লিখেছেন: আরিফুর রহমান
একটা জিনিস মোটামুটি পরিষ্কার হয়েছে, গেলো তিন/চার মাসের ইসলামী মচ্ছবে সরকার, আওয়ামী লীগ, হেফাজত এবং বিবিধ পাট্টি তেমন কিছুই অর্জন করতে পারে নাই।
অর্জন যা হয়েছে, তার বেশিরভাগই জনগনের।
জনগন এখন পরিষ্কার জেনে গেছে:
১. আওয়ামী লীগ মোটেও সেকুলার দল নয়।
২. বাংলাদেশ সরকার মোটেও সংখ্যালঘু কিংবা ইস্লাম ভিন্ন অন্য কারো ধার ধারে না
৩. কি পরিমান ইসলামী সংক্রমন বাংলাদেশের মিডিয়া এবং বিভিন্ন সরকারী দলগুলিতে আছে।
৪. ইসলামী শক্তির যে ভীতি সরকার এবং সকলের মাঝে কাজ করতো, তা কতোটা ফোঁপড়া ভীতি
৫. আওয়ামী লীগের ব্লগার নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রথম কর্ম হলো গু-মুখ গোমূর্খের দল তৈরি করে মুক্তমনাদের নিয়ে বাজে কথা বলা, এটাই তাদের সীমারেখা।
৬. মাহমুদুর রহমান আসলে কার পারপাস সার্ভ করে। (আমরা ভাবতাম সে বিনপি/জামাত, কিন্তু বাস্তবে সে আওয়ামী মুসলিম লীগের ভাড়াটে গুন্ডা-সাংবাদিক)।
৭. পুলিসের জীবন নিয়ে কারো মাথাব্যাথা নেই।
৮ মাদ্রাসায় এতিম শিশু কিশোরদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ ভাবছে সে জামাত বিনপি সাইজ করে ফেলেছে। কিন্তু যে পথে সে হেঁটেছে, তাতে আওয়ামী লীগের সাথে ওদের আসলে তেমন আর পার্থক্য রইলো না।
আওয়ামী লীগে নামটির মাঝখানের শুকিয়ে যাওয়া ‘মুসলিম’ আবার তরতর করে বেড়ে উঠছে। আওয়ামী মুসলিম লীগের পুনরুত্থান ঘটেছে। সেন্টার-লেফ্ট সেকুলার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের যে চরিত্র এতোদিন তাকে মানুষের কাছে নিয়ে গিয়েছিলো, গেল তিনমাসে সেই সেকুলার আলখাল্লা তার শরীর থেকে খসে গিয়ে এক সউদি দগদগে তীব্র ডান আওয়ামী মুসলিম লীগ কবর থেকে প্রেতাত্মার মতো উঠে আসছে।
Leave a Reply