লিখেছেন ওয়াশিকুর বাবু
৮৮.
থাবা বাবার আসল পরিচয় – তিনি একজন মুক্তচিন্তার মানুষ। যারা তাঁর নাস্তিকতার জন্য তাঁর নাম মুখে নিতে ভয় পায় বা তাকে বিশ্বাসী বানিয়ে দিতে চায়, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বেশধারী ছদ্মমৌলবাদী।
কারো অবিশ্বাস তাকে খুন করার বৈধতা দেয় না, কিন্তু তার অবিশ্বাস চাপা দিতে গেলে খুনীরা নৈতিক সমর্থন পায়।
৮৯.
ঋতুস্রাব নিয়ে মমিনদের এতো চুলকানি কেন?
একটা মেয়ে ঋতুস্রাবের যন্ত্রনা সহ্য করবে, অথচ তার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবে না; মুখ ফুটে বললেই সে হয়ে যাবে নষ্টা, বেশ্যা মেয়ে!
মমিনরা বিশ্বাস করে পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে নারীর সৃষ্টি। তাদের ধর্ম গ্রন্থে লেখা আছে, পুরুষের এক ফোঁটা নাপাক বীর্য থেকে গর্ভে সন্তান আসে। নারী হচ্ছে শস্যক্ষেত্র, পুরুষেরা তাতে বীজ বপন করে। অর্থাৎ সন্তান জন্ম দানে নারীর ভূমিকা গৌন, পুরুষের এক ফোঁটা বীর্যই মূখ্য, ডিম্বাণুর কোনো স্থানই নেই!
বর্তমানে সবাই জানে, শিশুর জন্মে নারীর ভূমিকাই মূখ্য। মমিনরা এটা যতটা সম্ভব অস্বীকার করতে চায়। ঋতুস্রাব মমিনদেরকে জন্মের পেছনে নারীর ভূমিকা স্মরন করিয়ে দেয়। এইজন্যই তাদের চাওয়া – মেয়েরা এসব কথা প্রকাশ না করুক, তারা শুধু মুখ ফুটে যন্ত্রনা সহ্য করুক এবং ধর্মগ্রন্থের কথিত পাপের শাস্তি নামক রূপকথা মনে করুক।
ঋতুস্রাবকে বড় গলায় নারীর জন্য লজ্জাজনক আখ্যায়িত করলেও এটি আসলে মমিনদের জন্যই লজ্জাজনক; লজ্জাজনক তাদের পুরুষতান্ত্রিক ধর্মের জন্য।
৯০.
একজন মুক্তচিন্তার মানুষ হবার অন্যতম শর্ত হচ্ছে – ন্যায়-অন্যায় যাচাই করার ক্ষমতা অর্জন করা। ধর্মের নামেও একজন ব্যক্তিকে দিয়ে ভাল কাজ করিয়ে নেওয়া সম্ভব, কিন্তু এতে ব্যক্তির মানসিক বিকাশ হয় না, যাচাই করার ক্ষমতা সৃষ্টি হয় না। এমন আজ্ঞাবহ মানুষকে ধর্মের দোহাই দিয়ে অন্যায় করানো বা অন্যায় কাজে সমর্থন নেওয়া সম্ভব এবং তা-ই হয়। আজ্ঞাবহ ব্যক্তিরা সব সময়ই মৌলবাদী ও ক্ষমতালিপ্সু রাজনৈতিক দলের ক্রীড়নকে পরিনত হয়।
Leave a Reply