লিখেছেন বুদ্ধ মোহাম্মদ যীশু কৃষ্ণ
১.
অনেক ভাইবা দেখলাম, আসলে সিলেটে যে মাইয়া দুইটা চোরদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হইছে, সেই ধর্ষণের দোষ ঐ মাইয়া দুইডারই। এতে সেই চোরা ধর্ষকদের কুনো দোষ নাই।
হাজার হইলেও এইডা ইসলামী রাষ্ট্র! এই দেশে মাইয়ারা ঘরের মইধ্যে বোরখা-হিজাব না পিইন্দা ঘুমাইবে, এইডা হইতে পারে না।
আর তাছাড়া সিলেট তো পীর আউলিয়াগো প্রাইভেট স্থান। সেইখানে সবার ইমানুনুভূতি সদা জাগ্রত থাকে।
সেখানে মাইয়ারা ঘরের মইধ্যে হিজাব না পিইন্দা ঘুমাইলে তো চোর-সাধু-পীর-মুরিদ-আউলিয়াগো ঈমানদণ্ড খাড়াইবে এইডাই তো স্বাভাবিক! এতে আর তাগো কি দোষ? তারা তো ঘরের ভিত্রের মাইয়াগো হিজাব পড়ানির জেহাদ করছে মাত্র!
তাই সেই মাইয়া দুইডারে হিজাব-বোরখা না পিন্দাইয়া ঘুমানির জন্য এবং ধর্ষিতা হবার জন্য থুক্কু ব্যাভিচার করার অপরাধে পাতথোর মাইরা মৃত্যুদণ্ড দেয়া হোক।
এবং ধর্ষণকারীদের “বীর হিজাব জেহাদী” উপাধি দিয়া ইসলাম রক্ষাকারী সম্মানে ভূষিত করা হউক।
২.
মনে করুন, আমাদের শান্তির ধর্মের শান্তিকামী ভাইদের শান্তি বিতরণের জন্য দেশে আর কোনো অশান্তিপ্রিয় সংখ্যালঘু নাই। তখন আমরা, শান্তিকামী ভাইয়েরা, কাদের মাঝে শান্তি বিতরন করবো?
আমরা তো আবার শান্তি বিতরণ না করতে পারলে অশান্তিতে ভুগি।
তখন বাধ্য হয়েই আমাদের নিজেদের মধ্যে শান্তি বিলাতে হবে। এই যেমন, কম শান্তিতে থাকা শিয়াদের মসজিদে যেয়ে তাদের উপর সুন্নিদের শান্তি বিতরণ।
শিয়ারা আবার তাদের বাড়তি শান্তি বিতরণ করবে আহমেদিয়াদের ওপরে।
এই শান্তি বিতরণ কর্মসূচি আমাদের চালিয়েই যাওয়া লাগবে তাতে অন্যধর্মের অশান্তিপ্রিয় কেউ থাকুক আর নাইবা থাকুক, শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ঘরে ঘরে। যেমন করে থাকেন আমাদের পাকি এবং আফগান ভাইয়েরা।
তাই আসুন, আমরা আরো বেশি বেশি করিয়া শান্তির ধর্মের শান্তি চর্চা করিয়া দোজাহানের অশেষ শান্তি হাসিল করিয়া দেশকে টানিয়া লই শান্তিপ্রিয় সিরিয়া আফগান-পাকিস্থানের পথে, যেইখানে শান্তি ব্যতীত কোনো অশান্তি নাই।
Leave a Reply