১৮৬.
সন্তানের জন্ম দিয়ে বিপদে পড়লো এক যাজিকা (nun); সন্তানটাকে তো নিজের কাছে রাখা যাবে না! কী করা? কী করা? পাশের ঘরে এক যাজিকা ঘুমোচ্ছিল দু’পা ফাঁক করে। শিশুটিকে তার দু’পায়ের মাঝে শুইয়ে দিয়ে কেটে পড়লো নবমাতা।
ঘুম থেকে উঠে নিজের দু’পায়ের মাঝখানে নবজাতককে দেখে বিস্মিত দ্বিতীয় যাজিকা বলে উঠলো:
– হায়! এখন আঙুলকেও বিশ্বাস করা যায় না!
১৮৭.
এক ঈমান্দার মৌলবি লন্ডন শহরের বিখ্যাত কালো ট্যাক্সিগুলোর একখানায় চেপে বসে বিরক্ত মুখে ট্যাক্সি-ড্রাইভারকে রেডিওটা বন্ধ করতে বললো। কারণ হিসেবে নিজে থেকেই জানালো:
– ধর্মে সঙ্গীত শোনা হারাম, কারণ নবী মোহাম্মদের সময়ে সঙ্গীত, বিশেষ করে পাশ্চাত্যের ম্লেচ্ছ, বিধর্মী সঙ্গীতের অস্তিত্ব ছিলো না।
ট্যাক্সি-ড্রাইভার নম্রভাবে ভদ্রলোকের পুরো বক্তব্য শুনে ততোধিক বিনয়ে রেডিওটা বন্ধ করে, গাড়ি থামিয়ে গাড়ির দরজা খুলে দিল।
হতবাক মৌলবি জিজ্ঞেস করলো:
– করছোটা কী?
উত্তরে ট্যাক্সি-ড্রাইভার শান্ত গলায় বললো:
– মোহাম্মদের সময়ে ট্যাক্সিও পাওয়া যেত না, অতএব তুমি কেটে পড়ো আর সাইডে দাঁড়িয়ে উটের অপেক্ষা করতে থাকো!
(পাঠিয়েছেন সুনন্দ পাত্র)
১৮৮.
রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান জ্যুগানভ স্বপ্ন দেখছেন, সারা বিশ্বব্যাপী কমিউনিজম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সমাজের সর্বস্তরে সাম্যবাদ। ধনী আর দরিদ্রে ভেদাভেদ নেই কোনও। পৃধিবীর সমস্ত সম্পদ সমভাবে বন্টন করে দেয়া হয়েছে সবার মধ্যে।
ঘুম ভাঙলো তাঁর। কপালে ঘাম জমেছে। প্রায় দৌড়ে গেলেন জানালার কাছে। বাইরে তাকিয়ে নিজের মার্সিডিজ গাড়িটাকে যথাস্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বিড়বিড় করে বললেন:
– ঈশ্বরের অশেষ করুণা!
তারপর বুকে ক্রুশ এঁকে নিশ্চিত মনে ঘুমোতে গেলেন আবার।
Leave a Reply