৬.
কুব বোরে গুম ভাংছে। তিন নম্বর বিবি মজ্জিনা এহনও গুম থিকা উঠে নাই। এক্কেবারে অসুস্ত অই গ্যাছে। রাইতে আমার লগে থাইক্কা শরিল নাকি ব্যাতা অই গ্যাছে। রাইত্তে সুন্নতি গুসলের কালে দেহি পা ফাক করি আইটতেচে। শরিলে জ্বর উইট্টা ইক্টুও লরার ক্ষ্যামতা নাই আর। কম বয়সি মাইয়া গো এইল্লেগাই ভাল্লাগে না। উটছি, উইট্টাই মেজাজ ডা গ্যাছে চইড়া। দুই নম্বর বিবি কয়, “তুমার নামে বাইল্য বিবায়ের কেস করুম আমি, বুইড়া বয়সে বিমরতি। আমারে আটকাই রাকি পিচ্চি ছেড়িরে বিয়া কইচ্চ। বুইড়া বয়সে এহনও লুইচ্চামি কমে নাই।”
আমি কইলাম, “কি কইলি আরামজাদি, এত্ত বড় সাঅস, তরে আমি তালাক দিমু মাগি।”
বিবি কইল, “কি কইলি বুইড়া?” কইয়া আমারে মাত্তে আইলো সামনে। আমি চুলের মুটিডা না দইরা দিলাম কতডি গুসি। সামনে আছিল লাডি, বিবি ওইডা আতে নিয়া লাগাইসে আমার মাতায় বাড়ি।
আমি গেসি মাডিয়ে পইড়া, ঝাপসা ঝাপসা দ্যাকতাছি, কইয়া উটলাম, “তরে আমি তালাক দিলাম, এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক।” বিবি এই কতা হুইন্ন্যা গেল অজ্ঞান অইয়া। এক নম্বর বিবিও সামনে আইয়া দারাই রইছে। মজ্জিনাও কুড়াইতে কুরাইতে গড় তেকে বের অই গ্যাছে। সবাই আ করি দাড়াই আছে, টু শব্দকানাও নাই কারো মুকে। আমিও ছিন্তায় ফরি গ্যালাম, আমার এত্ত চুন্দর বিবিরে তালাক দিলাইলাম, এহন আমি কি করি আল্লা।
পাশের বাসার জইল্লার বাফও চইল্লা আইছে। আইয়া কয়, “কি করলেন, হেরে তালাক দি দিলেন?”
আমি ইক্টু ছিন্তা করি বুল বুইজতে ফারি কইলাম, “না, না মানি আমি তালাক দি নাই, বুলে দি ফালাইছি, এহন উটাই নিলাম।”
জইল্লার বাফে কয়, “না মিঞা, এইডা আর অয় না। হিল্লা বিয়া ছাড়া আর হেরে তুমার গরে উটাই নিতে ফাইরবা না।”
আমি ত মানার লুক না। শেষে টক অইল, কুদ্রতালি হুজুরেক ডাকা অবে। আমি মনে মনে বাইবলাম, যাক হুজুর আইলে একডা গতি অইব। জরি বিবিও (দুই নম্বর বিবি) জ্ঞান ফিররা পাইয়া উটছে কিচুক্কন ফরে।
আর এর এইদিকে আদা গন্টার মইদ্দে হুজুর আই পৌচাইলেন। হুজুরকে কুলে বইল্লাম কাহিনী। হুজুর একবার আমার দিকে তাকাইলেন আর একবার জরির দিকে। কইলেন, “দেহ, এই বিবিক গড়ে তুলতে অইলে এহন ৯০ দিনের জইন্য হিল্লা বিয়া দিতে অইবো। এরপর যেইদিন হিল্লা জামাই হেরে তালাক দিব, তহন তুমি চাইলে বিয়া করা হালাল অইবো। এই ব্যাফারে মহান আল্লাহ্ বলেচেন: ‘তারপর যদি কেউ বিবিক (তৃতীয় বার) তালাক দেয়, তয় সেই বিবি যে ফইয্যন্ত তারে ছাড়া অপর কুন স্বামীর সাত বিবাঅ কইরা না নিব, তার জইন্য হালাল অবে না। অতঃফর যদি দ্বিতীয় জামাই তালাক দি দেয়, তাইলে তাদের উবয়ের জইন্যই ফরস্ফররে ফুনরায় বিয়া কইত্তে কুন ফাফ নাই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাহার ইচ্চা থাহে। আর এই অইল আল্লাহ্ কর্তৃক নিদ্দারিত সীমা, যারা উপলব্ধি করে তাদের জইন্য এইসব বন্যনা করা অয়। (সূরা বাকারাঃ আয়াতঃ ২:২৩০)”
কুদ্রতালি হুজুর আরো কইলো, “ইয়াহিয়া > মালিক >ইবনে সাইদ > আল কাশিম ইবনে মুহাম্মদ থেকে। ইয়াহিয়া বললেন রসুলুল্লাহর (সাঃ) স্ত্রী আয়েশা (রাদিঃ)-রে বলা অইলো: ‘এক জামাই তার বিবিক স্থায়ীবাবে তালাক দিছে। সেই বিবি অন্য এক পুরুষরে বিবাহ কইল্ল। সেই পুরুষ মহিলাকে তালাক দি দিল। মহিলাডার আগের জামাই তার তালাক দেওয়া বিবিক ফুনরায় বিবাঅ কইত্তে ফাইরবে কি না? বিবি আয়েশা উত্তরে কইলেন, ততক্ষণ ফইজ্যন্ত অবে না যতক্ষণ না সেই মহিলাডা ঐ পুরুষডার সাতে যৌন সঙ্গমের মিষ্টি স্বাদ উপবোগ কইচ্চে। (মালিক মুয়াত্তা: হাদিস নম্বর: ২৮/৭/১৮)”
এই অইলো হিল্লা বিবায়ের মর্মকতা। “আল্লায় এইডা কি কইলো” বইল্লাই আমি অজ্ঞান অই উটানে ফরি গেলাম!
Leave a Reply