আল্লাহু আকবর! ঘটনা খারাপ। আমার এক মুরিদ (সহি মুসলমান) আরেক মুরিদকে (মডারেট মুসলমান) কুপাইয়া হাসপাতালে ভর্তি করে দিছে। কোপ দেওয়ার কারণ হল: “ভিকটিম মডারেট মুসলমান ভাইটি ইসলাম সম্পর্কে পুরাপুরি জ্ঞান অর্জন না করে ইসলাম নিয়া বেকায়দামুলক প্রশ্ন করেছিল।”
আমি হাসপাতালে ভিকটিমকে দেখতে গেলাম। ভিকটিম মডারেট মুসলমান আমাকে জিজ্ঞাস করল:
– হুজুর, কোরান এবং হাদিস আমার পুরাপুরি মুখস্থ। তারপরেও নাকি ইসলাম সম্পর্কে আমার কোনো জ্ঞান নাই, কথা কি সত্য?
আমি উত্তর দিলাম:
– কথা সত্য।
ভিকটিম মুমিন জিজ্ঞাস করল:
– কেমনে কী, হুজুর? একটু বুঝাইয়া বলেন।
আমি কিছু না বলে হাসপাতালের টয়লেটে গিয়ে হাগু করে এক কাপ গু (পায়খানা) নিয়ে এলাম। তারপর মডারেট মুসলমানের নাকের কাছে ধরে জিজ্ঞাস করলাম:
– পিউর জিনিষের গন্ধ কেমন লাগে?
মডারেট মুসলমান উত্তর দিল করল:
– জঘন্য গন্ধ, আমার বমি পাচ্ছে।
আমি বলিলাম:
– আপনার ঈমানে গণ্ডগোল আছে। ইসলাম সম্পর্কে আপনার কোন জ্ঞান নাই।
এরপর আমি এক চামচ চিনি ও আতর গুয়ের সাথে মিশাইয়া মডারেট মুসলমানের নাকের কাছে ধরে জিজ্ঞাস করলাম:
– এখন কেমন লাগে?
মডারেট মুসলমান উত্তর দিল:
– এখন আগের থেকে ভাল লাগছে।
আমি বলিলাম:
– মাশাল্লাহ। এর মানে হল, ইসলাম সম্পর্কে আপনার জ্ঞান বেড়ে গেছে।
এরপর আমি এক গ্লাস দুধের ভিতর আতর, চিনি গুলিয়ে গু-এর মিশ্রণটিকে শরবত বানিয়ে মডারেট মুসলমানকে খাইয়ে দিয়ে বলিলাম:
– পিউর ইসলাম হল ঠিক এই পিউর গুয়ের মত। যতক্ষণ পিউর গুয়ের গন্ধ পাবেন, ততক্ষণ মনে করবেন ইসলাম সম্পর্কে আপনার কোনো জ্ঞান নাই। এরপর আপনি নিজের ইচ্ছামত চিনি, আতর, দুধ ইত্যাদি ভেজাল মিশাতে থাকবেন, এতে করে আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি হবে। ঠিক এমনই, পিউর কোরান-হাদিস পড়ে কখনো জ্ঞান বৃদ্ধি পায় না। কোরান-হাদিসের ভুলগুলো এড়িয়ে চালাকি করে সাধারণ পাবলিককে ভেজাল ইসলাম খাওয়ানোর ভিতরেই রয়েছে আসল জ্ঞান। যেমনটি আমি ভেজাল শরবতটি আপনাকে খাইয়ে দিলাম।
আমার প্র্যাক্টিক্যাল উদাহরণটি বুঝতে পেরে মডারেট মুসলমান ভাইটি সহি মুসলমান হয়ে গেল। তাকবির, আল্লাহু আকবর! তাকবির, আল্লাহু আকবর!
Leave a Reply