১.
আমেরিকায় গত মে মাসে প্রেপ্তার হওয়া ২৫ জন ধর্মযাজকদের একজন ছাড়া প্রত্যেকেরই অপরাধ যৌনতা সংক্রান্ত। তাদের অপরাধের তালিকায় শিশুধর্ষণ (৮ বছরের বালিকাও বাদ যায়নি) তো বটেই, আরও আছে প্রতিবন্ধী ধর্ষণ, দর্শনকামিতা (মই বেয়ে উঠে প্রতিবেশীদের যৌনসঙ্গম দেখার চেষ্টা), চার্চে মেয়েদের বাথরুমে ক্যামেরা স্থাপন, শিশুপর্নো, ড্রাগস। সব যাজকের ছবিসহ বিশদ সংবাদ লিংকে।
২.
বৌদ্ধধর্ম বিষয়ে বেহুদা পুতুপুতু ভাব ও অকারণ পক্ষপাতিত্ব আছে একদল নির্ধামিকেরও। তারা আস্তিকীয় স্টাইলে (“বৌদ্ধধর্ম ধর্ম নহে” বা “ইহা ছহীহ বৌদ্ধধর্ম নহে” ইত্যাদি) এই ধর্মকে খাইশটা নাস্তিকদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে বুক পেতে দেয়। শ্রীলঙ্কায় বুদ্ধের অনুসারীদের ৩ মুসলিমকে হত্যা করার সংবাদে তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে মঞ্চায়।
৩.
যে-গঙ্গার পবিত্র জলে আধা-পোড়া শব ভাসতে ভাসতে গলে পচে যায়, সেখানে থুতু ফেললে তিন বছরের দণ্ড! তবে হাগু-মুতুর ব্যাপারে কিছু বলা হয়েছে কি না, জানা যায়নি।
৪.
মুছলিম জিহাদীদের বেহেশতী হুরীভোগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে আমেরিকায় শুয়োরের মাংস-মাখা বুলেট তৈরি করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই বুলেটের আঘাতে নিহত মমিনের শরীর নাপাক হয়ে তা বেহেশতে ঢোকার অযোগ্য হয়ে যাবে। সংবাদটির সত্যতা সম্পর্কে নিঃসন্দেহ নই, তবে আইডিয়াটা নিঃসন্দেহে চমৎকার। আর্মেনীয় এক সাইটে প্রকাশিত খবরের গুগলানুবাদ পড়ুন।
৫.
“বিন লাদেন বার” নামে এক বার খুলেছে বিন লাদেনের মতো দেখতে এক ব্রাজিলীয়। বিশ্বকাপের মৌসুমে তার ব্যবসা খুব ভালো হবার কথা।
৬.
ভারতীয় এক পত্রিকায় ক্রিকেটার ধোনিকে দেখানো হয়েছিল বিষ্ণুরূপে। নিচে লেখা ছিলো: গড অভ বিগ ডিলস। এতে হিন্দু পাঁঠাগুলোর শিবদণ্ড উত্থিত হয়ে গেছে। ধোনির বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা।
(লিংক পাঠিয়েছেন সংহিতা মোদক)
৭.
ধর্মকারীতে এক সময় প্রকাশিত হয়েছিল “আল্লাহ অপেক্ষা সেক্স উত্তম”, এখন ‘সাইকোলজি টুডে’ নামের সিরিয়াস সাইটে দেখছি “ধর্মের চেয়ে সেক্স বেশি গুরুত্বপূর্ণ”!
৮.
ইট ইজ নেভার টুউ লেইট। ৬৫ বছর ধরে গভীর ধর্মবিশ্বাসীর জীবনযাপন করার পরে এক প্রবীণ ব্যক্তি উপলব্ধি করতে পেরেছেন – ধর্ম মানেই মিথ্যে। তিনি তাঁর অনুভূতি শেয়ার করেছেন এখানে।
৯.
ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না ঘোষণা দেয়ার পর এক ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছে মানসিক হাসপাতালে। এর অর্থ – অপ্রমাণিত অর্থাৎ ভিত্তিহীন ও ভুয়া দাবিতে আস্থা রাখা ব্যক্তিরাই সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী। মাশাল্লাহ্!
১০.
বিশ্বে শিশুকামীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ক্যাথলিক চার্চের বর্তমান ভণ্ড পোপ লোক-দেখানো কিছু ঘোষণা দিয়ে অনেকেরই বাহবা কুড়োচ্ছে। সে সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে, সংগঠিত মাফিয়াদের চার্চ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এতে অবাক হবার কিছু নেই। ক্যাথলিক চার্চই তো একটি সংগঠিত মাফিয়ার দল। অতএব অর্থ, অপরাধ ও প্রভাব বিস্তারের জগতে কেই বা প্রতিযোগীদের পছন্দ করে!
১১.
এই শালার আরেক কাহিনী। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল খ্রিষ্টধর্মের কঠোর নারীবিদ্বেষ প্রসঙ্গে, এই চুদির্ভাই উত্তরে বলেছে, ‘ঘটনা হচ্ছে এই যে, নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছিল পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে।’ এক কথা বলার পরে সে প্রাণখুলে হেসেছে, তারপর বলেছে, ‘আমি জোক করেছি।’
১২.
এক সেশন প্রার্থনা করলে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, এমনকি দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে আরোগ্যলাভ করাও সম্ভব হবে (এ ধরনের ভুয়া দাবিতে আস্থা রাখার মতো মানুষের অভাব নেই পৃথিবীতে। হায়, আবাল আকীর্ণ এ ধরাধাম!) – এমন একটি বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে চার্চকে।
১৩.
অধিকাংশ ক্যাথলিকই ধর্মীয় যৌনশিক্ষা বা ধর্মীয় যৌনঅনুশাসন মেনে চলে না – খোদ ভ্যাটিকানই স্বীকার করেছে এ কথা। যে ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রচারক জীবনে কখনও সেক্স করেনি, তার দেয়া যৌনশিক্ষা মেনে চলা যে গাধামি, সেটা তার অনুসারী ভেড়ার পালও বোঝে। অবশ্য ডজনখানিক বউয়ের সঙ্গে ছহবতকারী এবং যুদ্ধবন্দিনী- ও দাসীধর্ষণকারী ব্যক্তিও যে যৌনবিশেষজ্ঞ হবে, সে কথাও সত্য নয়।
১৪.
কোনও সুস্থমস্তিষ্ক পিতামাতা তাদের ৫ বছর বয়সী শিশুকে তার জন্মদিনে ২২ ক্যালিবারের রাইফেল উপহার দিতে পারে? আমেরিকার মতো বন্দুকবান্ধব দেশে অবশ্য সবই সম্ভব। তো সেই রাইফেল দিয়ে সেই শিশু তার ২ বছর বয়সী বোনকে দুর্ঘটনাবশত হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে তার নানীর/দাদীর মন্তব্য: “সবই ঈশ্বরের ইচ্ছা। তার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছিল। আমি নিশ্চিত জানি, সে এখন স্বর্গে এবং সে এখন ঈশ্বরের আশ্রয়ে।” ধর্মবিশ্বাস প্রকৃতপক্ষেই মগজখেকো।
Leave a Reply