“লীলাময় ভাগবান শ্রীহরি একাধিকবার অভিশাপের শিকার হন। এক কল্পে জলন্ধর দৈত্যের উপদ্রবে দেবতারা নাজেহাল। তখন শিব গেলেন যুদ্ধ করতে। তিনিও জলন্ধরকে পরাজিত করতে পারেননি। কারণ জলন্ধরের স্ত্রী ছিল সতী সাধ্বী নারী। তখন শ্রীহরি ছল করে জলন্ধরের স্ত্রীর সতীধর্ম নষ্ট করেন। সেই নারী যখন ভগবানের ছলনা বুঝতে পারলেন, তিনি তখন ভগবানকে অভিশাপ দেন।
আরেকবার শঙ্খচূড় নামক অসুরও তাঁর স্ত্রী তুলসীর জন্য অবধ্য ছিলেন। দেবলোকের মঙ্গলের জন্য তিনি তুলসীর সতীত্ব হরণ করেন। তুলসী ছিলেন ভগবদ্ভক্ত। কিন্তু ভগবানের ছলনা বুঝতে পেরে তিনিও শ্রী হরিকে পাষাণ রূপ প্রাপ্তের জন্য অভিশপ্ত করেন। ভগবান তা-ই শিরোধার্য করে নারায়ণ শিলাতে পরিণত হলেন। উপরন্তু, তুলসীর ভগবদ্ভক্তির মাহাত্ম্যের জন্য তিনি জন্মে জন্মে শ্রীভগবানের শ্রীচরণ কমলে স্থান পান।”
উপরের অংশটুকু পুরাই কপিপেস্ট। একচুলও এদিক ওদিক করি নাই।
এখন কথা হইতেছে, ধর্ষণ বলেন বালাৎকার বলেন, সবই ছিল আছে থাকবে। এসব প্রতিরোধে চাই সুশিক্ষা, সচেতনতা। আর সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা না হলেই নয়, তা হলো আইনের শাসন। অপরাধ হলে তার যথাযথা শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে অপরাধ বাড়ে বৈ কমে না।
কেউ যখন ধর্ষণ বা এই টাইপের অপরাধ করতে যায় তখন সে দেখে না তার শিকারের চেহারা কেমন, তার প্রভাব-পতিপত্তি কেমন, তার ধর্ম কী, তার জাত কী- কোন কিছুই দেখে না। দেখে শুধু তার শিকারটা কতটুকু সহজলভ্য। যার ফলে বেশির ভাগ সময় গরীব, অল্প বয়স্কা, নরম-শরম অসহায় টাইপের মেয়েরাই বেশি ধর্ষণের শিকার হয়।
(পোস্টটায় কিছু ইচ্ছাকৃত ফাঁক-ফোকর আছে। সেটা নিয়ে আরেকটা পোস্টে কথা হবে।)
Leave a Reply