লিখেছেন গোলাপ
পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯ > পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩ > পর্ব ৪৪ > পর্ব ৪৫ > পর্ব ৪৬ > পর্ব ৪৭ > পর্ব ৪৮ > পর্ব ৪৯ > পর্ব ৫০ > পর্ব ৫১ > পর্ব ৫২ > পর্ব ৫৩ > পর্ব ৫৪ > পর্ব ৫৫ > পর্ব ৫৬ > পর্ব ৫৭ > পর্ব ৫৮ > পর্ব ৫৯ > পর্ব ৬০ > পর্ব ৬১ > পর্ব ৬২ > পর্ব ৬৩ > পর্ব ৬৪ > পর্ব ৬৫ > পর্ব ৬৬ > পর্ব ৬৭ > পর্ব ৬৮ > পর্ব ৬৯ > পর্ব ৭০ > পর্ব ৭১ > পর্ব ৭২ > পর্ব ৭৩ > পর্ব ৭৪ > পর্ব ৭৫ > পর্ব ৭৬ > পর্ব ৭৭ > পর্ব ৭৮ > পর্ব ৭৯ > পর্ব ৮০ > পর্ব ৮১ > পর্ব ৮২ > পর্ব ৮৩ > পর্ব ৮৪ > পর্ব ৮৫
নুইয়াম বিন মাসুদ বিন আমির নামের এক মুহাম্মদ অনুসারী কীভাবে তার নিজ জাতি-গোত্র ও মিত্রবাহিনীর লোকদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে গোপনে মুহাম্মদের কাছে এসেছিলেন; স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে নুইয়াম–কে কীভাবে বনি কুরাইজা, কুরাইশ ও ঘাতাফান গোত্রের লোকদের প্রতারিত করার নির্দেশ সহকারে নিযুক্ত করে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, “যুদ্ধ হলো প্রতারণা”; মুহাম্মদের প্রত্যক্ষ নির্দেশে তাঁর এই অনুসারী কীভাবে তাঁদেরকে প্রতারিত করেছিলেন – ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।
মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1] [2]
পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ৮৫) পর:
‘মুহাম্মদ বিন কাব বিন আল-কুরাজির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াজিদ বিন যিয়াদ আমাকে [মুহাম্মদ ইবনে ইশাক] বলেছেন:
কুফার এক লোক হুদাইফাকে জিজ্ঞাসা করে, “আপনি কি সত্যিই আল্লাহর নবীকে দেখেছেন ও তাঁর সহকারী ছিলেন?” যখন তিনি জবাবে বলেন, “হ্যাঁ”, তখন সে তাকে জিজ্ঞাসা করে, তাঁরা কীভাবে জীবনযাপন করতেন। তিনি জবাবে বলেন যে, তাদের জীবনযাপন ছিল কঠিন। [3]
সে [লোকটি] বলে, “আল্লার কসম, যদি আমরা তাঁর সময়ে বসবাস করতাম, তবে আমরা তাঁকে মাটিতে পা রাখতে দিতাম না, তাঁকে ঘাড়ে করে বহন করতাম।”
হুদাইফা বলেন, ‘আমি এখনও দেখতে পাই যে, আমরা আল্লাহর নবীর সঙ্গে খন্দক যুদ্ধের সেই সময়, যখন তিনি রাত্রির কিছু অংশ নামাজে কাটান ও তারপর আমাদের দিকে ঘুরে বসেন ও বলেন,
“তোমাদের মধ্যে কে এমন আছে, যে উঠে যাবে ও মিত্র বাহিনীর সৈন্যরা কী করছে তা দেখে এসে আমাদের জানাবে?”-আল্লাহর নবী শর্ত রাখেন, সে যেন ফিরে আসে- “আমি আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবো, যেন সে আমার সাথে বেহেশতের সঙ্গী হয়।” [4]
একজন লোকও উঠে দাঁড়ায় না, কারণ তারা ছিল খুবই ভীত, ক্ষুধার্ত ও তখন শীত ছিল প্রচণ্ড। যখন কেউই উঠে আসে না, তখন আল্লাহর নবী আমাকে ডাকেন, আর তাঁর সেই ডাকে আমাকে উঠে আসতে হয়।
মিত্রবাহিনীর সৈন্যরা কী করছে, তা দেখার জন্য তিনি আমাকে যেতে বলেন ও বলেন যে, এখানে প্রত্যাবর্তন করার পূর্বে আমি যেন কোনোকিছু না করি (অর্থাৎ, নিজে আগ বাড়িয়ে যেন সে কিছুই না করে)।
তাই আমি বাইরে বের হই ও সেখানে গিয়ে তাদের সৈন্যদের সঙ্গে মিশে যাই, তখন ঝড়-বায়ু ও আল্লাহর সৈন্যরা (God’s troops) তাদের সাথে এমনভাবে মোকাবিলা করছিল যে, তাদের না ছিল কোনো রান্নার পাত্র, না ছিল আগুন, না ছিল কোনো অক্ষত তাঁবু। [5]
আবু সুফিয়ান উঠে দাঁড়ায় ও বলে, “হে কুরাইশ, তোমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাশের লোকটিকে লক্ষ্য করে দেখো, কোন লোকটি তোমাদের পাশে বসে আছে।”
তাই আমি আমার পাশের লোকটিকে জিজ্ঞাসা করি, সে কে; সে বলে, সে অমুক।
তারপর আবু সুফিয়ান বলে, “হে কুরাইশ, আমাদের কোনো স্থায়ী তাঁবু নেই; অনেক ঘোড়া ও উট মরণাপন্ন; বনি কুরাইজা গোত্রের লোকেরা ভঙ্গ করেছে তাদের ওয়াদা ও আমরা শুনেছি তাদের অস্বস্তিকর রিপোর্ট। তোমরা দেখতে পাচ্ছ বাতাসের প্রচণ্ডতা, যা আমাদের রান্নার সরঞ্জাম, কিংবা আগুন, কিংবা তাঁবু – কোনোকিছুই অবশিষ্ট রাখে নাই। স্বচ্ছন্দ বোধ করো, কারণ আমি ফিরে যাচ্ছি।”
তারপর সে তার বেঁধে রাখা উটের কাছে যায়, তার ওপর চড়ে বসে ও তাকে আঘাত করলে উটটি তার তিন পায়ের ওপর ভর করে উঠে দাঁড়ায়; আল্লাহর কসম উটটি পুরাপুরি দাঁড়ানোর আগ পর্যন্ত বাঁধন মুক্ত হয় না।
যদি আল্লাহর নবী আমাকে তাঁর কাছে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত অন্য কোনো কাজে নিয়োজিত হতে নিষেধ না করতেন, তবে আমি ইচ্ছা করলে একটি তীরের আঘাতে তাকে খুন করতে পারতাম।
‘আমি আল্লাহর নবীর কাছে ফিরে আসি যখন তিনি তাঁর কোন এক স্ত্রীর র্যাপারের (wrapper) ওপর দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন। যখন তিনি আমাকে দেখতে পান, তখন তিনি আমাকে তাঁর পায়ের কাছে গিয়ে বসার সুযোগ করে দেন ও র্যাপারটির এক প্রান্ত আমার দিকে ছুড়ে দেন; তারপর আমার তার উপর বসা অবস্থাতেই তিনি রুকু ও সেজদায় যান (তাবারী: ‘এবং আমি তাঁকে বিরক্ত করি’); যখন তিনি নামাজ শেষ করেন, আমি তাঁকে খবরটি জানাই।
যখন ঘাতাফানরা জানতে পায় যে, কুরাইশরা কী করেছে, তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের নিজেদের দেশে প্রত্যাবর্তন করে।’
সেই দিন সকালে আল্লাহর নবী ও মুসলমানরা খন্দক পরিত্যাগ করে মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেন।’
(অনুবাদ, টাইটেল, ও [**] যোগ – লেখক।)
মুহাম্মদের অভিশাপ:
সহি বুখারী: ভলুম ৮, বই নম্বর ৭৫, হাদিস নম্বর ৪০৫:
‘আলী ইবনে আবু তালিব হইতে বর্ণিত: খন্দক যুদ্ধের দিন আমরা আল্লাহর নবীর সঙ্গে ছিলাম। আল্লাহর নবী বলেন, “আল্লাহ যেন তাদের (কাফেরদের) সমাধি-স্থল ও বাড়ি-ঘর (সহি মুসলিম: “অথবা, পাকস্থলী”) আগুনে পূর্ণ করে, কারণ তারা আমাদের এত ব্যস্ত রেখেছিল যে আমরা সূর্যাস্তের আগে মধ্যবর্তী নামাজটি আদায় করতে পারিনি; সেই নামাজটি ছিল ‘আছর নামাজ‘।” [6] [7]
(অনুবাদ– লেখক।)
>>> আদি উৎসের ইসলামে নিবেদিতপ্রাণ মুসলিম ঐতিহাসিকদেরই বর্ণনায় খন্দক যুদ্ধের সংক্ষিপ্তসার: [8]
১) বদর ও ওহুদ যুদ্ধের মতই খন্দক যুদ্ধের আদি কারণ হলো – মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের আগ্রাসী, আক্রমণাত্মক ও অমানবিক কার্যকলাপ। (পর্ব- ৭৭)।
২) মিত্র বাহিনীর সৈন্যদের সেনা ছাউনিটি ছিল খন্দকটির উত্তর দিকে; আর তাঁদের সরাসরি সম্মুখে ছিল খন্দকের বাধা, যে–বাধাটি অতিক্রম করে সদল বলে মুসলমানদের সরাসরি আক্রমণ করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। অন্যদিকে, মুসলমান বাহিনীর সৈন্যদের সেনা ছাউনিটি ছিল খন্দকটির দক্ষিণে। তাঁদের সরাসরি সম্মুখে ছিল তাদের খননকৃত ‘প্রতিরক্ষা খন্দক‘ ও তার ওপারে মিত্র বাহিনী; আর তাঁদের সরাসরি পেছনেই ছিল সাল–পর্বত, তার পেছনে মদিনা এবং তারও পেছনে ছিল বনি কুরাইজা গোত্রের লোকেরা। (পর্ব- ৭৮)।
৩) ওহুদ যুদ্ধের মতই এই যুদ্ধে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা জীবনের এক চরম পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন; সেই দু:সহ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের চেষ্টায় মুহাম্মদ নিজ উদ্যোগে মিত্র বাহিনীর ঘাতাফান গোত্রের দুই নেতাকে উৎকোচ (ঘুষ) প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন। (পর্ব- ৮১)।
৪) আলী ইবনে আবু তালিবের পিতার কুরাইশ বন্ধু আমর বিন আবদু উদ্দ, তাঁর বন্ধু-পুত্র আলীর সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে আলীকে রক্তাক্ত অথবা হত্যা করতে রাজি ছিলেন না; পক্ষান্তরে আলী তাঁকে হত্যা করার জন্য ছিলেন উদগ্রীব! (পর্ব- ৮২)।
৫) বনি কুরাইজার নৃশংস গণহত্যার রায় প্রদানকারী ব্যক্তিটি ছিলেন অত্যন্ত হিংস্র, নৃশংস ও প্রতিহিংসাপরায়ণ; সাদ বিন মুয়াদ নামের মুহাম্মদের এই অনুসারী খন্দক যুদ্ধে গুরুতর আহত হন ও বনি কুরাইজার ওপর তার বীভৎস আকাঙ্ক্ষা প্রত্যক্ষ করার পূর্ব পর্যন্ত তাকে মৃত্যুবরণ করতে না দেয়ার জন্য আল্লাহর কাছে আবেদন করেন। (পর্ব- ৮৩)।
৬) অন্তত যে–তিনটি কারণে খন্দক যুদ্ধটি বিশেষ গুরুত্বের অধিকারী, তার অন্যতম হলো, যুদ্ধশেষে মুহাম্মদের নেতৃত্বে “বনি কুরাইজা গণহত্যা!”; অজুহাত হলো, বনি কুরাইজা গোত্রের লোকেরা চুক্তিভঙ্গ করে খন্দক যুদ্ধকালে মিত্রবাহিনীকে সাহায্য করেছিলেন।
কিন্তু,
আদি উৎসে খন্দক যুদ্ধ উপাখ্যানের বর্ণনার কোথাও বনি কুরাইজা গোত্রের লোকেরা মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের “কখনো কোনোরূপ” আক্রমণ বা হত্যা চেষ্টা করেছেন; কিংবা তাঁরা মিত্রবাহিনীকে কোনোরূপ সাহায্য-চেষ্টা করেছেন; কিংবা তাঁরা মিত্রবাহিনীর সাথে কোনরূপ সক্রিয় স্বতঃস্ফূর্ত যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন – এমন সুনির্দিষ্ট একটিও তথ্য বা প্রমাণ (Evidence) কোথাও বর্ণিত হয়নি!
যা বর্ণিত হয়েছে তা হলো “সর্বসাকুল্যে চার লাইনের ও কম” কয়েকটি বাক্য, যথা:
“এইভাবে কাব তার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে এবং তার ও আল্লাহর নবীর মধ্যে যে-চুক্তি ছিল, তা ছিন্ন করে” (পর্ব-৮০)। — “বানু কুরাইজা আল্লাহর নবীর সাথে চুক্তিভঙ্গ করে যুদ্ধে যায়” (পর্ব: ৮৪)। —“আর তোমরা তাদেরকে তার বিরুদ্ধে সাহায্য করেছ; —মুহাম্মদের বিপক্ষে ইহুদিরা যা করেছে তার জন্য তারা অনুতপ্ত।” (পর্ব: ৮৫)।
শুধু তাইই নয়,
আমরা দেখেছি এই দাবীর সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র, অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণিত! শুধুমাত্র সন্দেহের বশে এক মুহাম্মদ অনুসারী বনি কুরাইজার এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার পরেও বনি কুরাইজা গোত্রের লোকেরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ সহিংসতার আশ্রয় নেননি (পর্ব- ৮৪)।
সুতরাং,
বনি কুরাইজা গোত্রের লোকেরা চুক্তিভঙ্গ করে খন্দক যুদ্ধে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে মিত্রবাহিনীকে সাহায্য করেছিলেন, এই দাবি “ইসলামের হাজারও মিথ্যাচারের একটি!”
(চলবে)
তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:
[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৪৬০
[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮,ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৪৮৩-১৪৮৫
[3] ‘প্রাচীন আল-হিরাহ (Al-Hirah) শহরের সন্নিকটে, ইউফ্রেটিস নদীর কিনারে মুসলমানদের গ্যারিসন শহর (Garrison city) আল-কুফা স্থাপিত হয় ৬৩৮ সালে (হিজরি ১৭ সাল); খলিফা উমরের শাসন আমলে। উপরের বর্ণনাটি খন্দক যুদ্ধের বহু বছর পরে মুসলমানদের ইরাক দখলের পর এক নবীন কুফা বাসীর প্রশ্নের জবাবে হুদাইফার স্মৃতি-চারণ।’
[4] ‘অর্থাৎ, সে শহিদদের (Martyrs) মত মৃত্যুবরণ না করা সত্বেও সুনিশ্চিত ভাবেই বেহেশতে দাখিল হবে।’
[5] ‘আল্লাহর সৈন্যরা বলতে সম্ভবত: ফেরেশতাদের বুঝানো হয়েছে। তুলনা, কুরান: সুরা আল আহযাব (৩৩:৯) – “হে মুমিনগণ! তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যখন শত্রুবাহিনী তোমাদের নিকটবর্তী হয়েছিল, অতঃপর আমি তাদের বিরুদ্ধে ঝঞ্চাবায়ু এবং এমন সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করেছিলাম, যাদেরকে তোমরা দেখতে না। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন।”’
[6] সহি বুখারী: ভলুম ৮, বই নম্বর ৭৫, হাদিস নম্বর ৪০৫: http://www.hadithcollection.com/sahihbukhari/108-Sahih%20Bukhari%20Book%2075.%20Invocations/7350-sahih-bukhari-volume-008-book-075-hadith-number-405.html
Narated By ‘Ali bin Abi Talib : We were in the company of the Prophet on the day (of the battle) of Al-Khandaq (the Trench). The Prophet said, “May Allah fill their (the infidels’) graves and houses with fire, as they have kept us so busy that we could not offer the middle prayer till the sun had set; and that prayer was the ‘Asr prayer.”
[7] সহি মুসলিম: বই নম্বর ৪, হাদিস নম্বর ১৩১৩: http://www.hadithcollection.com/sahihmuslim/132-Sahih%20Muslim%20Book%2004.%20Prayer/10067-sahih-muslim-book-004-hadith-number-1313.html
[8] খন্দক যুদ্ধঃ
Ibid: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ) – পৃষ্ঠা ৪৫০-৪৬০; আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ) – পৃষ্ঠা (Leiden) ১৪৬৩-১৪৮৫
Leave a Reply