• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

গরম রমজানে রচিত পংক্তিমালা

You are here: Home / ধর্মকারী / গরম রমজানে রচিত পংক্তিমালা
July 15, 2015
লিখেছেন সৈকত চৌধুরী
১. 
আবদুল গাফফার চৌধুরীর কিছু মন্তব্য নিয়ে এখনো দেখলাম হৈচৈ হচ্ছে। তিনি মন্দ বা অসত্য কী বলেছেন, বোধগম্য হল না।
‘আল্লাহ’ ছিল প্রাক-ইসলামি যুগে মক্কার অধিবাসীদের সর্বোচ্চ দেবতা। কাবাকে এ জন্যই বায়তুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর বলা হত। ‘আল্লাহ’ পূজিত হতেন অপরাপর ৩৬০ মূর্তির সাথে। এমনকি কোরানেও (সুরা ৫৩, আয়াত ১৯) উল্লেখ আছে আল্লাহর তিন কন্যা লাত, মানাত ও উজ্জার নাম। কোরানে আল্লাহপাক উষ্মা প্রকাশ করেছেন তার এসব গুণধর কন্যা নিয়ে।
মুহাম্মদের বাবার নাম ছিল আব্দুল্লাহ – মানে, আল্লাহর দাস। মুহাম্মদের চাচা, যাকে উদ্দেশ্য করে সুরা লাহাব নামক গজব নাজিল হয়েছিল, সেই আবু লাহাবের আসল নাম ছিল আবদুল উজ্জা, মানে (আল্লাহর কন্যা) উজ্জার দাস। এছাড়া বাইবেলের কোথাও কিন্তু ‘আল্লাহ’-এর উল্লেখ নেই। ইহুদি-খ্রিষ্টানরা কখনো ‘আল্লাহ’ নামক কাউকে বিশ্বাস-উপাসনা করত, সে রকম কোনো ইতিহাসে পাওয়া যায় না। অর্থাৎ আল্লাহ যে পৌত্তলিকদেরই কল্পিত দেবতা ছিলেন, সে ব্যাপারে সন্দেহের কোনো অবকাশই নেই।
২.
কারা নাকি সাদা-কালো কাবাকে রঙিন করে দিয়ে ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। সেটাকে ফেইসবুকে শেয়ার দিয়ে আবার ধর্মানুভূতির দফারফা করা হয়েছে।
ইসলামের কোনোকিছু ধরবেন না, ছোঁবেন না। অনুভূতিতে আঘাত লাগে; বড়ই নাজুক সে-ভূতি!
যাই হোক, কাবাকে সবচেয়ে বড় অবমাননা করেছে কে, জানেন? তিনি হজরত মুহাম্মদ। মক্কা বিজয়ের পর মুহাম্মদ কাবাকে দখল করে মক্কার অধিবাসীদের পবিত্র ৩৬০ টি মূর্তি ধ্বংস করে কাবার যে অবমাননা করেছেন, এর আর কোনো নজির নেই। তাকে অনুসরণ করে এখন আইএসআইএস জাদুঘরের মূল্যবান ভাস্কর্যগুলো ধ্বংস করছে। তালেবানরা বৌদ্ধমূর্তি ধ্বংস করেছিল। আর আমাদের দেশে তো দয়ার নবীর সুন্নত মূর্তি-ধ্বংসের খেলা কিছুদিন পর পরই চোখে পড়ে।
কাবাকে ঘিরে সাতবার ঘোরা, পবিত্র পাথরকে চুমু দেয়া, শয়তানকে পাথর ছোঁড়া, পশু কোরবানি, সেজদা-রুকু করা, উপবাস করা এসব হাস্যকর ধর্মচারের সাথে পৌত্তলিকতা জড়িত। ইব্রাহিম বা ইসমাইলের সাথে কাবার কোনো সম্পর্ক ছিল না, এগুলো বানোয়াট ইতিহাস। এমনকি মুসলমানরাও দীর্ঘদিন বায়তুল মুক্বাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ পড়ত। কাবা সব সময়ই পৌত্তলিকদের ছিল।
৩.
মুহাম্মদের জন্মের অল্প কয়েক বছর পূর্বে আবরাহা নামক এক বাদশা কাবাকে আক্রমণ করতে যান বলে কথিত আছে। তখন পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু, সর্বজ্ঞ, সবজান্তা আল্লাহ সুবহানাহু ও তাআ’লা আবাবিল পাঠিয়ে নাকি তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। মহাপরাক্রমশালী আল্লাহপাকের এই শৌর্যবীর্যের বিবরণ দিতে একটি সুরা নাজিলও হয়েছে – সুরা ফিল, আপনি কি দেখেননি আপনার প্রভু হস্তীবাহিনীর সহিত কী রূপ আচরণ করেছেন? আল্লাহপাক এতই শক্তিশালী যে, বেয়াদপ বাদশার বাহিনীকে ভক্ষিতভূষি সদৃশ করে দিলেন, সুভানাল্লাহ!
আল্লাহপাক যে-কাবাকে রক্ষা করেছিলেন, সেখানে ছিল ৩৬০ টি মূর্তি, আর তখন মানুষ উলঙ্গ হয়ে কাবাকে তাওয়াফ করত, দেবতার উদ্দেশে পশুবলি দিত। কিন্তু আল্লাহ সেটাকে রক্ষা করেছিলেন আবাবিল পাঠিয়ে, অভিনব উপায়ে। খটকা অন্য জায়গায়।
কাবার ওপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আক্রমণ হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে কাবাকে দখল করে রাখা হয়েছে, একে ভেঙে এর আকার বিকৃত করা হয়েছে বারবার। এগুলো নাহয় মানুষসৃষ্ট। কিন্তু কাবায় প্রায়ই বন্যা হত। আগেকার ছবি বা ভিডিও পাওয়া সম্ভব নয়, কিন্তু ১৯৪১ সালে কাবা যে ভয়াবহ বন্যায় নিমজ্জিত হয়েছিল তার ছবি ও ভিডিও সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন। কথা হল, আল্লাহপাক কেন কাবাকে বন্যা থেকে রক্ষা করতে পারলেন না?
৪.
অনেক দেশে ২০ থেকে ২৩ ঘন্টা পর্যন্ত রোজা রাখেন মুসলমানরা। অত্যন্ত আজব ব্যাপার! এর মধ্যে অনেকে জোর প্রচার চালান – রোজা নাকি স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ ভাল! অথচ দীর্ঘ সময় এমনকি পানি পানও না করে এটা কী করা হয় আসলে? এছাড়া সারাদিন অনাহারের পর প্রচণ্ড ক্ষুধায় স্বভাবতই ভূরিভোজ করা হয়, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক হুমকি। আমি নিজে সবগুলো রোজা রেখেছি টানা ছয় বছর। দিনের পর দিন চাতকের মত অপেক্ষায় থাকতাম, কখন যে এই গজবের মাসটা চলে যাবে। জীবনের ১২ ভাগের এক ভাগ রোজা রখে বরবাদ করে দেয়ার কোনো মানে হয়? আর গরীবদের জন্য রোজাকে ফরজ না করলে কি চলত না? যাকাত যেহেতু ধনীদের ওপর ফরজ করা গেছে, রোজাও করা যেত। একজন রিকশাওয়ালা-শ্রমিক রোজা রেখে কাজ করবে কীভাবে?
৫.
দু’জন ব্যক্তিকে দেখে হারিয়ে যাওয়া ঈমান প্রায় ফিরে পেতে গিয়েছিলাম। এদের একজন ফারাবি। এরকম আবালের জন্ম মানুষের ঘরে হওয়া অসম্ভব, নিশ্চয় কেউ তার কুদরতি ঠ্যাং দিয়ে তাকে সৃষ্টি করেছে। অবাক হয়ে ভাবতাম, এমন আজব বস্তু যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি না জানি কত বড় ছাগল, আমি তার জন্য কাডল পাতা দিয়ে নৈবেদ্য সাজাব।
দ্বিতীয় জন – তের দফার মালিক হুজুর কেবলা আল্লামা শাফী।
Category: ধর্মকারীTag: মিতকথন, রচনা
Previous Post:চিত্রপঞ্চক – ১২৫
Next Post:আমরা কইলেই দোষ!

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top