(ধর্মকারী বরাবরই সিরিজময়। অতএব আরও একটি সিরিজের অবতারণা করা নিশ্চয়ই যায়েজ।
‘ইসলামী ইতরামি’ ও ‘লিংকিন পার্ক’ সিরিজে ধর্মান্ধদের কাণ্ডকারখানা সংক্ষেপে বর্ণনা করে লিংক ধরিয়ে দেয়া হয়। তো একদিন নিলয় নীল প্রস্তাব দিলেন, তিনি নানান ধর্মের ধর্মগুরু ও মোমিনদের ঘটানো কিছু কিছু কীর্তি সবিস্তারে লিখতে আগ্রহী। তিনি এমনকি অতি নিয়মিত লেখা দেয়ার হুমকিও প্রদান করেছেন। তাঁর হুমকিতে ভীত ধর্মকারী মাঝেমধ্যে তার অলিখিত আইনের (‘প্রথম পাতায় এক লেখকের একটির বেশি লেখা থাকবে না’) ব্যত্যয় ঘটাতে সম্মত হয়েছে।
সিরিজের নামে পাঁচটি বিশেষ্যপদ ব্যবহার করা হলেও শব্দসংখ্যা আসলে ন’টি: ধর্ম, কর্ম, কাণ্ড, কীর্তি, কাহিনী, ধর্মকর্ম, কর্মকাণ্ড, কাণ্ডকীর্তি ও কীর্তিকাহিনী।
বিসমিল্যা বলে আল্যার নামে শুরু হলো যাত্রা।)
লিখেছেন নিলয় নীল
জেনাকারী বিধবাকে গণধর্ষণের পর বেত্রাঘাতের প্রস্তুতি
বিবাহিত এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার শাস্তি হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার এক বিধবাকে দলগতভাবে ধর্ষণ করার পর ধর্মীয় আইন ভাঙার দায়ে তাকে এবার প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে আটজনের একটি দল দরজা ভেঙে ওই বিধবার ঘরে প্রবেশ করে তাকে ও তার পুরুষসঙ্গীকে বেঁধে ফেলে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ যৌনসম্পর্কের অভিযোগ আনে।
এরপর ২৫ বছর বয়সী ওই বিধবা নারীকে আক্রমণকারীদের প্রত্যেকে ধর্ষণ করে। তারপর ওই নারী এবং তার পুরুষ সঙ্গীর ওপর ময়লা ঢেলে দেয় আক্রমণকারীরা। ইন্দোনেশিয়ার বান্দা আচেহ প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির জাকার্তা গ্লোব প্রকাশিত এক খবরে জানা গেছে।
নির্যাতন ও চরম লাঞ্ছনার পর ওই জুটিকে স্থানীয় শরিয়া দপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেয় আক্রমণকারীরা। কর্মকর্তার নারীটির ওপর যৌননির্যাতন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়। তবে নারীটির বিরুদ্ধে আনা ধর্মীয় আইন লঙ্ঘনের অপরাধের শাস্তি নির্ধারণের সময় তার ওপর করা যৌননির্যাতন বিবেচনায় আনা হবে না বলে শরিয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বান্দা আচেহ’র পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাঙ্গসা’র শরিয়া দপ্তরের প্রধান ইব্রাহিম লতিফ বলেছেন, “আমরা ওই জুটিকে বেত্রাঘাতের শাস্তি দিতে চাই, কারণ তারা যৌনসম্পর্ক স্থাপন করে ধর্মীয় আইন লঙ্ঘন করেছে।”
Leave a Reply