লিখেছেন: নিঝুম মজুমদার
#এইখানে গ্রুপিং হয়েছে নানান ধরনের। ট্রাইবুনালের বিল্ডিং কোথায় হবে এটা নিয়েও সরকার তাং ফাং করলো ১৬ মাস। সেটা ডিসাইড হয়ে হতে গ্রুপ গজিয়ে গেলো নানান ধরনের। আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুলের দলভুক্ত আইনজীবি ট্রাইবুনালে দিতে হবে এইটা তার দাবী, এইদিকে সাহারা খাতুনের অনুসারী আইনজীবিদের কোটা আবার অন্য দিকে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের কোটা। নানান কোটার ফেরকার মধ্যে নানান কিসিমের আইঞ্জীবি ঢুকলো। এমন উকিল-ই প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হোলো যেই উকিল সাহেব আদালতে বলতেই ভুলে যান নিজামীর বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের কথা। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি তাকে মনে করিয়ে দেন। এইদিকে বিচারপতিদের মধ্যে বের হোলো জামাতী এপোলোজিস্ট। শোনা গেলো তার দহরম মহরমের কাহিনী। তাকে বহু কষ্টে সরানো হোলো ট্রাইবুনাল থেকে। ঐদিকে জামাতীরা ট্রিক্স করে সবচাইতে এফিশিয়েন্ট বিচারপতি নাসিব সাহেবকে বের করলো স্কাইপি কনভারসেশনের রেশ ধরে দিলো পদত্যাগের চাপে ফেলে।
#এইদিকে কিছু আইনজীবি হঠাৎ ৬০ লাখ টাকার গাড়ি কিনে, ফ্ল্যাট কিনে একাকার। একজন প্রসিকিউটর আবার জামাতের জামিন মাওলার আইনজীবি প্লাস প্রসিকিউটর। আবার আপিলেট ডিভিশনে বিচারপতি আনোয়ার, সজামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আর বিচারপতি সিনহা ছাড়া বাকী গুলা উত্তর পাড়ার মামু। কি হবে সামনে এটা আল্লাহ মালুম।
#যেই একজন ভদ্রমহিলা, যিনি এফিশিয়েন্ট আইনজীবি তাকে ট্রাইবুনালে নিয়োগ দিতে ৩ বছর কোৎ কোৎ করলো সরকার। যেন তার কষা পায়খানা হয়েছে। তিনি এই ইন্টারন্যশনাল আইনের ব্যাপারে একজন অভিজ্ঞ ব্যাক্তি, সেইটা এইখানে বিবেচ্য না। যাক তারপরে উনি আসলেন। নিয়গ দেয়া হোলো শেষ মহূর্তে আর উপায় না দেখে। সবকিছু মিলে এইটাও সেই বিখ্যাত ইন্টারনাল পলিটিক্স।
#একটা কম্পিউটার আর প্রিন্টার পাইতে উকিলদের দেন দরবার করতে হয়, একটা গাড়ি পাইতে আব্বা আব্বা করতে হয় হুজুরদের কাছে। কামরুল পন্থী আর সাহারা পন্থীদের দাপটে সব অসহায়। এইদিকে ইন্টারন্যাশনাল আইনের ধারনাও দেশে একেবারে নতুন। আমাদের উকিল বাবাজীরা সাধারণ ক্রিমিনাল মামলার মত এই মামলা চালান, জেরা করেন। মাঝে মধ্যে তারা কি বলেন না বলেন শুধু তারাই জানেন। সবকিছুর পরেও তারা চালাচ্ছিলেন।
#এইদিকে সরকার ভেতরে ভেতরে রাম-শাম-যদু-মধু খেলা শুরু করলো জামাতের সাথে। মীর কাশিমকে রাজসাক্ষী করা হবে শোনা যাচ্ছিলো অনেকদিন ধরেই। এও শোনা যাচ্ছিলো যে কাশেম কয়েকশো কোটি টাকা দিয়েছে লীগকে। যদিও এর রেফারেন্স নেই। সুতরাং বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাসের ভার বুদ্দিমান জনতার উপর। বছরের পর বছর আটকে রেখে মীর কাশেমের বিচার শুরু হয়না। ৬ মাসে নিজামীর সাক্ষী আসে দুইটা, ৩ বছর ধরে আবদুল আলীমের মামলা চলছে কিন্তু শেষ হয়না। সাকা ওপেন আদালতে সাক্ষীকে থ্রেট দেয় বিচারপতির সামনে, মশকরা করা, গালি দেয় কিন্তু ব্যাবস্থা নেয়া হয়না।
#পুরো ট্রাইবুনালটাকে সরকার একটা সার্কাসের আসর বানিয়ে বসে আছে। এতদিন ধৈর্য্য ধরে ট্রাইবুনাল নিয়ে এমন কোনো কথা বলিনি যাতে মানুষের মন ভেঙ্গে যায়। অনেক ধৈর্য্য দেখিয়েছি আর দেখেছি তোদের নোংরা রাজনীতি। এখন তারা ফেসবুকে ব্যাক্তিগত মেসেজে ধৈর্য্য ধরতে বলে। শালা তোদের ধৈর্য্য আমি পু** ** ** **
Leave a Reply