“আমি নাস্তিক। কিন্তু আমার আশে পাশের বহু কাছের মানুষজন বন্ধু বান্ধবই মুসলিম। তাদের উপর আমার কোন রাগ নেই, নেই কোন ঘৃণা। তাদের আনন্দের দিনে আমিও আনন্দিত হই। তাদের উপর নিপীড়ন হলে আমিও বেদনার্ত হই। প্যালেস্টাইনে বা কাশ্মীরে মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর অত্যাচার হলে তাদের পাশে দাঁড়াতে কার্পণ্য বোধ করি না। অতীতেও দাঁড়িয়েছি, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবো। এটাই আমার মানবতার শিক্ষা।”—২০১৪ সালের জুলাইয়ের ২৮ তারিখে এই স্ট্যাটাসটি লিখেছিলেন অভিজিৎ রায়।
অভিজিৎ রায় আস্তিকদের কাছে একজন নাস্তিক হিসাবে পরিচিত ছিলেন। আস্তিক আর নাস্তিকের মধ্যে পার্থক্য খুব সামান্যই। একজন আস্তিক প্রমাণ না পেয়েও ঈশ্বর নামক কাল্পনিক একটি ধারণাকে সত্য বলে বিশ্বাস করে, আর নাস্তিক শুধু প্রমাণটুকু দাবী করে, প্রমাণ পেলেই ঈশ্বরকে মেনে নেবে। এ পার্থক্যটুকু বাদে একজন আস্তিক যত প্রকার বদের বদ হতে পারে, একজন নাস্তিকও তা হতে পারে।
নাস্তিক হলেই যে মানুষ হিসেবে ভালো হবে, এমন কোনো কথা নেই। ঈশ্বর-ধর্মে অবিশ্বাসের জন্য পরকালের বেহেস্তের লোভ আর দোজখের ভয়টুকু না থাকলেও ইহকালে লোভ, স্বার্থ ষোল আনাই থাকতে পারে। তবে যেহেতু সে যুক্তি বোঝে, তাই আশা করা যায় একটা খারাপ কাজ বা অন্যের ক্ষতি করার আগে অন্তত যুক্তি দিয়ে ভাববে যে সে কেন সেটা করতে যাবে। নাস্তিক হওয়াটা এভাবে মানুষ হওয়ার পথে প্রথম পদক্ষেপ ধরে নেয়া যেতে পারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অভিজিৎ রায় এই মানুষ হওয়ার পথে অনেকের চেয়ে অনেকগুণ শুধু এগিয়েই যান নি, অন্যদেরও সেই মানবতার, মানুষ হওয়ার পথের সন্ধানও দিয়ে গেছেন।
মানুষ হওয়ার পথটা যে কঠিন, তা তিনি বলেছিলেন। এ পথে যে অনেক সময় রক্তও দেয়া লাগে—নিজের সে কথার প্রমাণও নিজে দিয়ে গেলেন! আর এই প্রমাণ দিয়ে যাওয়ার জন্যই বেঁচে থাকবেন হাজার হাজার বছর। অভিজিৎ রায়দের হত্যা করা যায় না, অভিজিৎ রায়দের মৃত্যু হয় না…
[অভিজিৎ রায়ের শুধু ছবি নয়, রক্তাক্ত ছবি তো একেবারেই নয়; তার লেখা পড়েন, পোস্ট করেন, পড়ান।]
ibisarga
পাল্লা ভাই,
কয়েকদিন থেকে ফলোয়ার হয়ে আছি ফেইসবুকে। আপনার হাজার হাজার ফলোয়ারকে ঠেলে জুকারবার্গ সাহেব যেতে দেয়নি বন্ধু তালিকায়। লজ্জার মাথা খেয়ে এখানে লেখলাম। আমার আগের আইডিটার নাম (কখনোই সেলিব্রেটি ছিলাম না) ও সংক্ষিপ্ত তথ্য দিয়ে আপনাকে ম্যাসেজও করেছি। সময়-সুযোগমত ম্যাসেজ দেখে, প্রোফাইল ঘুরে যদি এড পাঠাতেন, কৃতজ্ঞ থাকবো। “ঈশ্বার বিসর্গ” নামে নতুন আইডির নাম। ধন্যবাদ।