিজড়ারা উভলিঙ্গ। ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের কোনো লিঙ্গবিভেদ নেই। তাহলে এসব ক্ষেত্রে জোড়া সৃষ্টি হয়নি কেন?
২৫.
কুরান শরীফের পাতায় পাতায় কিয়ামত ও দোজখের বীভত্স বর্ণনা দিয়ে মানুষকে ভয় দেখান হয়েছে। একজন নিষ্ঠুর, অহঙ্কারী ও স্বৈরাচারী বাদশাহ রূপে নিজকে উপস্থাপন করেছেন আল্লাহ। তাঁর বিরোধিতাকারীদের তিনি হত্যার নির্দেশ পর্যন্ত দিয়ছেন। এই ধর্ম কেমন করে মানবতাবাদী হয়?
Leave a Reply