• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

সব কিছুর মধ্যে “ধর্ম” টেনে আনা ঠিক না

You are here: Home / চুতরাপাতা / সব কিছুর মধ্যে “ধর্ম” টেনে আনা ঠিক না
June 12, 2013

আসলেই তাই। ধর্মই সকল কৌতুকের উৎস। তাই সব কিছুতে ধর্ম টেনে আনলে এই নির্মল আনন্দ মিস করবেন। হাসি-আনন্দের মধ্যে থাকলে নাকি মানুষের আয়ুও বাড়ে। অনেক রোগের চিকিৎসা হিসাবে ডাক্তাররা হাসি-খুশি থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু কেউ আর আপনাকে সবসময় কাতুকুতু দিয়ে হাসাবে না। হাসিটা নিজের থেকে তৈরী করে নিতে হয়। সেজন্য থাকা চাই যথেষ্ট পরিমান সেন্স অব হিউমার। কিন্তু ধার্মিকদের মধ্যে বা যারা সব কিছুতে ধর্ম টেনে আনেন, তাদের মধ্যে সেন্স অব হিউমারের যথেষ্ট ঘাড়তি থাকে।

এবার একটা কার্টুন ছবি দেখা যাক-

diarea2

(সোর্সঃ http://pretmetmohammed.wordpress.com/2012/12/28/waterboy)

উপরের ছবিটা খুব সহজ সরল ভাবে একটা হাদিসের বর্ণনা করেছে মাত্র। আমরা জানি বাচ্চারা ছোট বেলায় ছবি সম্মিলিত বই থেকে তাড়াতাড়ি পাঠ নিতে পারে। মানে শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে ইন্টারেস্টিং করতে লেখার সাথে রং-বেরঙের ছবি দিলে সেটা সহজে আত্মস্থ করা যায়। তো আমরা জানি, দুনিয়ার প্রধান ধর্মগুলার মধ্যে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরাই সবচেয়ে বেশি অশিক্ষিত। সেই হিসাবে তাদের ধর্মপাঠ দেয়া যায়। এখন থেকে সহজেই আমরা বুঝতে পারছি যে নবীজি বাথরুম করতে গেলে তার চ্যালারা বদনায় পানি নিয়ে পিছন পিছন দৌড়াত।

এবার একটু অন্য ভাবে দেখা যাক-

diarea

(সোর্সঃ https://www.facebook.com/mohaunmadbd) (নিজ দায়িত্বে এই লিঙ্কে যাবেন)

এই কার্টুনটায় কিছু এত্তগুলা দুষ্টু পোলাপান আসল কার্টুনটায় কিছু ঘষামাজা করে বাংলায় করেছে। এখানে হাদিসটার সাথে কার্টুনটার খুব একটা মিল নাই। এখানেই আপনাকে সেন্স অব হিউমার খাটাতে হবে, অর্থাৎ ধর্ম টেনে আনা যাবে না। তাও বুঝতে পারছেন না? আচ্ছা, তাহলে হাদিসের অংশটুকু পুরা বাদ দিয়ে দেখা যাক-

diarea3

ধর্ম ভুলে যান। তারপর বলেন এই কার্টুনটা দেখে কী বুঝতে পারছেন?

গোপাল ভাঁড়ের একটা কৌতুক আছে অতি উৎসাহী বাঙালিদের নিয়ে। সেইযে কাউকে কিছু কিনে নিয়ে যেতে দেখলেই তার দাম জিজ্ঞেস করবেই। তো গোপাল ভাঁড় বাজি ধরল যে সে বাজার থেকে ইলিশ মাছ কিনে সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে বাড়ি ফিরবে, কিন্তু কেউ দাম জিজ্ঞেস করবে না। তো গোপাল ভাঁড় কী করল- সে মাছ কিনা পড়নের ধুতিটা খুলে মাথায় বেধে দিগম্বর হয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরল। পথে লজ্জায় কেউ আর তার সাথে কথা বলল না।

তবে এখানের ব্যাপারটা একটু ভিন্ন রকম। আপনি ফোনে কথা বলছেন। কোন বন্ধু দেখল। তবুও জিজ্ঞেস করবে, কীরে ফোনে কথা কস নাকি?
প্রশ্নটা শুনলেই তখন মেজাজ খারাপ হয়ে যাবে। তবুও বাঙালির চরিত্র আপনার জানা থাকে, এবং যদি সেন্স অব হিউমার থাকে, তাহলে আপনি হয়তো উত্তর দেবেন এভাবে- নাহ ফোনে কথা বলি না, নাক ডেকে ঘুমাইতেছি। আর রেগে গেলে হয়তো ধমক দিবেন অন্য ভাবে।
এখানের ব্যাপারটাও ঠিক তেমনি। দেখতেছে একটা লোক দৌড়ে পায়খানায় যাচ্ছে। সাথে কেউ একজন পানির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। নিশ্চয়ই পেট খারাপ না হলে এমন পরিস্থিতি হত না, অর্থাৎ পেট খারাপ না হলে সে নিজেই পানি নিয়ে ধীরে সুস্থে পায়খানায় যেত। এটা দেখার পরও বাঙালি প্রশ্ন করবে- পেট খারাপ নাকি?
আরে পেট খারাপ না হলে কি কেউ এমন করে?
তো আপনার মেজাজ বিলা হলেও ব্যাপারটাকে মজাদার করে তোলার জন্য হয়তো উত্তর দেবেন- নাহ মাথা খারাপ!

তাই বলি, সব কিছু যেভাবে মুখস্ত করানো হয়েছে, সেভাবে না দেখে একটু ভিন্ন ভাবে দেখার চেষ্টা করুন, স্যটায়ার বোঝার চেষ্টা করুন। দেখবেন দুনিয়াটায় মজার শেষ নাই এবং সময়টা অনেক হাসি আনন্দে কেটে যাবে। মনে রাখবেন, ধর্মই সকল কৌতুকের উৎস না হলেও অনেক কৌতুক এখান থেকে নিতে পারবেন। এর সাথে আপনার ধর্ম মানা না মানার কোন সম্পর্ক নাই।
জাস্ট নির্মল আনন্দ!

Category: চুতরাপাতাTag: কৌতুক, স্যাটায়ার
Previous Post:গেম#১ : মানুষ বনাম শয়তান
Next Post:আওয়ামী মুসলিম লীগের পুনরুত্থান

Reader Interactions

Comments

  1. নির্ঝর

    June 5, 2020 at 4:37 pm

    আমি ভাবসিলাম, মাথা খারাপ হওয়ার কারণে বাথরুমে ঢুকে তিনি মগজগুলো হাগুপথ দিয়ে নির্গত করে দিবেন।

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top