লিখেছেন ওয়াশিকুর বাবু
৪৯.
ছবির হাট অবৈধ, তাই ভেঙে ফেলা হয়েছে। যদিও এই ক্ষুদ্র স্থাপনার জন্য রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কতটুকু বাধাগ্রস্থ হয়েছে বা উচ্ছেদের ফলে উন্নয়ন কার্যক্রম কতটুকু জোরদার হবে, তা জানা নেই।
পুরো বাংলাদেশ জুড়ে অসংখ্য অবৈধ মসজিদ আছে। যে মসজিদগুলোর কারণে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্থ হয়েছে অথবা পরিকল্পনা রদবদল করতে হয়েছে। এই কারণে প্রকল্পের খরচ বেড়েছে ও মানুষের ব্যক্তিগত জমিও দখল করতে হয়েছে।
বৈধ-অবৈধ বেশিরভাগ মসজিদ থেকেই প্রতিনিয়ত ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো হয়, নারীদের জন্য অপমানজনক বক্তব্য দেওয়া হয়, নাস্তিকদের কল্লা চাওয়া হয়, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুদ্ধপরাধীদের সপক্ষে বক্তব্য দেওয়া হয় এবং সর্বোপরি মৌলবাদের চর্চা হয়।
অপ্রিয় রাষ্ট্র, অন্তত একটি অবৈধ মসজিদ উচ্ছেদ করার হ্যাডম আছে তো?
৫০.
– তোমার নাস্তিকতা মেনে নিতে পারি, কিন্তু ধর্মবিদ্বেষী লেখা লিখবে, তা মেনে নেওয়া যায় না।
– ধর্মবিদ্বেষী হয়েছি বলেই মৌন নাস্তিকতা মেনে নিতে পারছো, নাহলে আমার ধর্মহীনতাকেই আঘাত করতে।
৫১.
মুসলিম পুরুষরা ইহুাদ-খ্রিষ্টান নারীদের বিয়ে করতে পারলেও মুসলিম নারীরা ইহুদি-খ্রিষ্টান পুরুষদের বিয়ে করতে পারবেন না। শুধু বিয়ে নয়, পুরুষরা অমুসলিম নারীদের সাথে ব্যভিচার করলেও ইসলামের ক্ষতি হয় না। তবে মুসলিম নারীরা অমুসলিমদের হাত ধরলেও ইসলাম খান খান হয়ে যায়!
কারণটা খুব সোজা: নারীরা হচ্ছে ‘মাল’; তাই মুসলিমরা অমুসলিমদের ‘মাল ভক্ষণ’ করলে সমস্যা নেই। কিন্তু নিজেদের ‘মাল’ অমুসলিমরা ‘ভক্ষণ’ করবে, এটা মেনে নেওয়া অসম্ভব! তারচাইতে ‘মাল’ ধ্বংস (কতল, প্রস্তর নিক্ষেপ, বেত্রাঘাত) করে ফেলাই ভালো। ইসলাম তো রক্ষা হবে!
Leave a Reply