আন্তর্জাতিক নারী দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্মের নামে নারীকে আটকে রাখা যাবে না। এরপরে তিনি ইসলামের আরো অনেক গুণগান করেছেন, ইসলাম নারীকে কী কী সম্মান দিয়েছে তার ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন।
ওদিকে শরিয়া আইন বলে:
স্বামী তার স্ত্রীকে পবিত্র আইন শিক্ষার জন্য গৃহের বাইরে যাবার অনুমতি দিতে পারবে। সেটা এই কারণে যে যাতে করে স্ত্রী জিকির করতে পারে এবং আল্লাহ্র বন্দনা করতে পারে। এই সব ধর্মীয় শিক্ষা লাভের জন্য স্ত্রী প্রয়োজনে তার বান্ধবীর গৃহে অথবা শহরের অন্য স্থানে যেতে পারে। এ ছাড়া স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রী কোন ক্রমেই তার মাহরাম (যে পুরুষের সাথে তার বিবাহ সম্ভব নয়, যেমন পিতা, ভ্রাতা, ছেলে…ইত্যাদি) ছাড়া গৃহের বাইরে পা রাখতে পারবে না। শুধু ব্যতিক্রম হবে হজ্জের ক্ষেত্রে, যেখানে এই ভ্রমণ বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া অন্য কোন প্রকার ভ্রমণ স্ত্রীর জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং স্বামীও অনুমতি দিতে পারবে না।
–শরিয়া আইন, এম ১০.৩
স্বামীর কর্তব্য হবে স্ত্রীকে গৃহের বাইরে পা না দেবার আদেশ দেওয়া।
–শরিয়া আইন, এম ১০.৪
ইসলামিক আইন নিয়ে বিতর্ক এড়াতে ইসলামের শেষ কথা হলো শরিয়া আইন। এই আইনে কোনো ফাঁক-ফোকর বা মার-প্যাঁচ নাই। এরকম স্বচ্ছ আইন পৃথিবীর আর কোথাও নাই। এই আইনে কোনো তর্ক নেই, কারো কোনো দ্বিমত নেই। একেবারে স্বচ্ছ পানির মত বলে দেয়া আছে–কী করা যাবে, কী করা যাবে না, আর কী করলে কী শাস্তি।
ইসলাম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেখি অনেক জ্ঞান। তো নারীকে আটকে রাখা নিয়ে এই দুইটা আইনের কথা কি কেউ প্রধানমন্ত্রীকে একটু শুনিয়ে দিতে পারেন?
ওহ আরেকটা কথা–ইসলামে নারী-নেতৃত্ব হারাম–শরিয়া আইনের এই ধারাটাও একটু শুনিয়ে দেবেন উনাকে।
হিপোক্রেসির একটা লিমিট থাকা দরকার!
Leave a Reply