• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

বিশ্বাসীরাতো আমার মায়েরে বেশ্যা ব’লে গালিগালাজ করে

You are here: Home / চুতরাপাতা / বিশ্বাসীরাতো আমার মায়েরে বেশ্যা ব’লে গালিগালাজ করে
July 28, 2013

লিখেছেন: সত্যের সন্ধান

ঈসা নবী পিতা ছাড়া জন্ম নিয়েছে তা কুরআনে আছে। অর্থাৎ ঈসা নবীর পিতার কোন পরিচয় নাই। আল্লাহ্ এক জন নবীকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন যার কোন পিতৃ পরিচয় নেই। আল্লাহ্ কি জানতেন না যে তার সৃষ্ট পৃথিবীর মানুষ পৃথিবীকে প্রাকৃতিক নিয়মে চলতে দেখেছে, অপ্রাকৃত কিছুই তারা গ্রহণ করতে পারে না। আল্লাহ্ কি জানতেন না হাজার বছর পরেও কোন এক সময় মানুষ তার নবীর জন্ম পরিচয় খুঁজবে। তখন মানুষ যখন আশপাশের চিরাচরিত প্রকৃতিক ঘটনার সাথে যখন নবী জন্মের সাথে তুলনা করবে তখন তারা তা অবিশ্বাস করবে। কিন্তু মুসলিমরা ও খ্রিস্টানরা তা বিশ্বাস করে । কিন্তু ধর্মের সমালোচনা করলে আমাদের জন্ম নিয়ে সন্দেহ করে।

হিন্দু ধর্মে সীতার বৈধ পুত্র লব, অবৈধ পুত্র কূশ। সীতা যখন বাল্মীকি কুঞ্জে থাকেন তখন তার আরেক পুত্র জন্ম নেয়। নাম দেয় তার কুশ। খুব সহজে বুঝা যায় এই সন্তান বাল্মীকি মনির। কিন্তু ঋষি বাল্মীকির অনেক বুদ্ধি, কৌশলে একটা গল্প সৃষ্টি করে অবৈধকে বৈধতা দেন অপবিত্রকে করেছেন পবিত্র। হিন্দুরাও নাচতে নাচতে তা বিশ্বাস করে, ভক্তি নিয়ে রামায়ন পড়ে, বাল্মীকি মনিরে শ্রদ্ধা করে, সীতাকে পূজা করে। তখন সীতারে বেশ্যা বলে না, সীতার পুত্রকে জারয বলে না। কিন্তু আমাদেরকে বেশ্যার ছেলে বা জারয বলতে তাদের মুখে আটকায় না।

হিন্দু আস্তিক বা মুসলিম বিশ্বাসীরা সব সময়ই অবিশ্বাসীদের বেজন্মা বা জারয বলে গালি গালাজ করে। কিন্ত তারা জানে না তাদের ধর্মেও জারয আছে। তাদের ধর্ম গুলোতেও পিতা ছাড়া জন্ম নেয়ার উদাহরণ আছে, তাদের ধর্মগ্রন্থে স্বর্ণাক্ষরে এই সব উদাহরণ লেখা আছে। বিশ্বাসীরা কি সেই সকল ধর্মিয় পুরুষদের বেজন্মা বলেছে কখনো? বা পিতা ছাড়া জন্ম নেয়ার কারণে কি সেই সব মায়েদের বেশ্যা বলে গালি দিয়েছে? দেয় নি, বরং পূজা করেছে, করছে।

ধর্ম নিয়ে দু-একটা সত্য কথা বলি ব’লে বিশ্বাসীরাতো আমার মায়েরে বেশ্যা ব’লে গালিগালাজ করে। আমাদের কথা গুলো তাদের কাছে তিতা লাগে, লাগুক। সত্য সব সময়ই তেতো।

হাজার বছরের পুরোনো এই ধর্মগুলোতে হাজারটা মিথ্যা ডুকে আছে। এই মিথ্যা গুলো এই ভুল গুলো আমাদের সভ্যতাকে এগিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে। বার বার পিছনের দিকে তাকাতে হচ্ছে। কুসংস্কারকে বাদ দেয়া যাচ্ছে না ধর্মের কারণে। নারী পুরুষের সাম্যতা আসছে না। কলহ বাড়ছে। তাই হাজার বছরের পুরোনো এই ধর্ম সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে চাইছি আমরা। আগামী বিশ্ব ধর্ম দিয়ে চলতে পারে না। আগামী বিশ্ব চলবে আইন দিয়ে, বিজ্ঞান দিয়ে, বাস্তবতা দিয়ে, গণমত দিয়ে। এই ক্ষেত্রে ধর্ম নিষ্প্রয়োজন। ধর্মের হয়তো প্রয়োজন ছিলো অতীতে, বর্তমানে নেই। অতীতে আইন ছিলো না; ধর্মের আইন, স্বর্গ-নরকের ভয় সমাজকে শৃঙ্খল রেখেছে হয়তো, তবে সব ক্ষেত্রে শৃঙ্খল রাখতে ও পারেনি। তবু ধর্মের প্রয়োজন ছিলো অতীতে। বর্তমানে মানুষ শিক্ষিত হয়েছে, তারা আইন মানতে শিখেছে, বিজ্ঞানকে গ্রহণ করছে, বাস্তবতা স্বীকার করছে, গণমতে সরকার গঠন করছে। এখন সমাজ শৃঙ্খলের নামে ধর্মের প্রয়োজন আছে কি? বরং এখন ধর্মই সমাজকে করছে বিশৃঙ্খল।

তাই, বর্তমানেও যারা ধর্মের বিশ্বাসী তাদের প্রতি আমার করুনা হয়। তারা আধুনিকতা গ্রহণ করতে পারে না। তারা হাজার বছরের পুরোনো ধর্মের শিকলে বাঁধা থাকতে চায়। তারা ধর্ম নামক নোংরা জামা পরে রাজত্ব করতে চাইছে কিন্তু একবারও ধর্ম নামক জামাটা খুলে দূর থেকে দেখে না তাদের এই জামাটা কতটা নোংরা, কত হাজার বছরের পুরোনো নোংরা এই জামা। বংশানুক্রমে এই জামা পরতে পারতে নোংরা জামা আরো কতটা নোংরা হয়েছে তা তারা দেখে না কারণ তারা জামাটাই খুলে না। তাদের এই ধর্মের নোংরা জামাটার যখন কেউ সমালোচনা করে তখনই তারা গালি দেয়। মা-বাপ চৌদ্দ গুষ্টি ধরে গালি দেয়। বেশ্যা পুত্র, জারয বলে গালি দেয়।

দাও ভাই. গালি দিয়ে যাও। তবু আমরা সমালোচনা করবো, ধর্মের দুর্বলতা গুলো সাবার সমানে তুলে ধরবো। যারা বিবেকবান যারা চিন্তাশীল তারা আমাদের লেখা পড়ে ঠিকই ধর্মের নোংরা জামা খুলে আধুনিক পরিস্কার জামা পরে নিবে। তোমারা থাকো নোংরা জামা পরে আর গালিগালাজের স্বর্গে।

Category: চুতরাপাতা
Previous Post:ঈশ্বর বলে কেউ থেকে থাকলেও তার সাথে ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ঈশ্বরের কোন সম্পর্ক নাই
Next Post:মিল্লাত ফেসবুক

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top