গুরু না ভজি মুই সন্ধ্যা সকালে মন প্রান দিয়া রে
ফুরাইয়া গেল মোর সাধেরই জনম আপন কর্ম দোষে
প্রাণের বান্ধবরে দাও দেখা দয়া করে…
কিংবা,
ভব সাগর তারণ কারণ হে।
রবি নন্দন বন্ধন খন্ডন হে।
শরনাগত কিঙ্কর ভীত মনে।
গুরুদেব দয়া কর দীন জনে।।
শীতকালে সন্ধ্যার দিকে সাধারণত গ্রামের কোনো হিন্দুপাড়ার মন্দিরের পাশ দিয়ে গেলে মন্দিরের সামনে নারী-পুরুষের সমবেত কণ্ঠে এ ধরনের গানের আওয়াজ ভেসে আসে। এ ধরনের গানের পাশাপাশি আছে বহুল প্রচলিত গুরু প্রণাম মন্ত্র–
অখণ্ড মণ্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম।
তদপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
কিংবা–
গুরু ব্রহ্মা, গুরু বিষ্ণো, গুরুদেব মহেশ্বর।
কোটি কোটি দেবদেবতা থাকার পরেও প্রায় প্রতিটি হিন্দুরই আলাদা আলাদা গুরু আছে। বেশিরভাগ সময় এইসব ভগবান-দেবদেবীদের চেয়ে গুরুই অনেক বড় হয়ে দেখা দেয়। গুরুর কাছে দীক্ষা নেয়াটা এদের জীবনে একটা বড় ঘটনা। গুরু বীজমন্ত্র দেয়, সারাজীবন সেই বীজমন্ত্র জপ করে। যাবতীয় পানিপড়া থেকে বীর্যপড়া আর পার্থিব সুখের আশায় গুরুদেরকে হিন্দুরা কতটা মাথায় তুলে রাখে, সেটা লিখে বোঝানো সম্ভব নয়।
এই ভক্ত-শিষ্যদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে গুরুরা হঠাত করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার পাশাপাশি জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে। সেরকম হাইপ্রোফাইল প্রায় প্রতিটা ধর্মগুরুরই অন্য পিঠের অন্ধকার জগত জুড়ে আছে এক গুচ্ছ কেলেঙ্কারী। বলাই বাহুল্য ভক্তদেরকে এসব চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও এদের টনক নড়ে না, বরং কেলেঙ্কারীবিহীন যেমন দেবতা পাওয়া যায় না, তেমনি গুরুদের কেলেঙ্কারীগুলোর জন্যই তারা ভক্তদের কাছে ভগবান-দেবতাতুল্য হয়ে ওঠে।
=========================
কোলাজটিতে আজটকের সৌজন্যে সেরকমই কিছু হাইপ্রোফাইল ধর্মগুরুর আসল চরিত্র উন্মোচিত হয়েছে। প্রথম দিকে এরা সবাই ভগবানতুল্য হলেও শেষ পর্যন্ত এদের গুমর ফাঁক হয়েছে। এটা অনেকটা–সাধুর দশ দিন, পুলিশের একদিন–এর মত ব্যাপার!
আপনারা আপনাদের নিজ নিজ গুরুর আসল কীর্তিকাহিনীগুলো জানেন তো?
Leave a Reply