লিখেছেন মুফাসা দ্যা গ্রেট
আরে চোখ কপালে ওঠানোর কী আছে! ইসলামে সমকামিতা নিষিদ্ধ, এইটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আপনি কি কখনও চিন্তা করেছেন, ইসলাম সুনির্দিষ্টভাবে নারী সমকামীদের বিষয়ে কোনোকিছু বলেছে কি না? না, বলেনি।
ইসলামে সমকামিতাকে ডিফাই করা হয় জিনা হিসেবে। আসেন, জিনা কী, আমরা দেখি?
জিনা হচ্ছে প্রধানত দুই ধরনের:
১. নারী পুরুষে বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক।
২. পায়ু পথে যৌনাচার। মানে হচ্ছে অ্যানাল সেক্স কিংবা সমকামিতা (যখন তা পুরুষে-পুরুষে সংঘটিত হয়)
জিনার দুইটা বেসিক প্রিন্সিপাল আছে, যেগুলো ফলো করলে জিনা হিসেবে বিবেচ্য হবে।
১. লিঙ্গ প্রবেশ
২. বীর্য স্থলন
আসেন, মহান আল্লাহ পাক ও রাসুলে কারীম নবী মুহাম্মদে মুস্তাফা কী বলেছেন, শুনি।
আল্লাহ পাক বলেছেন:
যদি তোমাদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ব্যাভিচারী হয় তবে তাদের উভয়কে শাস্তি দাও, যদি তারা ক্ষমা চায় ও ভুল বুঝতে পারে তবে তাদের একা ছেড়ে দাও, নিশ্চই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।(কোরান ৪:১৬)
ইবনে আব্বাস হইতে বর্ণিত হাদিস:
রাসুল তাদের কে অভিশাপ দিয়েছেন যে সকল পুরুষ নারীদের মত করে সেজে থাকে, তাদের ঘর হতে বের করে দাও।(সহিহ বুখারী ৮:৮২:৮২০)
ইবনে আব্বাস হইতে বর্ণিত হাদিস:
কেউ যদি লুত এর অনুসারীদের মত কাজ করে থাকে, তবে দুজনকেই হত্যা করো। যে করেছে এবং যাকে করা হয়েছে।(আবু দাউদ ৩৮:৪৪৪৭)
ইবনে আব্বাস হইতে বর্ণিত হাদিস:
কোন অবিবাহিত পুরুষ যদি পায়ুপথে যৌনাচারে ধরা পরে, তবে তাকে পাথর মেরে হত্যা করো।(আবু দাউদ ৩৮:৪৪৪৮)
ওপরের তথ্যগুলা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, আল্লাহপাক আর রাসুলে কারীম মুহাম্মদে মুস্তাফা এই পুরুষে-পুরুষে পুটু মারামারি নিয়া ব্যাফুক বিরক্ত আছিলেন। তাই তাদের চক্ষুর অন্তরালে বিবিরা বিবিরা যে কী কইরালাইছে, এইডা দেখেন নাই। আর এদিকে অপ্সরা মেনকা ভেনাস আফ্রোদিতিরা স্বর্গে বসে মিটি মিটি হাসতেছিল। জিউস কী করতেছিল, এইটা আসলে চিন্তার বিষয়।
আসল ব্যাপারটা হচ্ছে, নবীজি আর আল্লাহপাক নারীদের ভেতরের কামনার ঝড় উপলব্ধি করতে পারেন নাই। কারণ তারা বুঝেন, নারী হইতেছে গিয়া শস্যক্ষেত্র; এইখানে মোহাম্মদি লাংগল চালাইয়া শস্য উৎপাদন করতে হবে। কিন্তু নারীদের যে চাহিদা থাকতে পারে, তা আসলে নবীজি কিংবা আল্লাহপাকের মাথায় আসে নাই।
কী, আবার কনফিউজড? আসেন, আবার একটু ভাংগাচুরা করি।
আসলে মুমিনদের উত্থানের পর থেকেই নারীদেরকে তাদের অতি মুল্যবান শরীর ঢাকতে মোহাম্মদি বাহিনী বস্তার আবরণে ঢেকে দেয়। আর ইসলামে তো মেনকা কিংবা আফ্রোদিতির মত সেক্সি হুর কিংবা দেবী নাই। যেই হুরের কথা বলা হইছে, হেইডা হুদাই একটা মুলা। যাই হোউক, প্রসঙ্গ ওইটা না। প্রসঙ্গ হইলো, বস্তার ভিতরে মুমিনাদের ভেতরের আবেগও ঢাকা পড়ে, তারা পরিণত হয় মুমিন উৎপাদনের মেশিনে। তাই আল্লাহপাক পুলায় পুলায় পুটু মারামারিকে রুখতে যত জোর দিয়েছেন, নারীদের দিকে তাকানোর সে রকম সময় পান নাই।
তো মুমিনা আপুরা, সিট ব্যাক অ্যান্ড রিলাক্স, ইউ গাইজ আর নাউ আউট অব ডেঞ্জার।
ব্যাখ্যা হচ্ছে, লেসবিয়ানিজম জিনার পর্যায়ে পরে না, কারণ:
১. এইখানে লিঙ্গ অনুপস্থিত।
২. এইখানে পায়ু পথে সংগম হচ্ছে না।
৩. এইখানে বীর্যপাত হয় না।
তাই আমরা বলতে পারি, ইসলামে লেসবিয়ানিজম হালাল।
Leave a Reply